১০ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পহেলগাঁওয়ের হামলাকারীদের ধরতে স্থানীয় কাশ্মীরিদের কাছে সাহায্য চাইল NIA

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৮ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 119

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ১৫ দিন পেরিয়ে গেছে পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার ঘটনার। এখনও অধরা ২৬ জন পর্যটককে নির্মমভাবে খুন করা জঙ্গিরা। এখনও পর্যন্ত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালিয়েও হামলার সঙ্গে যুক্ত মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় সেনা অপারেশন সিঁদুর চালায়। পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত জায়গায় ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দেয়। কিন্তু তারপরও নাগাল পাওয়া যায়নি মূল হামলাকারীদের। এই পরিস্থিতিতে এবার স্থানীয়দের সাহায্য চাইল NIA। অভিযুক্তদের খবর দিতে অনুরোধ জানাল হল স্থানীয়দের।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা স্থানীয় কাশ্মীরিদের কাছে আবেদন জানিয়েছে,  যদি পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী জঙ্গিদের সম্পর্কে কোনও তথ্য জানা থাকে,  সেই তথ্য যেন তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার এনআইএর তরফে একটি ফোন নম্বর প্রকাশ কর হয়েছে। পর্যটক এবং স্থানীয় কাশ্মীরিদের কাছে আবেদন জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সেদিনের হামলাকারীদের সম্পর্কে যদি অতিরিক্ত কোনও তথ্য বা ছবি-ভিডিও কিছু থেকে থাকে, তাহলে সেটা যেন NIA-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই পহেলগাঁওয়ের হামলাকারীদের বেশ কিছু ছবি-ভিডিও NIA-এর হাতে এসেছে। তবে আরও তথ্য প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জঙ্গিদের ধরতে অপারেশনের গতি আরও বাড়াতে চলেছে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের উল্লেখ নেই এসসিও-র নথিতে, স্বাক্ষর করলেন না রাজনাথ সিং

সপ্তাহখানেক আগে NIA-এর একটি সূত্র জানিয়েছিল, হামলাকারী ওই জঙ্গিরা এখনও দক্ষিণ কাশ্মীরের জঙ্গলঘেরা এলাকায় লুকিয়ে। শুধু হামলাকারীরা নয়, আরও বহু জঙ্গি ওই এলাকায় লুকিয়ে। মূলত হামলাকারীদের কভার ফায়ার দেওয়ার জন্য এলাকায় অন্য জঙ্গিরা লুকিয়ে। আর মূল হামলাকারীরা দুর্গম জঙ্গলে লুকিয়ে থাকার জন্য নিজেদের মতো রসদও সঙ্গে রেখেছে। সেই জঙ্গিরা ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে পালিয়েছে কিনা,  সেটা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে NIA।

এদিকে পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাত হেনেছে ভারত। মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালানো হয়। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই হামলায় বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তইবা ও হিজবুল মুজাহিদিনর সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা অপারেশনের নজরদারিতে ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই হামলার বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে বিদেশসচিব ও সেনা।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পহেলগাঁওয়ের হামলাকারীদের ধরতে স্থানীয় কাশ্মীরিদের কাছে সাহায্য চাইল NIA

আপডেট : ৮ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ১৫ দিন পেরিয়ে গেছে পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার ঘটনার। এখনও অধরা ২৬ জন পর্যটককে নির্মমভাবে খুন করা জঙ্গিরা। এখনও পর্যন্ত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালিয়েও হামলার সঙ্গে যুক্ত মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় সেনা অপারেশন সিঁদুর চালায়। পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত জায়গায় ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দেয়। কিন্তু তারপরও নাগাল পাওয়া যায়নি মূল হামলাকারীদের। এই পরিস্থিতিতে এবার স্থানীয়দের সাহায্য চাইল NIA। অভিযুক্তদের খবর দিতে অনুরোধ জানাল হল স্থানীয়দের।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা স্থানীয় কাশ্মীরিদের কাছে আবেদন জানিয়েছে,  যদি পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী জঙ্গিদের সম্পর্কে কোনও তথ্য জানা থাকে,  সেই তথ্য যেন তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার এনআইএর তরফে একটি ফোন নম্বর প্রকাশ কর হয়েছে। পর্যটক এবং স্থানীয় কাশ্মীরিদের কাছে আবেদন জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সেদিনের হামলাকারীদের সম্পর্কে যদি অতিরিক্ত কোনও তথ্য বা ছবি-ভিডিও কিছু থেকে থাকে, তাহলে সেটা যেন NIA-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই পহেলগাঁওয়ের হামলাকারীদের বেশ কিছু ছবি-ভিডিও NIA-এর হাতে এসেছে। তবে আরও তথ্য প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জঙ্গিদের ধরতে অপারেশনের গতি আরও বাড়াতে চলেছে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের উল্লেখ নেই এসসিও-র নথিতে, স্বাক্ষর করলেন না রাজনাথ সিং

সপ্তাহখানেক আগে NIA-এর একটি সূত্র জানিয়েছিল, হামলাকারী ওই জঙ্গিরা এখনও দক্ষিণ কাশ্মীরের জঙ্গলঘেরা এলাকায় লুকিয়ে। শুধু হামলাকারীরা নয়, আরও বহু জঙ্গি ওই এলাকায় লুকিয়ে। মূলত হামলাকারীদের কভার ফায়ার দেওয়ার জন্য এলাকায় অন্য জঙ্গিরা লুকিয়ে। আর মূল হামলাকারীরা দুর্গম জঙ্গলে লুকিয়ে থাকার জন্য নিজেদের মতো রসদও সঙ্গে রেখেছে। সেই জঙ্গিরা ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে পালিয়েছে কিনা,  সেটা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে NIA।

এদিকে পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাত হেনেছে ভারত। মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালানো হয়। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই হামলায় বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তইবা ও হিজবুল মুজাহিদিনর সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা অপারেশনের নজরদারিতে ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই হামলার বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে বিদেশসচিব ও সেনা।