০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদাদগার ইন, কুলি আউট­ বদলাচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন পাক রেল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২২, সোমবার
  • / 9

REPRESENTATIVE IMAGE

পুবের কলম প্রতিবেদক : পাকিস্তানের রেল তাদের শতাব্দী প্রাচীন কুলি পদ্ধতি বদলাতে চাইছে। এই কুলিরা আসলে ভাড়াটে শ্রমিক। তাদের ওপর সেই কোন কাল থেকে শোষণ চলছে একইভাবে। ২৭ মার্চ ছিল বিশ্ব রেলওয়ে শ্রমিক দিবস। পাকিস্তানের রেলওয়ের প্রধান নির্বাহী জাফর জামান রঞ্জা বলেছেন, ‘মাদাদগারস’ শিরোনামের একটি প্রস্তাব প্রস্তুত রয়েছে। তা অনুমোদনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হবে। এখনও বেসরকারি ঠিকাদাররা নানা চুক্তির মাধ্যমে কুলিদের নিয়োগ করে। তাদের শোষণ অব্যাহত রয়েছে।

 

পাকিস্তানের বহু রেলওয়ে স্টেশনগুলি অনেক পুরাতন। বহু স্টেশনে সিঁড়ি রয়েছে। যাত্রীরা এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে ভারী লাগেজ বহন করতে পারে না। এই রেলওয়ে স্টেশনগুলি ইউরোপ বা পশ্চিমের রেলওয়ে স্টেশনের মতো আপগ্রেড করা হয় না। লাহোর রেলওয়ে স্টেশনটি ১৮৫৭ সালের পর পরই তৈরি করা হয়েছিল। সময়ের সঙ্গে তাতে সংস্কার করা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু মূল কাঠামোর পরিবর্তিত হয়নি। এই কারণেই কুলি ছাড়া উপায় নিয়ে। যাত্রীদের পক্ষে এমন পুরাতন সিঁড়ি দিয়ে মাল ওঠানো-নামানো সব সময় সম্ভব হয় না, কুলি লাগেই। তারাই মূলত যাত্রীদের মেরুদণ্ড। এর থেকে তারা মোটামুটি একটা উপার্জন করে থাকেন।

 

পাকিস্তান নয়া যে নীতি আনতে চাইছে, তাতে ওয়েব-ভিত্তিক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনও চালু করা হবে। তাতে সমস্ত অনুমোদিত এবং নিবন্ধিত মাদাদগারদের নাম ডেটাবেস থাকবে। তাদের ছবি থাকবে। অভিযোগের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে। লোকেরা স্টেশনে আসার আগে মাদাদগারকে আগে থেকে বুক করতে পারবেন। এই মাদাদগারদের যা চার্জও, ওই সিস্টেমে দিতে পারবেন যাত্রীরা। ফলে তাদের সময় যেমন বাঁচবে তেমনি মাদাদগাররাও ঠিক-থাকে টাকা পাবেন। স্টেশনগুলিতে নতুন ইউনিফর্ম এবং একটি মাদাদগার ডেস্ক তৈরি করা হবে। একটি জিপিএস আর্মব্যান্ড মাদাদগারের অবস্থান চিহ্নিত করবে। মাদাদগার এবং যাত্রীর মধ্যে কি কথোপকথন হচ্ছে তাও রেকর্ড করা যাবে।
৮৫ বছরের মুহাম্মদ হানিফের চোখে আজও তাজা ১৯৪৭-এর পাক স্বাধীনতা দিবস। তিনি দেখেছেন বহু কিছু। তিনি দীর্ঘদিন কুলির কাজ করেছেন। ভারতের পানিপথের কারনাল জেলা থেকে লাহোরে এসেছিলেন হানিফ। আমি সবসময়ই চাইতাম সরকার আমাদের জন্য কিছু করুক, বলেন হানিফ।

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মাদাদগার ইন, কুলি আউট­ বদলাচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন পাক রেল

আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২২, সোমবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : পাকিস্তানের রেল তাদের শতাব্দী প্রাচীন কুলি পদ্ধতি বদলাতে চাইছে। এই কুলিরা আসলে ভাড়াটে শ্রমিক। তাদের ওপর সেই কোন কাল থেকে শোষণ চলছে একইভাবে। ২৭ মার্চ ছিল বিশ্ব রেলওয়ে শ্রমিক দিবস। পাকিস্তানের রেলওয়ের প্রধান নির্বাহী জাফর জামান রঞ্জা বলেছেন, ‘মাদাদগারস’ শিরোনামের একটি প্রস্তাব প্রস্তুত রয়েছে। তা অনুমোদনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হবে। এখনও বেসরকারি ঠিকাদাররা নানা চুক্তির মাধ্যমে কুলিদের নিয়োগ করে। তাদের শোষণ অব্যাহত রয়েছে।

 

পাকিস্তানের বহু রেলওয়ে স্টেশনগুলি অনেক পুরাতন। বহু স্টেশনে সিঁড়ি রয়েছে। যাত্রীরা এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে ভারী লাগেজ বহন করতে পারে না। এই রেলওয়ে স্টেশনগুলি ইউরোপ বা পশ্চিমের রেলওয়ে স্টেশনের মতো আপগ্রেড করা হয় না। লাহোর রেলওয়ে স্টেশনটি ১৮৫৭ সালের পর পরই তৈরি করা হয়েছিল। সময়ের সঙ্গে তাতে সংস্কার করা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু মূল কাঠামোর পরিবর্তিত হয়নি। এই কারণেই কুলি ছাড়া উপায় নিয়ে। যাত্রীদের পক্ষে এমন পুরাতন সিঁড়ি দিয়ে মাল ওঠানো-নামানো সব সময় সম্ভব হয় না, কুলি লাগেই। তারাই মূলত যাত্রীদের মেরুদণ্ড। এর থেকে তারা মোটামুটি একটা উপার্জন করে থাকেন।

 

পাকিস্তান নয়া যে নীতি আনতে চাইছে, তাতে ওয়েব-ভিত্তিক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনও চালু করা হবে। তাতে সমস্ত অনুমোদিত এবং নিবন্ধিত মাদাদগারদের নাম ডেটাবেস থাকবে। তাদের ছবি থাকবে। অভিযোগের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে। লোকেরা স্টেশনে আসার আগে মাদাদগারকে আগে থেকে বুক করতে পারবেন। এই মাদাদগারদের যা চার্জও, ওই সিস্টেমে দিতে পারবেন যাত্রীরা। ফলে তাদের সময় যেমন বাঁচবে তেমনি মাদাদগাররাও ঠিক-থাকে টাকা পাবেন। স্টেশনগুলিতে নতুন ইউনিফর্ম এবং একটি মাদাদগার ডেস্ক তৈরি করা হবে। একটি জিপিএস আর্মব্যান্ড মাদাদগারের অবস্থান চিহ্নিত করবে। মাদাদগার এবং যাত্রীর মধ্যে কি কথোপকথন হচ্ছে তাও রেকর্ড করা যাবে।
৮৫ বছরের মুহাম্মদ হানিফের চোখে আজও তাজা ১৯৪৭-এর পাক স্বাধীনতা দিবস। তিনি দেখেছেন বহু কিছু। তিনি দীর্ঘদিন কুলির কাজ করেছেন। ভারতের পানিপথের কারনাল জেলা থেকে লাহোরে এসেছিলেন হানিফ। আমি সবসময়ই চাইতাম সরকার আমাদের জন্য কিছু করুক, বলেন হানিফ।