মুসলিম ব্রাদারহুডকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণার উদ্যোগ ট্রাম্পের
- আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার
- / 46
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিম ব্রাদারহুডের নির্দিষ্ট কিছু শাখাকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন (FTO) এবং ‘বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। সোমবার একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তিনি এ নির্দেশ দেন। সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সংগঠনটির ওপর কঠোর অর্থনৈতিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, ট্রাম্প পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টকে নির্দেশ দিয়েছেন—লেবানন, মিসর ও জর্ডানে মুসলিম ব্রাদারহুডের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে এগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণার উপযোগিতা নির্ধারণ করতে। ৪৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মুসলিম ব্রাদারহুডের আন্তঃদেশীয় নেটওয়ার্ক মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন স্বার্থ ও তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ, সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা ছড়াতে ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছে ট্রাম্প প্রশাসন। অভিযোগ করা হচ্ছে—সংগঠনটির বিভিন্ন শাখা ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের ওপর হামলার সমর্থন বা উসকানি দিচ্ছে এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র দল হামাসকে আর্থিক ও লজিস্টিক সহায়তাও প্রদান করছে।
দীর্ঘদিন ধরেই রিপাবলিকান দল এবং যুক্তরাষ্ট্রের অতি ডানপন্থি মহল মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করার দাবিতে সোচ্চার। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় মেয়াদের কয়েক মাস পর আবারও এই ঘোষণার দিকে প্রশাসন এগোচ্ছে বলে জানান মার্কো রুবিও।
এ ছাড়া গত সপ্তাহে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট রাজ্য পর্যায়েও মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেন।
১৯২০-এর দশকে মিসরে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক আন্দোলন হিসেবে পথচলা শুরু করা মুসলিম ব্রাদারহুড পরবর্তীকালে দ্রুত বিভিন্ন মুসলিম দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং শক্তিশালী রাজনৈতিক-সামাজিক প্রভাব তৈরি করে। অনেক সময় গোপনে পরিচালিত হলেও এটি আরব বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।



























