০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিলুপ্ত ভাষা সংরক্ষণের উদ্যোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, সোমবার
  • / 24

সেখ কুতুবউদ্দিন

বিলুপ্ত ভাষাগুলিকে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে– দেশ ও বিদেশের বহু ভাষা বিলুপ্ত হচ্ছে। সেই ভাষাগুলিকে কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়– তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন– ভাষা মানুষের জন্মগত অধিকার– যা সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের স্বাক্ষর বহন করে। তাছাড়া ভাষা আত্মপরিচয়ের মৌলিক উপাদান হিসেবে ভূমিকা পালন করে। ইতিমধ্যে বহু ভাষা সংরক্ষণ করা হয়েছে। আগামীতে বিলুপ্ত এবং দেশের বিভিন্ন ভাষা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গুয়েস্টিক বিভাগের ডিরেক্টর অধ্যাপক ইন্দ্রনীল দত্ত বলেন– ভাষা সংরক্ষণের কাজ চলছে। ভাষাগুলি বিভাগে সংরক্ষিত করে রাখা হচ্ছে। এখনও বহু ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে– সেগুলিও তথ্য আকারে রাখা হচ্ছে। এতে শিক্ষক– গবেষক ও ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলে জানান তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যপক ও গবেষকের কথায়– ভাষা বিলুপ্ত হচ্ছে। দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় মাত্র কয়েকজন ‘কড়া’ ভাষা কথা বলে। বিপন্ন ভাষাগুলির মধ্যে রয়েছে– শৌরা– রেংচির্মা– কোদা– মেগাম– পাঙ্গুখুয়া– বম– চাক– আসোচিন– মরু– কুরুক্স– প্লার– সৌরিয়া– খেয়াং– খোজী, কন্দু– মুন্ড প্রভৃতি ভাষা। শুধু এপার বাংলায় নয়– ওপার বাংলাতেও বহু ভাষা বিলুপ্ত হচ্ছে। গবেষকরা বলছেন– সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় ভাষাগুলি সংরক্ষণের ফলে একদিকে যেমন অন্যের মাতৃভাষার প্রতি সম্মান দেখানো হয়– তেমনি অনেক পুরনো সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করার সম্ভব হয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষেত্রেও সুবিধা হয়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিলুপ্ত ভাষা সংরক্ষণের উদ্যোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

আপডেট : ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, সোমবার

সেখ কুতুবউদ্দিন

বিলুপ্ত ভাষাগুলিকে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে– দেশ ও বিদেশের বহু ভাষা বিলুপ্ত হচ্ছে। সেই ভাষাগুলিকে কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়– তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন– ভাষা মানুষের জন্মগত অধিকার– যা সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের স্বাক্ষর বহন করে। তাছাড়া ভাষা আত্মপরিচয়ের মৌলিক উপাদান হিসেবে ভূমিকা পালন করে। ইতিমধ্যে বহু ভাষা সংরক্ষণ করা হয়েছে। আগামীতে বিলুপ্ত এবং দেশের বিভিন্ন ভাষা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গুয়েস্টিক বিভাগের ডিরেক্টর অধ্যাপক ইন্দ্রনীল দত্ত বলেন– ভাষা সংরক্ষণের কাজ চলছে। ভাষাগুলি বিভাগে সংরক্ষিত করে রাখা হচ্ছে। এখনও বহু ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে– সেগুলিও তথ্য আকারে রাখা হচ্ছে। এতে শিক্ষক– গবেষক ও ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলে জানান তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যপক ও গবেষকের কথায়– ভাষা বিলুপ্ত হচ্ছে। দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় মাত্র কয়েকজন ‘কড়া’ ভাষা কথা বলে। বিপন্ন ভাষাগুলির মধ্যে রয়েছে– শৌরা– রেংচির্মা– কোদা– মেগাম– পাঙ্গুখুয়া– বম– চাক– আসোচিন– মরু– কুরুক্স– প্লার– সৌরিয়া– খেয়াং– খোজী, কন্দু– মুন্ড প্রভৃতি ভাষা। শুধু এপার বাংলায় নয়– ওপার বাংলাতেও বহু ভাষা বিলুপ্ত হচ্ছে। গবেষকরা বলছেন– সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় ভাষাগুলি সংরক্ষণের ফলে একদিকে যেমন অন্যের মাতৃভাষার প্রতি সম্মান দেখানো হয়– তেমনি অনেক পুরনো সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করার সম্ভব হয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষেত্রেও সুবিধা হয়।