আগামী দুই মাসের জন্য জেলাগুলিতে খাদ্য মজুতের নির্দেশ

- আপডেট : ১২ মে ২০২৫, সোমবার
- / 563
পুবের কলম প্রতিবেদক: ভারত পাক সীমান্তে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধের প্রস্তুতি থেকে পিছু হঠছে না ভারত। তেমনই আভাস মিলল যখন রবিবার ছুটির দিনে নবান্নে রাজ্যের সব শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে একগুচ্ছ নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
বৈঠক থেকে জেলার প্রশাসন এবং পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চাঙ্গা রাখতে এবং বাহিনীকে আশ্রয় দিতে হলে, তার আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
রবিবারের বৈঠকে যে সমস্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা এরককম যুদ্ধ প্রস্তুতিরই নামান্তর। এদিন রাজ্যের প্রতিটি জেলার থানাগুলিতে আগামী দু’ মাসের জন্য রেশন মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে এই রেশন শুধু স্থানীয় পুলিশই নয়, বহিরাগত বাহিনী মোতায়েন হলে তাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা কেমন হবে, তাও ঠিক করতে বলা হয়েছে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে নিখুঁত থাকে, রেডিও-মোবাইল বা অন্য যোগাযোগ মাধ্যম যাতে ত্রুটিমুক্ত থাকে, সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে ভুয়ো প্রচার করলে বা গুজব ছড়ালে কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে বলে সতর্ক করেছেন মুখ্যসচিব। বলা হয়েছে, কোনওরকম তথ্য পেলে তা পুলিশকে জানাতে হবে।
এজন্য ডিজি কন্ট্রোল রুমে যাতে গোপনীয়তা বজায় রাখা যায়, সেজন্য নির্ভরযোগ্য এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের দায়িত্ব দিয়ে রাখতে বলা হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকেও সতর্ক রাখতে বলা হয়েছে। প্রতিটি থানায় ১৫ থেকে ২০ টি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট রাখতে বলা হয়েছে। এলাকায় কোনও সন্দেহভাজন বা বহিরাগতরা এলে তাদের ওপর নজরদারি জারি করার নির্দেশ জারি হয়েছে। নবান্নের এই নির্দেশ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে শক্ত করার জন্যই বলে মনে করছে প্রশাসনিক কর্তারা।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরেও পাকিস্তান আক্রমণ পুরোপুরি থামায়নি। এই আবহে পশ্চিমবঙ্গ উত্তর-পূর্ব ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্য হওয়ায় এখানে যুদ্ধের আগাম প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারই ওপর ভিত্তি করে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশকে সবরকমভাবে প্রস্তুত রাখতে রবিবার একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।