২৬ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনতার আগুন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, নেতাদের বাড়িতে, একের পর এক সাংসদ, মন্ত্রীর পদত্যাগ, বাংলাদেশের মতো সরকার পতনের পথে নেপাল

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 384

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : চব্বিশ ঘণ্টায় পরিস্থিতি পুরো পাল্টে গেল। নেপালের ক্ষিপ্ত জনতা আজ আগুন দিল প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, নেতাদের বাড়িতে। আজ একের পর এক সাংসদ, মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তবুও মানুষের ক্ষোভ মিটছে না। অনেকে বলছেন, বাংলাদেশের মতো সরকার পতনের পথে যাচ্ছে নেপাল।

জানা গেছে, নেপালে বিক্ষোভ ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ব্যক্তিগত বাসভবন ও প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেলের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। মঙ্গলবার ছাত্র-যুবকেরা নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পথে নামে, স্লোগান ওঠে—“কেপি চোর, দেশ ছোড়”।

আরও পড়ুন: নেপালে ইতিহাস গড়লেন Sushila Karki, শুভেচ্ছা ভরত – বাংলাদেশের 

বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছে নেতামন্ত্রীদের বাড়িতেও। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ‘প্রচণ্ড’-র বাসভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। কমিউনিস্ট পার্টির সদর দফতর দখল করে পতাকা নামিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঠমান্ডু, ভক্তপুর ও ললিতপুর জেলায় অনির্দিষ্টকালের কার্ফু জারি হয়েছে। তবে কার্ফু উপেক্ষা করেই রাস্তায় নেমেছে ছাত্র-যুবকেরা। কালেঙ্কি ও বানেশ্বর-সহ নানা এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ হয়। পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে।

আরও পড়ুন: নেপালে ৫ মার্চ নির্বাচন

উত্তেজনার জেরে বন্ধ রাখা হয়েছে ত্রিভুবন বিমানবন্দর, সর্বত্র সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। মন্ত্রীদের নিরাপদে সরাতে সেনার হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল ওলিকে ইস্তফার পরামর্শ দিয়েছেন বলেও সূত্রের খবর।
সোমবার রাতেই জনবিক্ষোভের চাপে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছিল সরকার।

আরও পড়ুন: কবে হবে নেপালের পরবর্তী নির্বাচন ? তারিখ জানালেন নয়া তদারকি সরকার

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তবুও আন্দোলন থামেনি, বরং আরও জোরদার হয়েছে। আন্দোলনকারীরা সরকার ভেঙে দিয়ে নতুন করে ভোটের দাবী করেছে। এদিকে ভারত সরকার ওই দেশে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দিয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জনতার আগুন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, নেতাদের বাড়িতে, একের পর এক সাংসদ, মন্ত্রীর পদত্যাগ, বাংলাদেশের মতো সরকার পতনের পথে নেপাল

আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : চব্বিশ ঘণ্টায় পরিস্থিতি পুরো পাল্টে গেল। নেপালের ক্ষিপ্ত জনতা আজ আগুন দিল প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, নেতাদের বাড়িতে। আজ একের পর এক সাংসদ, মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তবুও মানুষের ক্ষোভ মিটছে না। অনেকে বলছেন, বাংলাদেশের মতো সরকার পতনের পথে যাচ্ছে নেপাল।

জানা গেছে, নেপালে বিক্ষোভ ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ব্যক্তিগত বাসভবন ও প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেলের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। মঙ্গলবার ছাত্র-যুবকেরা নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পথে নামে, স্লোগান ওঠে—“কেপি চোর, দেশ ছোড়”।

আরও পড়ুন: নেপালে ইতিহাস গড়লেন Sushila Karki, শুভেচ্ছা ভরত – বাংলাদেশের 

বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছে নেতামন্ত্রীদের বাড়িতেও। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ‘প্রচণ্ড’-র বাসভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। কমিউনিস্ট পার্টির সদর দফতর দখল করে পতাকা নামিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঠমান্ডু, ভক্তপুর ও ললিতপুর জেলায় অনির্দিষ্টকালের কার্ফু জারি হয়েছে। তবে কার্ফু উপেক্ষা করেই রাস্তায় নেমেছে ছাত্র-যুবকেরা। কালেঙ্কি ও বানেশ্বর-সহ নানা এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ হয়। পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে।

আরও পড়ুন: নেপালে ৫ মার্চ নির্বাচন

উত্তেজনার জেরে বন্ধ রাখা হয়েছে ত্রিভুবন বিমানবন্দর, সর্বত্র সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। মন্ত্রীদের নিরাপদে সরাতে সেনার হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল ওলিকে ইস্তফার পরামর্শ দিয়েছেন বলেও সূত্রের খবর।
সোমবার রাতেই জনবিক্ষোভের চাপে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছিল সরকার।

আরও পড়ুন: কবে হবে নেপালের পরবর্তী নির্বাচন ? তারিখ জানালেন নয়া তদারকি সরকার

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তবুও আন্দোলন থামেনি, বরং আরও জোরদার হয়েছে। আন্দোলনকারীরা সরকার ভেঙে দিয়ে নতুন করে ভোটের দাবী করেছে। এদিকে ভারত সরকার ওই দেশে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দিয়েছে।