০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৃতদের নামে রেশন সামগ্রী আত্মসাৎ , বিস্মিত  হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৭ জুন ২০২৩, বুধবার
  • / 14

পারিজাত মোল্লা:  রাজ্যে রেশন দুর্নীতি নতুন নয়।  মৃত ব্যক্তিদের নামে ডিলারদের রেশন আত্মসাৎ করার অভিযোগ নিয়ে কড়া ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য। বছর কয়েক আগে মৃত ব্যক্তিদের রেশন তোলার অভিযোগ ওঠে নদিয়ার গয়েশপুরে। সব জেনেশুনেও জেলাশাসক কেন চুপ ছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সেই মামলাতেই বুধবার জেলাশাসককে ভর্ত্‍সনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

মৃতের কার্ডে রেশন তুলে কী করে তা বাজারে বিক্রি করা হয়! তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি বললেন, ‘এটা সামাজিক অপরাধ।’ মৃতদের নামে রেশন তোলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় রেশন ডিলারকে।

আগামী শুক্রবার ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

এই মামলায় মূল অভিযোগ ছিল, আমিরুল ইসলাম মণ্ডল নামে এক রেশন ডিলার এলাকার মৃত ৭৩ জন বাসিন্দার কার্ড ব্যবহার করে রেশনের দ্রব্য তুলে খোলা বাজারে বিক্রি করতেন। সব জেনেও পদক্ষেপ না করার অভিযোগ ওঠে তত্‍কালীন জেলাশাসকের বিরুদ্ধে। সে কারণে ২০২০ সালে তাঁকে হাজিরাও দিতে হয়েছিল আদালতে। কেন মাত্র ৪২ হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে ওই ব্যক্তি ছেড়ে দেওয়া হল? সেই প্রশ্নও উঠেছে হাইকোর্টে এদিনকার  শুনানিতে।

হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, -‘প্রয়োজনে তত্‍কালীন জেলাশাসকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে পদক্ষেপ করতে হবে’।এদিন কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মৃতের কার্ডে রেশন তুলে কী করে বাজারে বিক্রি করে। এটা সামাজিক অপরাধ। সে ৭৩ বা ৩১, কার্ডের সংখ্যা যাই হোক না কেন!” প্রধান বিচারপতির মত, শুধুমাত্র সাসপেন্ড করা কোনও শাস্তি নয়। কেন আর কোনও পদক্ষেপ করা হল না?, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি।দোষ পাওয়া গেল আর সাসপেন্ড করা হল! সেটা কোনও শাস্তি নয়। কেনও আর কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি?

উল্লেখ্য,  ২০২০ সালে রাজ্যজুড়ে রেশন নিয়ে দুর্নীতি নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৭১ জন রেশন ডিলারকে শোকজ করে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ১৯ জনকে। পাশাপাশি এই ঘটনায় ফুড কমিশনারকেও তলব করেছিলেন মুখ‍্যসচিব।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মৃতদের নামে রেশন সামগ্রী আত্মসাৎ , বিস্মিত  হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি

আপডেট : ৭ জুন ২০২৩, বুধবার

পারিজাত মোল্লা:  রাজ্যে রেশন দুর্নীতি নতুন নয়।  মৃত ব্যক্তিদের নামে ডিলারদের রেশন আত্মসাৎ করার অভিযোগ নিয়ে কড়া ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য। বছর কয়েক আগে মৃত ব্যক্তিদের রেশন তোলার অভিযোগ ওঠে নদিয়ার গয়েশপুরে। সব জেনেশুনেও জেলাশাসক কেন চুপ ছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সেই মামলাতেই বুধবার জেলাশাসককে ভর্ত্‍সনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

মৃতের কার্ডে রেশন তুলে কী করে তা বাজারে বিক্রি করা হয়! তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি বললেন, ‘এটা সামাজিক অপরাধ।’ মৃতদের নামে রেশন তোলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় রেশন ডিলারকে।

আগামী শুক্রবার ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

এই মামলায় মূল অভিযোগ ছিল, আমিরুল ইসলাম মণ্ডল নামে এক রেশন ডিলার এলাকার মৃত ৭৩ জন বাসিন্দার কার্ড ব্যবহার করে রেশনের দ্রব্য তুলে খোলা বাজারে বিক্রি করতেন। সব জেনেও পদক্ষেপ না করার অভিযোগ ওঠে তত্‍কালীন জেলাশাসকের বিরুদ্ধে। সে কারণে ২০২০ সালে তাঁকে হাজিরাও দিতে হয়েছিল আদালতে। কেন মাত্র ৪২ হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে ওই ব্যক্তি ছেড়ে দেওয়া হল? সেই প্রশ্নও উঠেছে হাইকোর্টে এদিনকার  শুনানিতে।

হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, -‘প্রয়োজনে তত্‍কালীন জেলাশাসকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে পদক্ষেপ করতে হবে’।এদিন কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মৃতের কার্ডে রেশন তুলে কী করে বাজারে বিক্রি করে। এটা সামাজিক অপরাধ। সে ৭৩ বা ৩১, কার্ডের সংখ্যা যাই হোক না কেন!” প্রধান বিচারপতির মত, শুধুমাত্র সাসপেন্ড করা কোনও শাস্তি নয়। কেন আর কোনও পদক্ষেপ করা হল না?, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি।দোষ পাওয়া গেল আর সাসপেন্ড করা হল! সেটা কোনও শাস্তি নয়। কেনও আর কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি?

উল্লেখ্য,  ২০২০ সালে রাজ্যজুড়ে রেশন নিয়ে দুর্নীতি নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৭১ জন রেশন ডিলারকে শোকজ করে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ১৯ জনকে। পাশাপাশি এই ঘটনায় ফুড কমিশনারকেও তলব করেছিলেন মুখ‍্যসচিব।