চলতি মরশুমে লিভারপুলের যে খারাপ অবস্থা, তাতে তারা ম্যানইউ’র সামনে পড়ে উড়ে যেতে পারে সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন ফুটবল বোদ্ধারা। যদিও সবাইকে অবাক করে দিয়ে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাবটিকে মাঠে দুরমুশ করে ছাড়লেন জুরগেন ক্লপের শিষ্যরা। ম্যানইউর জালে ৭ গোল ঠেলে প্রিমিয়ার লিগে রীতিমতো ইতিহাস গড়লেন মুহাম্মদ সালাহরা।
আন্ডারডগ থেকে একেবারে প্রতিপক্ষ দলের নাভিশ্বাস তুলে দিয়ে সবাইকে চমকে দিলেন লিভারপুল ফুটবলাররা। রীতিমত গোল উসবে মেতে ওঠেন তারা। গুনে গুনে ম্যানইউকে ৭ গোল উপহার লিভাপুলের। এমন লজ্জার হারের মুখোমুখি ম্যানইউ শেষবার ১৯৩১ সালে হয়েছিল।উলভারহ্যাম্পন ওয়ান্ডারার্সের কাছে ৭-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল ম্যানইউ।
বিগত ৯২ বছরে এমন বড় ব্যবধানের পরাজয়ের কবলে পড়েনি তারা। এমনিতেই ফুটবলের মাঠে ম্যানইউ-লিভারপুল দ্বন্দ্ব ঐতিহাসিক। শিরোপা জিততে পারুক আর না পারুক, দুই দলের কাছে এটা মর্যাদার লড়াই। সেই লড়াইয়ে শতবর্ষের ইতিহাসে ম্যানইউকে এত বড় ব্যবধানে হারাল লিভারপুল।
নেদারল্যান্ডস তারকা কোডি গাকপোর হাত ধরে ম্যাচের ৪৩ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় লিভারপুল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে (৫০ মিনিট) ডাচ তারকা গাকপো নিজের দ্বিতীয় গোল করেন । যদিও তার আগেই (৪৭ মিনিটে) উরুগুয়ের নতুন আবিষ্কার ন্যুনেজ লিভারপুলের হয়ে তূতীয় গোল করে যান। ৬৬ মিনিটে গোল করেন লিভারপুলের মিশরীয় তারকা মুহাম্মদ সালাহ।
৭৫ মিনিটে ন্যুনেজ ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন। এর মাঝে ম্যাচের ৮৩ মিনিটে মুহাম্মদ সালাহও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন। শেষদিকে গাকপোর পরিবর্ত হিসেবে খেলতে নামা ব্রাজিল তারকা রবার্তো ফিরমিনো দলের হয়ে সপ্তম গোল করেন ৮৮ মিনিটে। এই পরাজয় নিয়ে ম্যানইউ ২৫ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরেই থাকল। সেখানে লিভারপুল সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের পাঁচ নম্বরে উঠে এলো।