পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : গুরুগ্রামে মুসলিমদের জুম্মার নামায পড়ার উপায় বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। জায়গার অভাব। ১৯ মসজিদ কার্যত বেদখল। কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের চাপে সেখানে নামাযের জন্য যেতে পারছেন না মুসল্লিরা। ফাঁকা জায়গায় নামায পড়লেও আপত্তি। সেখানেও ঝামেলা বাধাচ্ছে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। নামায বাতিল করে সে জায়গায় গোবর্ধন পুজো হয়েছে। কোথাও হিন্দুত্ববাদীরা দাবি করেছে, যেখানে মুসলিমরা নামায পড়েন সেখানেই ভলিবলের কোর্ট করতে হবে। ফলে সেখানকার মুসলিমদের নামায পড়ার জায়গায় ভীষণ অভাব। এমন পরিস্থিতিতে পাঁচটি গুরুদুয়ারা বলেছিল মুসলিমরা চাইলে তাদের গুরুদুয়ারাতে নামায পড়তে পারেন। তাতেও আপত্তি কট্টর হিন্দুদের। তারা স্থানীয় গুরুদুয়ারা কমিটির কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছে,গুরুদুয়ারাতে জুম্মার জন্য যেন জায়গা দেওয়া না হয়।
শুক্রবার গুরুগ্রামের পাঁচ গুরুদুয়ারাতে জুম্মার নামায হবে এমন খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। জুম্মার নামায গুরুদুয়ারে পড়তে দেওয়া হবে কিনা তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আগামী সপ্তাহে।গুরুগ্রাম নাগরিক একতা মঞ্চের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আলতাফ আহমেদ,বলেছেন যে মুসলমানরা শহরের গুরুদ্বারগুলিতে জুম্মার নামায আদায় করতে পারল না। কারণ হিন্দুত্ববাদী নেতারা “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য ওঁত পেতে অপেক্ষা করছিল”।
আবেগঘন হয়ে তিনি আরও বলেন, ‘গুরুদুয়ারাতে বাস্তবিক জায়গা না মিললেও লক্ষ লক্ষ মুসলমান শিখ সম্প্রদায়ের হৃদয়ে নামায পড়লেন।’ জমিয়ত উলামায়ে- ই-হিন্দের স্থানীয় সদস্য মুফতি মুহাম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘এক সম্প্রদায়ের মানুষ যে অপর সম্প্রদায়ের মানুষকে এইভাবে সাহায্য করছেন, সেটাই অনেকে হজম করতে পারছেন না। আমরা যদি গুরুদুয়ারাতে নামায নাও পড়তে পারি, তাহলেও তা সাম্প্রদায়িক প্রীতির জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ হয়ে রইল।’ গুরুদুয়ারা কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, ‘আসলে আমরা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চেয়েছিলাম। একটি সমাজে বাস করা একজিনিস,আর সেই সমাজের ভিতরেই অন্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলা অন্য জিনিস।”