০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর বয়স ১৮–র বেশি হলে বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ নয় : এলাহাবাদ হাইকোর্ট

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার
  • / 28

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: স্ত্রীর বয়স ১৮ বা তার বেশি হলে বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ নয়, এমনটাই মন্তব্য করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ন মিশ্রর বেঞ্চ এই মন্তব্য করে।

এক স্ত্রী অভিযোগ জানিয়েছিলেন তার স্বামী বিয়ের পর থেকে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করত। শুধু তাই নয় ‘অপ্রাকৃতিক অপরাধ’ ও করত তার স্বামী (প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে যৌন সম্পর্ক)।

‘অপ্রাকৃতিক অপরাধ’ এর জন্য ওই স্বামীর বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৭৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই অপরাধ থেকে তাকে মুক্ত করেছে আদালত। যদিও ৪৯৮–এ ও ৩২৩ ধারায় এখনও মামলা চলছে তার বিরুদ্ধে।

আদালত জানিয়েছে, দেশে এখনও বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়নি, সেই করণেই ওই ব্যক্তিকে ৩৭৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার জন্য যে আবেদন সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল তা এখনও বিচারাধীন। সুপ্রিম কোর্ট এই নিয়ে শুনানি করেনি এখনও। তাই সুপ্রিম কোর্ট নিজের সিদ্ধান্ত যতদিন না জানাচ্ছে, স্ত্রীর বয়স ১৮ বা তার বেশি হলে বৈবাহিক ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধ হিসবে দেখাতে পারবে না তারা।

এর আগে একই মন্তব্য করেছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। তাদের পর্যবেক্ষণকেও এদিন সমর্থন জানায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এবছরের শুরুর দিকে সুপ্রিম কোর্ট শুনানি করতেও চেয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের পক্ষ থেকে জানিয়েছিল, বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ সাব্যস্ত করলে তার একটা সামাজিক প্রভাব দেখা যাবে।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্ত্রীর বয়স ১৮–র বেশি হলে বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ নয় : এলাহাবাদ হাইকোর্ট

আপডেট : ৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: স্ত্রীর বয়স ১৮ বা তার বেশি হলে বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ নয়, এমনটাই মন্তব্য করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ন মিশ্রর বেঞ্চ এই মন্তব্য করে।

এক স্ত্রী অভিযোগ জানিয়েছিলেন তার স্বামী বিয়ের পর থেকে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করত। শুধু তাই নয় ‘অপ্রাকৃতিক অপরাধ’ ও করত তার স্বামী (প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে যৌন সম্পর্ক)।

‘অপ্রাকৃতিক অপরাধ’ এর জন্য ওই স্বামীর বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৭৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই অপরাধ থেকে তাকে মুক্ত করেছে আদালত। যদিও ৪৯৮–এ ও ৩২৩ ধারায় এখনও মামলা চলছে তার বিরুদ্ধে।

আদালত জানিয়েছে, দেশে এখনও বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়নি, সেই করণেই ওই ব্যক্তিকে ৩৭৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার জন্য যে আবেদন সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল তা এখনও বিচারাধীন। সুপ্রিম কোর্ট এই নিয়ে শুনানি করেনি এখনও। তাই সুপ্রিম কোর্ট নিজের সিদ্ধান্ত যতদিন না জানাচ্ছে, স্ত্রীর বয়স ১৮ বা তার বেশি হলে বৈবাহিক ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধ হিসবে দেখাতে পারবে না তারা।

এর আগে একই মন্তব্য করেছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। তাদের পর্যবেক্ষণকেও এদিন সমর্থন জানায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এবছরের শুরুর দিকে সুপ্রিম কোর্ট শুনানি করতেও চেয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের পক্ষ থেকে জানিয়েছিল, বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ সাব্যস্ত করলে তার একটা সামাজিক প্রভাব দেখা যাবে।