দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম: চাকরি থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি এবং বিজেপির সাম্প্রদায়িকতা ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে মুরারই থেকে প্রচার শুরু করলেন বীরভূম লোকসভার জোট প্রার্থী কংগ্রেসের মিলটন রসিদ। ঘরের ছেলে হিসেবে যিনি সব সময় মানুষের পাশে থেকেছেন লড়াকু নেতা মিলটন। পাশাপাশি, বিজেপি এই কেন্দ্রে এখনও কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করলেও, এই লোকসভা কেন্দ্রে একমাত্র সংখ্যালঘু প্রার্থী তিনি।
শুধু তাই নয়, জেলার এই লোকসভা কেন্দ্রে অনেক এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংখ্যা বেশি। এছাড়াও অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের জন্য মিল্টনের গ্রহণযোগ্যতা অসীম। নলহাটি ছিল বামেদের শক্ত ঘাঁটি। এখনও জেলা পরিষদে বামেদের বিরোধী দলনেতা এলাকার মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন। পাশাপাশি, মুরারই কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মোতাহার হোসেনের জায়গা। এদিক থেকে মিল্টন ভালো লড়াই দিতে পারবে বলে তথ্যভিজ্ঞ মহলের ধারণা।
এক সময় বলা হতো হাঁসনে কংগ্রেসের সূর্য কোনদিন অস্ত যায় না। সেটার প্রমাণ পাওয়া যায় ২০১৬ সালে। কংগ্রেসের টিকিটে জেতা দীর্ঘদিনের বিধায়ক অসিত মাল তৃণমূলে যোগদানের পর, কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মিল্টন রসিদ জয়ী হন। মাড়্গ্রামের ভূমিপুত্র মিলটন রশিদ ১৬,১৫৪ ভোটে তৃণমূল প্রার্থী অসিত মালকে পরাজিত করেন তিনি। তবে, একুশ সালের বিধান সভায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অশোক চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হন। মিল্টন রসিদের প্লাস পয়েন্ট তিনি সারাবছর ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন নিয়ে মানুষের পাশে থেকেছেন।
কখনও পুরোহিত ভাতা নিয়ে, আবার কখনো খানকা শরিফের কাছে দ্বারকা নদীর সেতু, কখনো দেবগ্রামে কজ ওয়ে, লোহাপুরে থানা, মাড়গ্রামে জল প্রকল্প, বিষ্ণুপুরে হাসপাতালের উন্নয়ন বা মাড়্গ্রাম হাসপাতালের বেড বাড়ানো নিয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিধান সভায় দাবি তুলেছেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে আদায় করে ছেড়েছেন। এছাড়াও, রাত বিরেতে হাসপাতাল থেকে শ্মশান বা কবর স্থানে অর্থাৎ মানুষের বিপদে আপদে তিনি থেকেছেন।
এই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এদিন বুধবার মুরারইয়ের দলীয় কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। এদিনের বৈঠকে দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের জোট প্রার্থী কংগ্রেসের মিলটন রসিদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বীরভূম জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আসিফ ইকবাল,মুরারই এক নম্বর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মোতাহার হোসেন, সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম ও অন্যান্য কংগ্রেসের কার্যকর্তারা। মিলটন রসিদ জানান, জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।