০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিবাহে পণ না নেওয়ার মুচলেকা দিতে হবে কেরলের সরকারি কর্মীদের

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২১, সোমবার
  • / 79

তিরুবনন্তপুরম ২৬ জুলাই : কেরলে পণপ্রথা রুখতে বিশেষ আইন এনেছে সে রাজ্যের সরকার। পণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একের পর এক বিবাহিত মহিলার মৃত্যুর খবর আসার পরেই কেরল সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিবাহে পণ না নেওয়ার মুচলেকা দিতে হবে। সরকারি কর্মীদেরই দিতে হবে এই মুচলেকা । বিয়ের এক মাসের মধ্যে সেই মুচলেকা জমা দিতে হবে নির্দিষ্ট দফতরে। মুচলেকায় সই করাতে হবে স্ত্রী, শ্বশুর ও বাবাকে। কেরল সরকারের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের পক্ষ থেকে এই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। দফতরের মন্ত্রী অনুপমা টিভি-র স্বাক্ষর করা নির্দেশিকায় বিভিন্ন দফতরের প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে যেন এই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।সরকারের নির্দেশে বলা হয়েছে এপ্রিল ও অক্টোবর, বছরের এই দুই অর্ধে এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা করতে হবে নির্দিষ্ট দফতরগুলিকে। রিপোর্ট জমা দিতে হবে ‘জেলার পণ-রোধী অধিকারিক’-এর দফতরে। নির্দেশিকায় আরও লেখা হয়েছে, ‘পণ দেওয়া ও নেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যার শাস্তির সময়সীমা সর্বনিম্ন পাঁচ বছর, জরিমানা সবচেয়ে কম ১৫ হাজার টাকা বা পণের সমপরিমাণ। পাশাপাশি, কেউ পণ চাইলেই তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে ধরা হবে।
কেরলে সরকার কয়েকদিন আগে ঘোষণা করে, পণপ্রথা বিরোধী দিবস হিসাবে ২৬ নভেম্বর দিনটিকে পালন করবে তারা। বিভিন্ন স্কুল, কলেজে এই বিষয়ে সরকারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সচেতন করা হবে পড়ুয়াদেরও।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিবাহে পণ না নেওয়ার মুচলেকা দিতে হবে কেরলের সরকারি কর্মীদের

আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২১, সোমবার

তিরুবনন্তপুরম ২৬ জুলাই : কেরলে পণপ্রথা রুখতে বিশেষ আইন এনেছে সে রাজ্যের সরকার। পণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একের পর এক বিবাহিত মহিলার মৃত্যুর খবর আসার পরেই কেরল সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিবাহে পণ না নেওয়ার মুচলেকা দিতে হবে। সরকারি কর্মীদেরই দিতে হবে এই মুচলেকা । বিয়ের এক মাসের মধ্যে সেই মুচলেকা জমা দিতে হবে নির্দিষ্ট দফতরে। মুচলেকায় সই করাতে হবে স্ত্রী, শ্বশুর ও বাবাকে। কেরল সরকারের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের পক্ষ থেকে এই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। দফতরের মন্ত্রী অনুপমা টিভি-র স্বাক্ষর করা নির্দেশিকায় বিভিন্ন দফতরের প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে যেন এই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।সরকারের নির্দেশে বলা হয়েছে এপ্রিল ও অক্টোবর, বছরের এই দুই অর্ধে এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা করতে হবে নির্দিষ্ট দফতরগুলিকে। রিপোর্ট জমা দিতে হবে ‘জেলার পণ-রোধী অধিকারিক’-এর দফতরে। নির্দেশিকায় আরও লেখা হয়েছে, ‘পণ দেওয়া ও নেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যার শাস্তির সময়সীমা সর্বনিম্ন পাঁচ বছর, জরিমানা সবচেয়ে কম ১৫ হাজার টাকা বা পণের সমপরিমাণ। পাশাপাশি, কেউ পণ চাইলেই তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে ধরা হবে।
কেরলে সরকার কয়েকদিন আগে ঘোষণা করে, পণপ্রথা বিরোধী দিবস হিসাবে ২৬ নভেম্বর দিনটিকে পালন করবে তারা। বিভিন্ন স্কুল, কলেজে এই বিষয়ে সরকারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সচেতন করা হবে পড়ুয়াদেরও।