১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাফ মিনিস্টার হাওয়াই চটির একটা দোকান খুলুন, সুকান্তকে কটাক্ষ মমতার

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার
  • / 30

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  শিখ সম্প্রদায়ের এক পুলিশ অফিসারের মাথায় প্রতীকী হাওয়ায় চটি ছোড়াকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য বিধানসভা। মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় সুকান্ত মজুমদার। বাংলার প্রধান বিরোধী দলকে সুকান্ত-প্রসঙ্গ টেনেই তির বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভার প্রথমার্ধে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন সরগরম হয় পরিস্থিতি। রাজ্যের শাসক-বিরোধীর মধ্যে চলল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। তখনই মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল নাম না করে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথা। এমনকী, তোপ দেগে সুকান্তকে ‘বিশেষ পরামর্শও’ দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নাম না করে সুকান্তকে ‘হাফ মন্ত্রী’ বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আরও দাবি, ‘উনি তো পাঞ্জাবীদের হাওয়াই চটি ছুড়েছেন। হাফ মিনিস্টার হাওয়াই চটির একটা দোকান খুলুন না!’

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর হাতে নামকরণ: শম্পা ধারার মেয়ের নাম রাখলেন ‘ঐশী’

কিন্তু হঠাৎ করেই এই হাওয়াই চটির কথা উঠল কেন? গত বৃহস্পতিবার মহেশতলা কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির চলা মিছিল থেকেই সূত্রপাত সমস্যার। সেদিন তুলসী গাছ নিয়ে কালীঘাট অভিযানে নামে রাজ্য বিজেপি। নেতৃত্ব দেন সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু কালীঘাটে পৌঁছনোর মুখে তাদের রুখে দেয় পুলিশ। উত্তাল হয় পরিস্থিতি। প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বিজেপি নেতা-নেত্রীদের।

আরও পড়ুন: খিদিরপুরে মার্কেট পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী, ক্ষতিপূরণের ঘোষণা

তখনই প্রিজন ভ্যানের ভিতর থেকে প্রতীকী হাওয়াই চটি ছুড়ে মারেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যা গিয়ে এক কর্তব্যরত শিখ পুলিশ আধিকারিকের পাগড়িতে লাগে বলে অভিযোগ বাংলার এক শিখ সম্প্রদায় সংগঠনের। সেই নিয়ে একটি বিবৃতিও জারি করে তারা। যাতে সাফ বলা হয়, সুকান্ত মজুমদার ক্ষমা না চাইলে বড় আন্দোলনের পথে নামবে বাংলার শিখ গোষ্ঠী।

আরও পড়ুন: বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে দেশছাড়া করা হচ্ছে! এ নিয়ে বিধানসভায় সরব মমতা

তবে এই সংগঠনের তোলা অভিযোগকে নস্যাৎ করে দেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, ‘শিখ সম্প্রদায়ের কোনও ব্যক্তির সঙ্গে আমি কিছু করিনি। যার মাথায় পড়েছে, সে আমার পাশেই আছে। তিনি কোনও অভিযোগ করেননি। কিছু মানুষ অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। সরস্বতীকে যখন আমরা অঞ্জলি দিয়ে ফুল ছুরি সেটা যদি হাঁসের মাথায় গিয়ে পড়ে তাহলে কি কোনও অন্যায় হয় তার মাথায় পড়েছে সে আমার নিরাপত্তারক্ষী।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হাফ মিনিস্টার হাওয়াই চটির একটা দোকান খুলুন, সুকান্তকে কটাক্ষ মমতার

আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  শিখ সম্প্রদায়ের এক পুলিশ অফিসারের মাথায় প্রতীকী হাওয়ায় চটি ছোড়াকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য বিধানসভা। মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় সুকান্ত মজুমদার। বাংলার প্রধান বিরোধী দলকে সুকান্ত-প্রসঙ্গ টেনেই তির বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভার প্রথমার্ধে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন সরগরম হয় পরিস্থিতি। রাজ্যের শাসক-বিরোধীর মধ্যে চলল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। তখনই মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল নাম না করে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথা। এমনকী, তোপ দেগে সুকান্তকে ‘বিশেষ পরামর্শও’ দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নাম না করে সুকান্তকে ‘হাফ মন্ত্রী’ বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আরও দাবি, ‘উনি তো পাঞ্জাবীদের হাওয়াই চটি ছুড়েছেন। হাফ মিনিস্টার হাওয়াই চটির একটা দোকান খুলুন না!’

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর হাতে নামকরণ: শম্পা ধারার মেয়ের নাম রাখলেন ‘ঐশী’

কিন্তু হঠাৎ করেই এই হাওয়াই চটির কথা উঠল কেন? গত বৃহস্পতিবার মহেশতলা কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির চলা মিছিল থেকেই সূত্রপাত সমস্যার। সেদিন তুলসী গাছ নিয়ে কালীঘাট অভিযানে নামে রাজ্য বিজেপি। নেতৃত্ব দেন সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু কালীঘাটে পৌঁছনোর মুখে তাদের রুখে দেয় পুলিশ। উত্তাল হয় পরিস্থিতি। প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বিজেপি নেতা-নেত্রীদের।

আরও পড়ুন: খিদিরপুরে মার্কেট পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী, ক্ষতিপূরণের ঘোষণা

তখনই প্রিজন ভ্যানের ভিতর থেকে প্রতীকী হাওয়াই চটি ছুড়ে মারেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যা গিয়ে এক কর্তব্যরত শিখ পুলিশ আধিকারিকের পাগড়িতে লাগে বলে অভিযোগ বাংলার এক শিখ সম্প্রদায় সংগঠনের। সেই নিয়ে একটি বিবৃতিও জারি করে তারা। যাতে সাফ বলা হয়, সুকান্ত মজুমদার ক্ষমা না চাইলে বড় আন্দোলনের পথে নামবে বাংলার শিখ গোষ্ঠী।

আরও পড়ুন: বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে দেশছাড়া করা হচ্ছে! এ নিয়ে বিধানসভায় সরব মমতা

তবে এই সংগঠনের তোলা অভিযোগকে নস্যাৎ করে দেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, ‘শিখ সম্প্রদায়ের কোনও ব্যক্তির সঙ্গে আমি কিছু করিনি। যার মাথায় পড়েছে, সে আমার পাশেই আছে। তিনি কোনও অভিযোগ করেননি। কিছু মানুষ অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। সরস্বতীকে যখন আমরা অঞ্জলি দিয়ে ফুল ছুরি সেটা যদি হাঁসের মাথায় গিয়ে পড়ে তাহলে কি কোনও অন্যায় হয় তার মাথায় পড়েছে সে আমার নিরাপত্তারক্ষী।’