০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জার্মানিতে রক্ষণশীল দলের জয়, উচ্ছসিত ট্রাম্প

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার
  • / 307

বার্লিন, ২৩ ফেব্রুয়ারি: জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচনে বাজিমাত ডানপন্থী দল ‘ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের’। বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে নয়া চ্যান্সেলর হিসেবে গদিতে বসতে চলেছেন কনজারভেটিভ নেতা ফ্রেডরিক মেৎস। জার্মানির সাধারণ নির্বাচনে ‘অভাবনীয়’ সাফল্য পেয়েছে অতি দক্ষিণপন্থী দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)-ও। তারা ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আর বিদায়ী চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের দল এসডিপি মাত্র ১৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই দল কখনও এত খারাপ ফল করেনি। ভোটে বিপর্যয়ের ইঙ্গিত পেতেই পরাজয় স্বীকার করে নেন শলৎস। বলেন, ‘দলের জন্য এটা শুধু খারাপ ফলই নয়, পরাজয়ও বটে।’

জার্মান ভোটের ফল প্রকাশ্যে আসতেই এই বিষয়ে মুখ খোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি শলৎস এবং তাঁর দলের সমালোচনা করে বলেন, ‘যে সরকারের কোনও সাধারণ বুদ্ধি ছিল না, জার্মানির মানুষ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। জার্মানির জন্য এটা দারুণ একটা দিন।’ প্রসঙ্গত, জার্মানির এই ভোটে অতি দক্ষিণপন্থী দল এএফডি-কে সমর্থন করেছিলেন ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি ইলন মাস্ক। বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণ অনুযায়ী, কোনও দলই এককভাবে জার্মানিতে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সেক্ষেত্রে রক্ষণশীলেরা অতি দক্ষিণপন্থীদের সঙ্গে হাত মেলাবেন কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে সে দেশে।
অন্যদিকে, ফ্রিডরিখ মেৎস নির্বাচনে জয়লাভের পর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ রাত উদ্যাপন করুন, কিন্তু আগামীকাল আমাদের কাজ শুরু করতে হবে।’ এর পাশাপাশি, তিনি তার দায়িত্বের গুরুত্বও তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন: বিশ্বকে ১৫০ বার ধ্বংস করার মতো পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের, গর্বের সঙ্গে শয়তানি ঘোষণা ট্রাম্পের!

 

আরও পড়ুন: হামাসকে সাময়িকভাবে সশস্ত্র থাকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘জার্মানিকে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তারা ইউরোপের ভাগ্য সম্পর্কে অনেকাংশেই উদাসীন।’ মেৎর্স অভিযোগ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয়ই জার্মানির নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে। তিনি বলেন, ‘ওয়াশিংটনের হস্তক্ষেপ মস্কোর চেয়ে কম ছিল না, ফলে আমরা দু’দিক থেকেই চাপে রয়েছি।’ তিনি বিশেষভাবে ইলন মাস্কের সমালোচনা করেছেন, কারণ তিনি ‘উগ্র ডানপন্থী’ দল এএফডির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয় ছিলেন।
উনসত্তর বছর বয়সি মেৎস কখনও মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেননি। তবে তিনি অঙ্গীকার করেছেন যে, তিনি পরবর্তী জার্মান চ্যান্সেলর হলে ইউরোপকে তার নেতৃত্ব দেখাবেন এবং ইউক্রেনের জন্য সমর্থন বাড়াবেন।

আরও পড়ুন: চিনের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক ট্রাম্পের

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জার্মানিতে রক্ষণশীল দলের জয়, উচ্ছসিত ট্রাম্প

আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার

বার্লিন, ২৩ ফেব্রুয়ারি: জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচনে বাজিমাত ডানপন্থী দল ‘ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের’। বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে নয়া চ্যান্সেলর হিসেবে গদিতে বসতে চলেছেন কনজারভেটিভ নেতা ফ্রেডরিক মেৎস। জার্মানির সাধারণ নির্বাচনে ‘অভাবনীয়’ সাফল্য পেয়েছে অতি দক্ষিণপন্থী দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)-ও। তারা ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আর বিদায়ী চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের দল এসডিপি মাত্র ১৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই দল কখনও এত খারাপ ফল করেনি। ভোটে বিপর্যয়ের ইঙ্গিত পেতেই পরাজয় স্বীকার করে নেন শলৎস। বলেন, ‘দলের জন্য এটা শুধু খারাপ ফলই নয়, পরাজয়ও বটে।’

জার্মান ভোটের ফল প্রকাশ্যে আসতেই এই বিষয়ে মুখ খোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি শলৎস এবং তাঁর দলের সমালোচনা করে বলেন, ‘যে সরকারের কোনও সাধারণ বুদ্ধি ছিল না, জার্মানির মানুষ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। জার্মানির জন্য এটা দারুণ একটা দিন।’ প্রসঙ্গত, জার্মানির এই ভোটে অতি দক্ষিণপন্থী দল এএফডি-কে সমর্থন করেছিলেন ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি ইলন মাস্ক। বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণ অনুযায়ী, কোনও দলই এককভাবে জার্মানিতে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সেক্ষেত্রে রক্ষণশীলেরা অতি দক্ষিণপন্থীদের সঙ্গে হাত মেলাবেন কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে সে দেশে।
অন্যদিকে, ফ্রিডরিখ মেৎস নির্বাচনে জয়লাভের পর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ রাত উদ্যাপন করুন, কিন্তু আগামীকাল আমাদের কাজ শুরু করতে হবে।’ এর পাশাপাশি, তিনি তার দায়িত্বের গুরুত্বও তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন: বিশ্বকে ১৫০ বার ধ্বংস করার মতো পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের, গর্বের সঙ্গে শয়তানি ঘোষণা ট্রাম্পের!

 

আরও পড়ুন: হামাসকে সাময়িকভাবে সশস্ত্র থাকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘জার্মানিকে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তারা ইউরোপের ভাগ্য সম্পর্কে অনেকাংশেই উদাসীন।’ মেৎর্স অভিযোগ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয়ই জার্মানির নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে। তিনি বলেন, ‘ওয়াশিংটনের হস্তক্ষেপ মস্কোর চেয়ে কম ছিল না, ফলে আমরা দু’দিক থেকেই চাপে রয়েছি।’ তিনি বিশেষভাবে ইলন মাস্কের সমালোচনা করেছেন, কারণ তিনি ‘উগ্র ডানপন্থী’ দল এএফডির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয় ছিলেন।
উনসত্তর বছর বয়সি মেৎস কখনও মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেননি। তবে তিনি অঙ্গীকার করেছেন যে, তিনি পরবর্তী জার্মান চ্যান্সেলর হলে ইউরোপকে তার নেতৃত্ব দেখাবেন এবং ইউক্রেনের জন্য সমর্থন বাড়াবেন।

আরও পড়ুন: চিনের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক ট্রাম্পের