গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি: সরকার নিয়ে সংকটে নেতানিয়াহু

- আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার
- / 143
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিজ সরকারের মধ্যে তীব্র সংকটের মুখে পড়েছেন। যদিও নেতানিয়াহু এই যুদ্ধবিরতিকে ক্ষ্মমহান দিনক্ষ্ম এবং সামরিক বিজয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন, তবে তাঁর চরম ডানপন্থী জোটসঙ্গীরা এই চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করে সরকার ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ইসরাইলকে প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিতে হবে। এর চেয়েও বড় উদ্বেগের কারণ হল, এই চুক্তির ফলে গাজায় ধ্বংসাত্মক সামরিক অভিযান স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে এবং গাজা দখল না করার অঙ্গীকার করতে হচ্ছে ইসরাইলকে। এই শর্ত কট্টর জাতীয়তাবাদীদের গাজা দখল ও ইহুদি বসতি স্থাপনের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। এ ছাড়া হামাসকে পুরোপুরি নিরস্ত্রীকরণ বা ধ্বংস করা সম্ভব হয়নি।
চুক্তির বিরোধিতা করা ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচের রিলিজিয়াস জায়নিজম পার্টি এবং নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাভিরের জিউশ পাওয়ার পার্টি মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিলেও, এখনো পদত্যাগ করেননি। তবে বেন গাভির হুমকি দিয়ে বলেছেন, ক্ষ্মহামাসের শাসন ভেঙে না ফেলা হলে জিউশ পাওয়ার সরকারই ভেঙে দেবে।
প্রকৃতপক্ষে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপেই নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে বাধ্য হয়েছেন। ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছিলেন, গাজা যুদ্ধে তাঁর ধৈর্য ফুরিয়ে এসেছে। নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, এই চুক্তি কেবল জিম্মিদের বিনিময়ে বন্দিবিনিময় এবং সেনার আংশিক পুনর্বিন্যাস নিয়ে ক্ষ্মপ্রথম ধাপক্ষ্ম মাত্র। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৃহত্তর শান্তি পরিকল্পনায় ইসরাইলের সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার রয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে নেতানিয়াহুর জোট সরকার ভেঙে পড়া নিশ্চিত।