মথুরা সফরে প্রধানমন্ত্রী, ‘কৃষ্ণ জন্মভূমি’তে প্রার্থনা করবেন মোদি

- আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার
- / 11
লখনউ, ২৩ নভেম্বর: সামনে নতুন বছর। তারপরই লোকসভা নির্বাচন। আর এখন চলছে কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সব মিলিয়ে বাতাসে ভালোই ভোট-ভোট গন্ধ। আর এই আবহে উত্তরপ্রদেশের মথুরা সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার তিনি কৃষ্ণভক্ত ‘মীরাবাই জন্মোৎসব’-এ অংশ নেবেন। প্রার্থনা করবেন ‘কৃষ্ণ জন্মভূমি’তেও। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী মীরাবাইয়ের সম্মানে একটি স্মারক ডাকটিকিট, মুদ্রা প্রকাশ করবেন এবং এই উপলক্ষে আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত জোরদার করা হয়েছে। শহরকে ৮টি জোন ৩২ সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রথমেই ‘কৃষ্ণ জন্মভূমি’ পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রার্থনা করার পর বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি ‘মীরাবাই জন্মোৎসব’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। মথুরার সাংসদ তথা বলিউড অভিনেত্রী হেমা মালিনী উপস্থাপিত মীরাবাইয়ের উপর একটি ৫ মিনিটের তথ্যচিত্র এবং একটি নৃত্যনাট্যও প্রদর্শিত হবে। প্রধানমন্ত্রী এদিন মীরাবাইয়ের সম্মানে একটি পোস্টাল স্ট্যাম্প এবং ৫২৫ টাকার একটি কয়েনও প্রকাশ করবেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে আর্মি হেলিপ্যাড থেকে ‘কৃষ্ণ জন্মভূমি’ পর্যন্ত রাস্তা সাজানো হয়েছে রঙিন আলোয়। প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে যাতে কোনও রাস্তার বেওয়ারিশ গরু বা পশু চলে না আসে সেজন্য রাস্তার দুই পাশে ব্যারিকেড করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কনভয় যেসব এলাকা দিয়ে যাবে সেইসব এলাকার বাড়ির ছাদে স্নাইপার মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মথুরায় শাহী ঈদগাহ মসজিদ স্থানটিকে ‘কৃষ্ণ জন্মভূমি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে আদালতে মামলা হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত ২০২০ সালে। মথুরায় কৃষ্ণ জন্মভূমি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা এলাহাবাদ হাইকোর্টে দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মহেক মাহেশ্বরী। পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল যে বর্তমানে মথুরায় শাহি ইদগাহ মসজিদটি যে স্থানে রয়েছে, তা শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির অংশ। জোর করে সেখানে মসজিদ স্থাপন করা হয়েছে। উগ্রবাদীদের হুঁশিয়ারি ছিল, ‘বাবরি তো ঝাঁকি হ্যায়, কাশি-মথুরা বাকি হ্যায়।’ সেই লক্ষ্যেই মসজিদগুলিকে অহেতুক টার্গেট করা হচ্ছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের। আর এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর ‘কৃষ্ণ জন্মভূমি’ পরিদর্শন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।