০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সুপ্রিম কোর্টে অপেক্ষমাণ মামলার সংখ্যা

Pendency in Supreme Court সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার
  • / 317

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে থাকা মামলার সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সর্বাধিক ৮৮,৪১৭ পর্যন্ত পৌঁছেছে (Pendency in Supreme Court Reaches All-Time High)। যদিও আদালতে বর্তমানে পূর্ণমাত্রার অনুমোদিত বিচারপতি সংখ্যা অর্থাৎ ৩৪ জন বিচারপতি কার্যরত রয়েছেন।

জানা যায়, ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড (এনজেডজি) অনুযায়ী, শীর্ষ আদালতে বর্তমানে ৬৯,৫৫৩টি সিভিল এবং ১৮,৮৬৪টি ক্রিমিনাল মামলা ঝুলে রয়েছে। আগস্ট ২০২৫-এ নতুনভাবে দাখিল হওয়া মামলার সংখ্যা ৭,০৮০ (According to NJDG,  SC  is witnessing an unprecedented rise in case pendency, with 88,492 matters currently awaiting disposal, that includes 69,605 civil cases and 18,887 criminal cases) ।

আরও পড়ুন: Supreme Court on VC Appointment: ১২ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে সায় ললিত কমিটির

আরও জানা যায় যে, প্রধান বিচারপতি (CJI) বি.আর. গওয়াই এইবার গরমের দীর্ঘ ছুটির সময় আরও বেঞ্চকে কাজে নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও অপেক্ষমাণ মামলার সংখ্যা বেড়েছে। এই বছর ২৩ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত গরমের ছুটিকে ‘আংশিক কর্মদিবস’ হিসেবে নামকরণ করা হয়। এই সময়ে সিজেআই এবং আদালতের পাঁচজন সিনিয়র বিচারপতি প্রথম বেঞ্চে বসে মামলার শুনানি করেছেন। ছুটির সময় মোট ২১টি বেঞ্চ বিভিন্ন বেঞ্চে বসে মামলার শুনানি পরিচালনা করেছে।

আরও পড়ুন: গাফিলতি দেখলে যত বড় পদেই থাকুন রেহাই নেই : সুপ্রিম কোর্ট

READ MORE: আইসিসির আগস্ট সেরার স্বীকৃতি পেলেন Mohammed Siraj

আরও পড়ুন: স্থগিত থাকল DA মামলার রায়

উল্লেখ্য যে, ২০২৫ সালে এ পর্যন্ত ৫২,৬৩০টি নতুন মামলা দাখিল হয়েছে, যখন ৪৬,৩০৯টির নিষ্পত্তি হয়েছে। এই বছর এ পর্যন্ত দুইজন প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব পালন করেছেন এবং নভেম্বর ২০২৫-এর শেষে বিচারপতি সুর্যকান্ত তৃতীয় সিজেআই হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। গত বছরও একই অবস্থা ছিল। ২০২৪ সালে এই সময়ে ঝুলে থাকা মামলার সংখ্যা ৮২,০০০-এরও বেশি পৌঁছেছিল, যা তখনকার সর্বোচ্চ স্তর ছিল। ২০২১ সালে মামলার সংখ্যা ৭০,০০০ পর্যন্ত পৌঁছেছিল এবং ২০২২ সালের শেষে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৯,০০০-এ দাঁড়ায়।

কোভিড মহামারীর পর, বিশেষ করে ২০২৩-এর পর থেকে অপেক্ষমাণ মামলার সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিচারপতি ডি.ওয়াই. চন্দ্রচূড় সিজেআই থাকাকালীন দ্রুত বিচারপতিদের নিয়োগ নিশ্চিত করেছিলেন (Pendency in Supreme Court Reaches All-Time High)।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং কলেজিয়ামের প্রস্তাব বহুবার এই বাড়তে থাকা চাপের দিকে ইঙ্গিত করেছে। নভেম্বর ২০২৩-এর এক প্রস্তাবে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে, আদালতের কাজের পরিমাণ এত বেড়েছে যে একটিও পদ খালি রাখার সুযোগ নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতেও সরকার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগের জন্য কলেজিয়ামের সুপারিশ দ্রুত অনুমোদন করেছে, অনেক ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। তবু, এইধরনের মামলা ক্রমাগত বাড়ছে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সুপ্রিম কোর্টে অপেক্ষমাণ মামলার সংখ্যা

Pendency in Supreme Court সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে

আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে থাকা মামলার সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সর্বাধিক ৮৮,৪১৭ পর্যন্ত পৌঁছেছে (Pendency in Supreme Court Reaches All-Time High)। যদিও আদালতে বর্তমানে পূর্ণমাত্রার অনুমোদিত বিচারপতি সংখ্যা অর্থাৎ ৩৪ জন বিচারপতি কার্যরত রয়েছেন।

জানা যায়, ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড (এনজেডজি) অনুযায়ী, শীর্ষ আদালতে বর্তমানে ৬৯,৫৫৩টি সিভিল এবং ১৮,৮৬৪টি ক্রিমিনাল মামলা ঝুলে রয়েছে। আগস্ট ২০২৫-এ নতুনভাবে দাখিল হওয়া মামলার সংখ্যা ৭,০৮০ (According to NJDG,  SC  is witnessing an unprecedented rise in case pendency, with 88,492 matters currently awaiting disposal, that includes 69,605 civil cases and 18,887 criminal cases) ।

আরও পড়ুন: Supreme Court on VC Appointment: ১২ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে সায় ললিত কমিটির

আরও জানা যায় যে, প্রধান বিচারপতি (CJI) বি.আর. গওয়াই এইবার গরমের দীর্ঘ ছুটির সময় আরও বেঞ্চকে কাজে নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও অপেক্ষমাণ মামলার সংখ্যা বেড়েছে। এই বছর ২৩ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত গরমের ছুটিকে ‘আংশিক কর্মদিবস’ হিসেবে নামকরণ করা হয়। এই সময়ে সিজেআই এবং আদালতের পাঁচজন সিনিয়র বিচারপতি প্রথম বেঞ্চে বসে মামলার শুনানি করেছেন। ছুটির সময় মোট ২১টি বেঞ্চ বিভিন্ন বেঞ্চে বসে মামলার শুনানি পরিচালনা করেছে।

আরও পড়ুন: গাফিলতি দেখলে যত বড় পদেই থাকুন রেহাই নেই : সুপ্রিম কোর্ট

READ MORE: আইসিসির আগস্ট সেরার স্বীকৃতি পেলেন Mohammed Siraj

আরও পড়ুন: স্থগিত থাকল DA মামলার রায়

উল্লেখ্য যে, ২০২৫ সালে এ পর্যন্ত ৫২,৬৩০টি নতুন মামলা দাখিল হয়েছে, যখন ৪৬,৩০৯টির নিষ্পত্তি হয়েছে। এই বছর এ পর্যন্ত দুইজন প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব পালন করেছেন এবং নভেম্বর ২০২৫-এর শেষে বিচারপতি সুর্যকান্ত তৃতীয় সিজেআই হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। গত বছরও একই অবস্থা ছিল। ২০২৪ সালে এই সময়ে ঝুলে থাকা মামলার সংখ্যা ৮২,০০০-এরও বেশি পৌঁছেছিল, যা তখনকার সর্বোচ্চ স্তর ছিল। ২০২১ সালে মামলার সংখ্যা ৭০,০০০ পর্যন্ত পৌঁছেছিল এবং ২০২২ সালের শেষে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৯,০০০-এ দাঁড়ায়।

কোভিড মহামারীর পর, বিশেষ করে ২০২৩-এর পর থেকে অপেক্ষমাণ মামলার সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিচারপতি ডি.ওয়াই. চন্দ্রচূড় সিজেআই থাকাকালীন দ্রুত বিচারপতিদের নিয়োগ নিশ্চিত করেছিলেন (Pendency in Supreme Court Reaches All-Time High)।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং কলেজিয়ামের প্রস্তাব বহুবার এই বাড়তে থাকা চাপের দিকে ইঙ্গিত করেছে। নভেম্বর ২০২৩-এর এক প্রস্তাবে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে, আদালতের কাজের পরিমাণ এত বেড়েছে যে একটিও পদ খালি রাখার সুযোগ নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতেও সরকার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগের জন্য কলেজিয়ামের সুপারিশ দ্রুত অনুমোদন করেছে, অনেক ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। তবু, এইধরনের মামলা ক্রমাগত বাড়ছে।