০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘কাশ্মীর ভালো আছে’ দেখাতেই কি শ্রীনগরে জি-২০ পর্যটন সামিট, উঠছে প্রশ্ন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩, রবিবার
  • / 10

পুবের কলম,ওয়েবডেস্কঃ বিশ্বের শক্তিধর ও সমৃদ্ধ দেশগুলির জোট জি-২০। ভারত এ বছরের জন্য তার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে। একের পর এক প্রোগ্রামের আয়োজন করা হচ্ছে দেশে। বিদেশের তাবড় তাবড় ব্যক্তিদের সামনে ভারতের আতিথেয়তা, আয়োজন বুঝিয়ে দিচ্ছে মোদি সরকারের শক্তি।

ইতিমধ্যে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। হয়েছে বিজনেস সামিটও। এবার সাজ সাজ রব জি-২০ পর্যটন সামিটের জন্য। এটি অনুষ্ঠিত হবে মে মাসের শেষের দিকে। স্থান জম্মু-কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর। ইতিমধ্যেই জি-২০ ভুক্ত দেশগুলিকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘পৃথিবীর স্বর্গে’ আসার জন্য।

সেখানে হয়তো আসবে সউদি আরব, তুরস্কের মতো দেশগুলিও। তুরস্ক কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বিশ্বমঞ্চে বার বার সরব হয়েছে। কাশ্মীরিদের গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, নির্যাতন, স্বাধীনতা, সেনা হিংসা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর উপত্যকা আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে।

এই পরিস্থিতিতে সেখানে জি-২০ সামিট কি বার্তা দেবে বিশ্বকে? উঠছে প্রশ্ন। ওয়াকিফহাল মহল মনে করছে, মোদি সরকার দেখাতে চায় যে কাশ্মীর খুব ভালো আছে। সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই এত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেখানে রাখা হয়েছে। ভূস্বর্গের সৌন্দর্য দেখিয়ে বাহবা কুড়োতে চান মোদি-জয়শঙ্কররা। কিন্তু এর আড়ালে কতটা কান্না লুকানো আছে, তার হদিস কে দেবে?

জি-২০ পর্যটন সামিটে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সামনে শান্ত কাশ্মীরের ছবি তুলে ধরতে মরিয়া কেন্দ্র। তাই এক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতির তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। মোদির মুখেও কাশ্মীরের প্রশংসা শোনা যাচ্ছে বার বার। এভাবে একে রাজনীতির আলোচনার বাইরে এনে ফেলতে চায় কেন্দ্র। তুলে ধরতে চায় নিটোল কাশ্মীরের ছবি।

ডাল লেকে শিকারা ভ্রমণের চিত্র। তবে তুরস্ক, সউদি আরব সামিটে এসে কাশ্মীরের মানুষের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জবাবদিহি করে বসে কি না, সেটাই দেখার।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘কাশ্মীর ভালো আছে’ দেখাতেই কি শ্রীনগরে জি-২০ পর্যটন সামিট, উঠছে প্রশ্ন

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্কঃ বিশ্বের শক্তিধর ও সমৃদ্ধ দেশগুলির জোট জি-২০। ভারত এ বছরের জন্য তার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে। একের পর এক প্রোগ্রামের আয়োজন করা হচ্ছে দেশে। বিদেশের তাবড় তাবড় ব্যক্তিদের সামনে ভারতের আতিথেয়তা, আয়োজন বুঝিয়ে দিচ্ছে মোদি সরকারের শক্তি।

ইতিমধ্যে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। হয়েছে বিজনেস সামিটও। এবার সাজ সাজ রব জি-২০ পর্যটন সামিটের জন্য। এটি অনুষ্ঠিত হবে মে মাসের শেষের দিকে। স্থান জম্মু-কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর। ইতিমধ্যেই জি-২০ ভুক্ত দেশগুলিকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘পৃথিবীর স্বর্গে’ আসার জন্য।

সেখানে হয়তো আসবে সউদি আরব, তুরস্কের মতো দেশগুলিও। তুরস্ক কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বিশ্বমঞ্চে বার বার সরব হয়েছে। কাশ্মীরিদের গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, নির্যাতন, স্বাধীনতা, সেনা হিংসা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর উপত্যকা আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে।

এই পরিস্থিতিতে সেখানে জি-২০ সামিট কি বার্তা দেবে বিশ্বকে? উঠছে প্রশ্ন। ওয়াকিফহাল মহল মনে করছে, মোদি সরকার দেখাতে চায় যে কাশ্মীর খুব ভালো আছে। সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই এত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেখানে রাখা হয়েছে। ভূস্বর্গের সৌন্দর্য দেখিয়ে বাহবা কুড়োতে চান মোদি-জয়শঙ্কররা। কিন্তু এর আড়ালে কতটা কান্না লুকানো আছে, তার হদিস কে দেবে?

জি-২০ পর্যটন সামিটে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সামনে শান্ত কাশ্মীরের ছবি তুলে ধরতে মরিয়া কেন্দ্র। তাই এক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতির তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। মোদির মুখেও কাশ্মীরের প্রশংসা শোনা যাচ্ছে বার বার। এভাবে একে রাজনীতির আলোচনার বাইরে এনে ফেলতে চায় কেন্দ্র। তুলে ধরতে চায় নিটোল কাশ্মীরের ছবি।

ডাল লেকে শিকারা ভ্রমণের চিত্র। তবে তুরস্ক, সউদি আরব সামিটে এসে কাশ্মীরের মানুষের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জবাবদিহি করে বসে কি না, সেটাই দেখার।