২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মুসলিম ডেলিভারি বয়’, যেন খাবার দিতে না আসে, ‘সুইগি’ কে ট্যাগ করে কমেন্ট ক্রেতার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 145

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : খাবারের অ্যাপগুলি বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু এবার সেই অ্যাপেও মিললো সাম্প্রদায়িক বিভেদের ছায়া। এক ক্রেতা খাবারের অর্ডার দেওয়ার সময় লিখেছেন, ‘কোনও মুসলিম ডেলিভারি বয় যেন তাকে খাবার দিতে না আসে’। ক্রেতার এই ধরনের বক্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।

জানা গেছে, হায়দরাবাদের তেলেঙ্গানা রাজ্যে ‘সুইগি’ অ্যাপ ভিত্তিক খাবার সংস্থাকে এই ধরনের বক্তব্য শুনতে হয়েছে একজন ক্রেতার কাছ থেকে।

আরও পড়ুন: ভেজ রোলে চিকেনের টুকরো! রেস্টুরেন্ট ও সুইগির জরিমানা ১০ হাজার, খচর বাবদ আরও ৫ হাজার

ক্রেতা লিখছেন, তাকে খাবার দিতে যেন কোনও ‘মুসলিম ডেলিভারি বয়’ না আসে। ক্রেতার এই ধরনের অনৈতিক অনুরোধ ঘিরে বহু মানুষ সমালোচনা করেছেন।

আরও পড়ুন: ঘুম থেকে ওঠার পরেই ই-মেলে এল সেই দুঃসংবাদ! ছাঁটাই ৩৮০, সুইগি কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন, সংস্থার সিইও

প্রশ্ন উঠেছে, খাদ্যের কি ধর্ম আছে, যা নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে?

গিগ ইকোনমিক সিস্টেমের মধ্যে নিযুক্ত কর্মীদের একটি সংস্থার প্রধান শাইক সালাউদ্দিন সুইগি এই স্ক্রিন শটটি শেয়ার করেছেন। সালাউদ্দিন আবেদন করেছেন, এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। শাইক সালাউদ্দিন স্ক্রিন শটটি শেয়ার করে লিখেছেন, প্রতিটি ক্রেতার খাবার পাঠানোর জন্য এখানে এসেছি, তা সে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ যাই হোক না কেন। মাজহাব না শিখাতা আপাস মে বাইর রাখনা (ধর্ম একে অপরের সঙ্গে শত্রুতা শেখায় না)।  তবে এই ঘটনা নিয়ে এখনও কোনও উত্তর দেয়নি সুইগি।

ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কর্ণাটকের কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে কার্তি লিখেছেন, ‘প্ল্যাটফর্ম সংস্থাগুলি বসে বসে দেখতে পারে না, কারণ গিগ কর্মীরা ধর্মের নামে এমন নির্লজ্জ গোঁড়ামির মুখোমুখি হয়। গিগ কর্মীদের অধিকার রক্ষার জন্য এই ধরনের সংস্থাগুলি কী পদক্ষেপ নেবে?’ তিনি তার এই মন্তব্য সুইগিকে ট্যাগও করেন।

উল্লেখ্য, ধর্মের নামে গোড়ামি কোনও নতুন ঘটনা নয়। মানুষ নিজেকে যত আধুনিক, শিক্ষিত বলে দাবি করছে, ততই ধর্মের নামে অবমাননাকর মন্তব্যের ঘটনা বাড়ছে।

২০১৯ সালে এই রকমই একটি ঘটনা সামনে আসে। জ্যোমাটো খাবার ডেলিভারি অ্যাপের অর্ডারটি বাতিল করেন এক ব্যক্তি। সেই সময় ওই ব্যক্তি লিখেছিলেন, মুসলিম ডেলিভারি বয় পাঠানোর জন্য তিনি অর্ডারটি বাতিল করেছেন।

সেই সময় জ্যোমাটো সিইও দীপেন্দ্র গয়াল তার প্রতিক্রিয়া একটি ট্যুইটে লেখেন, ‘খাদ্যের কোনও ধর্ম নেই। বৈচিত্রময় এই ভারতে সম্মানিত গ্রাহক এবং অংশীদারদের নিয়ে আমরা গর্ব অনুভব করি। আমাদের মূল্যবোধের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এমন কোনও ব্যবসা হারানোর জন্য আমরা দুঃখিত নই’।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘মুসলিম ডেলিভারি বয়’, যেন খাবার দিতে না আসে, ‘সুইগি’ কে ট্যাগ করে কমেন্ট ক্রেতার

আপডেট : ১ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : খাবারের অ্যাপগুলি বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু এবার সেই অ্যাপেও মিললো সাম্প্রদায়িক বিভেদের ছায়া। এক ক্রেতা খাবারের অর্ডার দেওয়ার সময় লিখেছেন, ‘কোনও মুসলিম ডেলিভারি বয় যেন তাকে খাবার দিতে না আসে’। ক্রেতার এই ধরনের বক্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।

জানা গেছে, হায়দরাবাদের তেলেঙ্গানা রাজ্যে ‘সুইগি’ অ্যাপ ভিত্তিক খাবার সংস্থাকে এই ধরনের বক্তব্য শুনতে হয়েছে একজন ক্রেতার কাছ থেকে।

আরও পড়ুন: ভেজ রোলে চিকেনের টুকরো! রেস্টুরেন্ট ও সুইগির জরিমানা ১০ হাজার, খচর বাবদ আরও ৫ হাজার

ক্রেতা লিখছেন, তাকে খাবার দিতে যেন কোনও ‘মুসলিম ডেলিভারি বয়’ না আসে। ক্রেতার এই ধরনের অনৈতিক অনুরোধ ঘিরে বহু মানুষ সমালোচনা করেছেন।

আরও পড়ুন: ঘুম থেকে ওঠার পরেই ই-মেলে এল সেই দুঃসংবাদ! ছাঁটাই ৩৮০, সুইগি কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন, সংস্থার সিইও

প্রশ্ন উঠেছে, খাদ্যের কি ধর্ম আছে, যা নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে?

গিগ ইকোনমিক সিস্টেমের মধ্যে নিযুক্ত কর্মীদের একটি সংস্থার প্রধান শাইক সালাউদ্দিন সুইগি এই স্ক্রিন শটটি শেয়ার করেছেন। সালাউদ্দিন আবেদন করেছেন, এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। শাইক সালাউদ্দিন স্ক্রিন শটটি শেয়ার করে লিখেছেন, প্রতিটি ক্রেতার খাবার পাঠানোর জন্য এখানে এসেছি, তা সে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ যাই হোক না কেন। মাজহাব না শিখাতা আপাস মে বাইর রাখনা (ধর্ম একে অপরের সঙ্গে শত্রুতা শেখায় না)।  তবে এই ঘটনা নিয়ে এখনও কোনও উত্তর দেয়নি সুইগি।

ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কর্ণাটকের কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে কার্তি লিখেছেন, ‘প্ল্যাটফর্ম সংস্থাগুলি বসে বসে দেখতে পারে না, কারণ গিগ কর্মীরা ধর্মের নামে এমন নির্লজ্জ গোঁড়ামির মুখোমুখি হয়। গিগ কর্মীদের অধিকার রক্ষার জন্য এই ধরনের সংস্থাগুলি কী পদক্ষেপ নেবে?’ তিনি তার এই মন্তব্য সুইগিকে ট্যাগও করেন।

উল্লেখ্য, ধর্মের নামে গোড়ামি কোনও নতুন ঘটনা নয়। মানুষ নিজেকে যত আধুনিক, শিক্ষিত বলে দাবি করছে, ততই ধর্মের নামে অবমাননাকর মন্তব্যের ঘটনা বাড়ছে।

২০১৯ সালে এই রকমই একটি ঘটনা সামনে আসে। জ্যোমাটো খাবার ডেলিভারি অ্যাপের অর্ডারটি বাতিল করেন এক ব্যক্তি। সেই সময় ওই ব্যক্তি লিখেছিলেন, মুসলিম ডেলিভারি বয় পাঠানোর জন্য তিনি অর্ডারটি বাতিল করেছেন।

সেই সময় জ্যোমাটো সিইও দীপেন্দ্র গয়াল তার প্রতিক্রিয়া একটি ট্যুইটে লেখেন, ‘খাদ্যের কোনও ধর্ম নেই। বৈচিত্রময় এই ভারতে সম্মানিত গ্রাহক এবং অংশীদারদের নিয়ে আমরা গর্ব অনুভব করি। আমাদের মূল্যবোধের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এমন কোনও ব্যবসা হারানোর জন্য আমরা দুঃখিত নই’।