শিল্পনগরী দুর্গাপুরে মেডিক্যাল ছাত্রীকে গণধর্ষণ! রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্যভবনের

- আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার
- / 156
পুবের কলম প্রতিবেদক, দুর্গাপুর: আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার ক্ষত এখনও শুকায়নি, এরই মধ্যে মেডিক্যাল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য। এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ শিল্পনগরী দুর্গাপুরে।
ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা ওই তরুণী শুক্রবার রাতে এক পরিচিত সহপাঠীর সঙ্গে কলেজের বাইরে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, কয়েকজন যুবক তাদের উত্ত্যক্ত করার পর তরুণীকে টেনে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। দুষ্কৃতীরা তরুণীর কাছ থেকে মোবাইল ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। পুরুষ সঙ্গী কোনওভাবে পালিয়ে গিয়ে পুলিশকে খবর দেন। অবশ্য ওই সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তার বক্তব্য নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত জানান, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে।’
শনিবার সকালে ওড়িশা থেকে নির্যাতিতার বাবা ও পরিবারের সদস্যরা দুর্গাপুরে পৌঁছান। তারা বলেন, ‘ভিনরাজ্যে মেয়েকে পড়তে পাঠিয়ে এমন ঘটবে ভাবিনি। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।’ নির্যাতিতার মা দাবি করেন, ‘মেয়ে প্রথমে ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে চায়নি। তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এক যুবক নিয়ে যায়। সে সময়ে আরও ৩-৪ জন তাদের পিছু নিয়েছিল। এই সময়ে হঠাৎ মেয়ের সঙ্গে থাকা যুবক জঙ্গলে ঢুকে যায়। সেই সুযোগে বাকিরা তাকে ওই জঙ্গলে নিয়ে গিয়েই ধর্ষণ করে।’ পুলিশ তাদের আশ্বস্ত করেছে যে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে স্বাস্থ্যভবন। কলেজ কর্তৃপক্ষকে রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তার কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে একাধিক দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে, সহপাঠীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনায় শহরে নিন্দার ঝড় বইছে।
দুর্গাপুরে দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়ার গণধর্ষণের অভিযোগে তৎপর রাজ্যের স্বাস্থ্যভবন। ওই বেসরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। ঠিক কী ঘটেছে, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল – এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।