ডাকসুতে ইসলামী শিবিরের জয়, Jucsu election-এ জিতবে কে?
- আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 403
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বেশকিছু অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (Jucsu election) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ (Jucsu election) অনুষ্ঠিত হয় । বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হল কেন্দ্রে স্থাপিত ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ভোট চলাকালীনই একের পর এক অভিযোগ আনতে থাকেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। তারা অভিযোগ করে বলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রশিবিরের প্যানেলকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করছে। নির্বাচনের জন্য ব্যালট পেপার জামায়াতে ইসলামী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
পরে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী। এরপর নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে বিএনপিপন্থি তিন শিক্ষকও অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণা দেন। এদিকে, ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল দাবি করেছে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। পরাজয় হবে বুঝতে পেরে ছাত্রদল নানা অভিযোগ করছে বলে মন্তব্য করেন এই প্যানেলের প্রার্থীরা।
জাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো ক্যাম্পাসে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোতায়েন করা হয় ১ হাজার ৫৩৪ জন পুলিশ সদস্য, ৭ প্লাটুন বিজিবি এবং ৫ প্লাটুন আনসার সদস্য। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাসে এবং এর আশেপাশে অবস্থান নেয়, যাতে যেকোনো অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দ্রুত মোকাবিলা করা যায়।এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫ পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। নির্বাচনে বামপন্থি, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে মোট আটটি প্যানেল অংশগ্রহণ করছে। ছাত্রদের ১১টি ও ছাত্রীদের ১০টি হল মিলিয়ে মোট ২১ ভোটকেন্দ্র।
ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচনে ৬৭ জন পোলিং অফিসার (শিক্ষক) এবং ৬৭ জন সহায়ক পোলিং অফিসার (কর্মকর্তা) নিয়োগ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট গণনা করা হবে।
































