০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কানাডায় খুন খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৯ জুন ২০২৩, সোমবার
  • / 210

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কানাডায় গুলি করে হত্যা খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে। দুই অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত এই খালিস্তানপন্থী নেতা।

জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারের পার্কিং লটে, হরদীপ সিং নিজ্জর নিজের গাড়িতে বসার সঙ্গে সঙ্গে দুই বন্দুকধারী এসে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে তাকে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে স্থানীয় শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে।

আরও পড়ুন: Palestinian state: এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে france

ভারতের  তরফে হরদীপ সিং নিজ্জরকে ‘ওয়ানটেড’  ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি ভারত সরকারের তরফে যে ৪০ জন ওয়ানটেডের নামের তালিকা প্রকাশ করে, তার মধ্যে নাম ছিল নিজ্জরের। ভারতের হাতে প্রত্যাপর্ণের আগেই এই খালিস্তানি জঙ্গিকে লক্ষ্য করে  গুলি চালানো হয় বলে খবর।

আরও পড়ুন: কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাওয়ের ডাক খালিস্তানিদের

সুরের শিখ গুরুনানক সিং গুরুদ্বারের সভাপতি ছিল  হরদীপ সিং নিজ্জর। এসবের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল নিজ্জর। ফলে ভারতের তরফে তাকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়। লন্ডনের ব্রাম্পটন শহরে যে খালিস্তানি শক্তির উত্থান হয়, তার প্রধান মুখ ছিল হরদীপ সিং নিজ্জর।

আরও পড়ুন: kulgam encounter: কুলগাঁও-র ঘন জঙ্গলে সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই

প্রসঙ্গত ২০২২ সালে এক হিন্দু পুরোহিতকে খুন করে হরদীপ। পাঞ্জাবের জলন্ধরে ওই  হিন্দু পুরোহিতকে খুন করে নিজ্জর। এরপরই হরদীপ সিংকে পাকড়াও করলে ১০ লক্ষ  দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করে এনআইএ।

বর্তমানে কানাডাবাসী হলেও, তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা জলন্ধরের এক গ্রামে। ‘শিখস ফর জাস্টিস’ বা এসএফজে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল হরদীপ সিং নিজ্জর।

জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ-র তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে সন্ত্রাসবাদকে ছড়িয়ে দিতে খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসবাদী দল তৈরি করছিল নিজ্জর। এর জন্য সদস্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে তাদের প্রশিক্ষণ, অর্থের জোগান – সমস্ত কিছুর সঙ্গেই সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল সে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে উস্কানিমূলক এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়িয়েও দেওয়ার সঙ্গেও যোগ ছিল তার। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লক্ষ টাকার নগদ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

২০১৫ সালেই তার বিরুদ্ধে একটি লুকআউট সার্কুলার জারি করেছিল পুলিশ, ২০১৬-য় জারি করা হয় রেড কর্নার নোটিশ। এরপর, ২০২০ সালের জুলাই মাসে নিজ্জরকে ‘ইন্ডিভিজুয়াল টেরোরিস্ট’ বা ‘ব্যক্তি সন্ত্রাসবাদী’ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কানাডায় খুন খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর

আপডেট : ১৯ জুন ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কানাডায় গুলি করে হত্যা খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে। দুই অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত এই খালিস্তানপন্থী নেতা।

জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারের পার্কিং লটে, হরদীপ সিং নিজ্জর নিজের গাড়িতে বসার সঙ্গে সঙ্গে দুই বন্দুকধারী এসে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে তাকে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে স্থানীয় শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে।

আরও পড়ুন: Palestinian state: এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে france

ভারতের  তরফে হরদীপ সিং নিজ্জরকে ‘ওয়ানটেড’  ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি ভারত সরকারের তরফে যে ৪০ জন ওয়ানটেডের নামের তালিকা প্রকাশ করে, তার মধ্যে নাম ছিল নিজ্জরের। ভারতের হাতে প্রত্যাপর্ণের আগেই এই খালিস্তানি জঙ্গিকে লক্ষ্য করে  গুলি চালানো হয় বলে খবর।

আরও পড়ুন: কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাওয়ের ডাক খালিস্তানিদের

সুরের শিখ গুরুনানক সিং গুরুদ্বারের সভাপতি ছিল  হরদীপ সিং নিজ্জর। এসবের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল নিজ্জর। ফলে ভারতের তরফে তাকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়। লন্ডনের ব্রাম্পটন শহরে যে খালিস্তানি শক্তির উত্থান হয়, তার প্রধান মুখ ছিল হরদীপ সিং নিজ্জর।

আরও পড়ুন: kulgam encounter: কুলগাঁও-র ঘন জঙ্গলে সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই

প্রসঙ্গত ২০২২ সালে এক হিন্দু পুরোহিতকে খুন করে হরদীপ। পাঞ্জাবের জলন্ধরে ওই  হিন্দু পুরোহিতকে খুন করে নিজ্জর। এরপরই হরদীপ সিংকে পাকড়াও করলে ১০ লক্ষ  দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করে এনআইএ।

বর্তমানে কানাডাবাসী হলেও, তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা জলন্ধরের এক গ্রামে। ‘শিখস ফর জাস্টিস’ বা এসএফজে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল হরদীপ সিং নিজ্জর।

জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ-র তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে সন্ত্রাসবাদকে ছড়িয়ে দিতে খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসবাদী দল তৈরি করছিল নিজ্জর। এর জন্য সদস্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে তাদের প্রশিক্ষণ, অর্থের জোগান – সমস্ত কিছুর সঙ্গেই সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল সে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে উস্কানিমূলক এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়িয়েও দেওয়ার সঙ্গেও যোগ ছিল তার। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লক্ষ টাকার নগদ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

২০১৫ সালেই তার বিরুদ্ধে একটি লুকআউট সার্কুলার জারি করেছিল পুলিশ, ২০১৬-য় জারি করা হয় রেড কর্নার নোটিশ। এরপর, ২০২০ সালের জুলাই মাসে নিজ্জরকে ‘ইন্ডিভিজুয়াল টেরোরিস্ট’ বা ‘ব্যক্তি সন্ত্রাসবাদী’ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।