০৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩৪ বছর পর বাংলাদেশে মিলল প্রজাপতি বাদুড়ের সন্ধান

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২২ জুন ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 22

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:অবশেষে খোঁজ পাওয়া গেল বিশ্বের সবথেকে সুন্দর বাদুড় ‘পেইন্টেড ব্যাট’ ।জানা গেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর বনে একটি কলাগাছের পাতায় প্রাণীটিকে ঝুলে থাকতে দেখা গিয়েছে|

সূত্রের খবর, বাদুড়ের এই প্রজাতিটিকে বিগত ১৩৪ বছর ধরে বাংলাদেশে দেখা যায়নি। তবে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান তাঁর এক গবেষণা সহকারী লজেশ মৃর কাছ থেকে খোঁজ পেয়ে মধুপুর বনে থাকা ওই বাদুড়ের ছবি তোলেন|

১৮৮৮ সালে প্রকাশিত একটি গ্রন্থের উল্লেখ আছে (ফনা ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া) ওই প্রজাতির| ভারতের কয়েকটি রাজ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এখনো দেখা যায় “প্রজাপতি বাদুড়” নামেও পরিচিত এই বাদুড়টি।তবে বাংলাদেশ থেকে এটি বিলুপ্ত এমনটাই ধারণা ছিল অনেক প্রাণিবিজ্ঞানীর| বাংলাদেশে মোট ৩২ প্রজাতির বাদুড়ের দেখা পাওয়া গেছে| তাঁর মধ্যে এটি তিন থেকে চার সেন্টিমিটার আয়তনের মূলত এটি পতঙ্গভুক।

পুরোনো বাড়ি ও ঝোপে বা জঙ্গলে বাদুড়দের প্রধানত বেশি দেখা যায়| অনেক সাহিত্য ও চলচিত্রে বাদুড়কে অমঙ্গলের প্রতীক হিসেবেও দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে বাদুড়কে প্রাণিবিজ্ঞানীরা প্রকৃতির অন্যতম উপকারী প্রাণী হিসেবে গণ্য করে থাকেন। বিশেষ করে প্রজাপতি বাদুড় কেবল পোকামাকড় খেয়ে টিকে থাকে।

মধুপুর বনে পাওয়া প্রজাপতি বাদুড়টির আয়তন প্রায় সাড়ে তিন সেন্টিমিটার ও ওজন সাড়ে চার গ্রাম। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে এরা সর্বোচ্চ পাঁচ গ্রাম ওজনের এবং সাড়ে তিন থেকে চার সেন্টিমিটার আয়তনের হয়ে থাকে। এরা বছরে একটি নিদিষ্ট সময়ে বাচ্চা প্রসব করে। জুন মাস প্রধানত এদের প্রজননের সময়।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১৩৪ বছর পর বাংলাদেশে মিলল প্রজাপতি বাদুড়ের সন্ধান

আপডেট : ২২ জুন ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:অবশেষে খোঁজ পাওয়া গেল বিশ্বের সবথেকে সুন্দর বাদুড় ‘পেইন্টেড ব্যাট’ ।জানা গেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর বনে একটি কলাগাছের পাতায় প্রাণীটিকে ঝুলে থাকতে দেখা গিয়েছে|

সূত্রের খবর, বাদুড়ের এই প্রজাতিটিকে বিগত ১৩৪ বছর ধরে বাংলাদেশে দেখা যায়নি। তবে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান তাঁর এক গবেষণা সহকারী লজেশ মৃর কাছ থেকে খোঁজ পেয়ে মধুপুর বনে থাকা ওই বাদুড়ের ছবি তোলেন|

১৮৮৮ সালে প্রকাশিত একটি গ্রন্থের উল্লেখ আছে (ফনা ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া) ওই প্রজাতির| ভারতের কয়েকটি রাজ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এখনো দেখা যায় “প্রজাপতি বাদুড়” নামেও পরিচিত এই বাদুড়টি।তবে বাংলাদেশ থেকে এটি বিলুপ্ত এমনটাই ধারণা ছিল অনেক প্রাণিবিজ্ঞানীর| বাংলাদেশে মোট ৩২ প্রজাতির বাদুড়ের দেখা পাওয়া গেছে| তাঁর মধ্যে এটি তিন থেকে চার সেন্টিমিটার আয়তনের মূলত এটি পতঙ্গভুক।

পুরোনো বাড়ি ও ঝোপে বা জঙ্গলে বাদুড়দের প্রধানত বেশি দেখা যায়| অনেক সাহিত্য ও চলচিত্রে বাদুড়কে অমঙ্গলের প্রতীক হিসেবেও দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে বাদুড়কে প্রাণিবিজ্ঞানীরা প্রকৃতির অন্যতম উপকারী প্রাণী হিসেবে গণ্য করে থাকেন। বিশেষ করে প্রজাপতি বাদুড় কেবল পোকামাকড় খেয়ে টিকে থাকে।

মধুপুর বনে পাওয়া প্রজাপতি বাদুড়টির আয়তন প্রায় সাড়ে তিন সেন্টিমিটার ও ওজন সাড়ে চার গ্রাম। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে এরা সর্বোচ্চ পাঁচ গ্রাম ওজনের এবং সাড়ে তিন থেকে চার সেন্টিমিটার আয়তনের হয়ে থাকে। এরা বছরে একটি নিদিষ্ট সময়ে বাচ্চা প্রসব করে। জুন মাস প্রধানত এদের প্রজননের সময়।