০৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর্ষায় ট্রাফিক পুলিশকে অত্যাধুনিক দেড় হাজার ছাতা দেবে লালবাজার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৩, বুধবার
  • / 52

পুবের কলম প্রতিবেদক: পুরনো  ছাতার মাঝখানে শ্যাফট তৈরি হতো কাঠ দিয়ে। তবে এবার কাঠের বদলে থাকবে ইস্পাত। যদিও ঐতিহ্য বজায় রাখার জন্য হাতল কাঠেরই থাকছে। এক একটি ছাতার দাম পড়ছে প্রায় ৩৫০ টাকা করে। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া হয়ে থাকে। সেই কারণে এবার শক্তপক্ত ছাতা নিয়ে আসছে লালবাজার।

বর্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে বৃষ্টি হলেও কোনও ছাদের তলায় বা কোনও ছাউনির নিচে গা বাঁচানোর সুযোগ নেই ট্রাফিক পুলিশের। সে অবস্থাতেও যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য রাস্তায় নেমে ডিউটি করতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। সেই কথা মাথায় রেখে ট্রাফিক পুলিশের জন্য দেড় হাজার ছাতার ব্যবস্থা করেছে লালবাজার। এর জন্য খরচ করেছে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা।  আগেও ছাতা ব্যবহার করত কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। তবে এবার নাইলনের ছাতা দেওয়া হবে, যেগুলি আগের থেকে অনেক বেশি মজবুত এবং হালকা হবে।

আরও পড়ুন: ইডি সিবিআই সেজে লুটপাটের ঘটনা ঠেকাতে সিসিটিভি নজরদারি বাড়াচ্ছে লালবাজার

পুরনো ছাতার মাঝখানে শ্যাফট তৈরি হতো কাঠ দিয়ে। তবে এবার কাঠের বদলে থাকবে ইস্পাত। যদিও ঐতিহ্য বজায় রাখার জন্য হাতল কাঠেরই থাকছে। এক একটি ছাতার দাম পড়ছে প্রায় ৩৫০ টাকা করে। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া হয়ে থাকে। সেই কারণে এবার শক্তপক্ত ছাতা নিয়ে আসছে লালবাজার। ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫টি ট্রাফিক গার্ডের হাতে এই সমস্ত ছাতা তুলে দেওয়া হবে। প্রত্যেকটি ট্রাফিক গার্ডে ৫০ থেকে ৬০ টি করে ছাতা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: সঙ্গীত সংস্থার বিরুদ্ধে সিনেমা চুরির অভিযোগ প্রযোজক পরিচালকের, তদন্তে লালবাজার

এই ছাতাগুলি মূলত কর্তব্যরত কনস্টেবলদের দেওয়া হবে। লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, যেহেতু এক হাতে ছাতা ধরেই ট্রাফিক পুলিশদের ডিউটি করতে হয় সেই কারণে ছাতার ওজন যতটা সম্ভব হালকা অথচ শক্ত করার জন্য বলা হয়েছে নির্মাতা সংস্থাকে। একই সঙ্গে ছাতার মাঝখানকার শ্যাফটে যাতে মরছে না পড়ে এবং দীর্ঘমেয়াদি হয় সে বিষয়টিতে নজর দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রামনবমী নিয়ে সতর্ক লালবাজার, কড়া নিরাপত্তা পুলিশের

ছাতার শিক শক্ত করতে বলা হয়েছে নির্মাতা সংস্থাকে। ছাতার কাপড় তৈরি হবে জলনিরোধক নাইলন দিয়ে। ছাতার একেবারে উপরে লেখা থাকবে কলকাতা পুলিশ। ছাতা বন্ধ থেকে খোলা পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে বিষয়টিতে নজর দিতে বলা হয়েছে নির্মাতা সংস্থাকে। সাধারণত ছাতার বাঁট প্লাস্টিক বা অন্যান্য বস্তু দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে।

কিন্তু সেই ক্ষেত্রে খোলা এবং বন্ধ করার বোতাম অনেক ক্ষেত্রেই তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু, কলকাতা পুলিশ চাইছে ঐতিহ্য বজায় রেখে কাঠের হাতল তৈরি করতে। ছাতা বন্ধ করার এবং খোলার সময় যাতে তাড়াতাড়ি বোতাম নষ্ট না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বর্ষায় ট্রাফিক পুলিশকে অত্যাধুনিক দেড় হাজার ছাতা দেবে লালবাজার

আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: পুরনো  ছাতার মাঝখানে শ্যাফট তৈরি হতো কাঠ দিয়ে। তবে এবার কাঠের বদলে থাকবে ইস্পাত। যদিও ঐতিহ্য বজায় রাখার জন্য হাতল কাঠেরই থাকছে। এক একটি ছাতার দাম পড়ছে প্রায় ৩৫০ টাকা করে। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া হয়ে থাকে। সেই কারণে এবার শক্তপক্ত ছাতা নিয়ে আসছে লালবাজার।

বর্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে বৃষ্টি হলেও কোনও ছাদের তলায় বা কোনও ছাউনির নিচে গা বাঁচানোর সুযোগ নেই ট্রাফিক পুলিশের। সে অবস্থাতেও যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য রাস্তায় নেমে ডিউটি করতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। সেই কথা মাথায় রেখে ট্রাফিক পুলিশের জন্য দেড় হাজার ছাতার ব্যবস্থা করেছে লালবাজার। এর জন্য খরচ করেছে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা।  আগেও ছাতা ব্যবহার করত কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। তবে এবার নাইলনের ছাতা দেওয়া হবে, যেগুলি আগের থেকে অনেক বেশি মজবুত এবং হালকা হবে।

আরও পড়ুন: ইডি সিবিআই সেজে লুটপাটের ঘটনা ঠেকাতে সিসিটিভি নজরদারি বাড়াচ্ছে লালবাজার

পুরনো ছাতার মাঝখানে শ্যাফট তৈরি হতো কাঠ দিয়ে। তবে এবার কাঠের বদলে থাকবে ইস্পাত। যদিও ঐতিহ্য বজায় রাখার জন্য হাতল কাঠেরই থাকছে। এক একটি ছাতার দাম পড়ছে প্রায় ৩৫০ টাকা করে। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া হয়ে থাকে। সেই কারণে এবার শক্তপক্ত ছাতা নিয়ে আসছে লালবাজার। ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫টি ট্রাফিক গার্ডের হাতে এই সমস্ত ছাতা তুলে দেওয়া হবে। প্রত্যেকটি ট্রাফিক গার্ডে ৫০ থেকে ৬০ টি করে ছাতা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: সঙ্গীত সংস্থার বিরুদ্ধে সিনেমা চুরির অভিযোগ প্রযোজক পরিচালকের, তদন্তে লালবাজার

এই ছাতাগুলি মূলত কর্তব্যরত কনস্টেবলদের দেওয়া হবে। লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, যেহেতু এক হাতে ছাতা ধরেই ট্রাফিক পুলিশদের ডিউটি করতে হয় সেই কারণে ছাতার ওজন যতটা সম্ভব হালকা অথচ শক্ত করার জন্য বলা হয়েছে নির্মাতা সংস্থাকে। একই সঙ্গে ছাতার মাঝখানকার শ্যাফটে যাতে মরছে না পড়ে এবং দীর্ঘমেয়াদি হয় সে বিষয়টিতে নজর দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রামনবমী নিয়ে সতর্ক লালবাজার, কড়া নিরাপত্তা পুলিশের

ছাতার শিক শক্ত করতে বলা হয়েছে নির্মাতা সংস্থাকে। ছাতার কাপড় তৈরি হবে জলনিরোধক নাইলন দিয়ে। ছাতার একেবারে উপরে লেখা থাকবে কলকাতা পুলিশ। ছাতা বন্ধ থেকে খোলা পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে বিষয়টিতে নজর দিতে বলা হয়েছে নির্মাতা সংস্থাকে। সাধারণত ছাতার বাঁট প্লাস্টিক বা অন্যান্য বস্তু দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে।

কিন্তু সেই ক্ষেত্রে খোলা এবং বন্ধ করার বোতাম অনেক ক্ষেত্রেই তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু, কলকাতা পুলিশ চাইছে ঐতিহ্য বজায় রেখে কাঠের হাতল তৈরি করতে। ছাতা বন্ধ করার এবং খোলার সময় যাতে তাড়াতাড়ি বোতাম নষ্ট না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।