“অপারেশন সিঁদুরে নির্বাচনী রং লাগিয়ে রাজনীতির হোলি খেলছেন” মোদিকে তোপ মমতার

- আপডেট : ২৯ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 297
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বছর গড়ালেই বিধানসভা নির্বাচন। আলিপুরদুয়ার জনসভা থেকে ভোটের বাদ্যি বাজিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বঙ্গসফরে এসে অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যকে হাতিয়ার করে ভোটবাক্স শক্তিশালী করা চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী। তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার মোদি বলেন, “আজ সিঁদুর খেলার বাংলার ভূমিতে এসেছি। তাই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের নতুন সংকল্প নিয়ে চর্চা হওয়া খুব স্বাভাবিক। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে যে জঙ্গি হামলা হয়েছিল তারপর পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যেও অনেক ক্ষোভ জন্মেছিল। সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দেওয়ার স্পর্ধা দেখিয়েছিল। আমাদের সেনারা সিঁদুরের শক্তি দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা ওই আতঙ্কবাদীদের মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে যেটা পাকিস্তান কল্পনাও করতে পারেনি। পাকিস্তানের কাছে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানো ছাড়া আর কিছু নেই। ওদের কোনও ভালো দিক নেই। দেশটির জন্মলগ্ন থেকেই ওরা শুধু আতঙ্কবাদীদের পুষেছে। দেশভাগের পর থেকে ওরা শুধু ভারতের উপর হামলা চালিয়েছে। পহেলগাঁও হামলার পর ভারত বিশ্বকে বলে দিয়েছে ভারতে সন্ত্রাসী হামলা হলে শত্রুকে তার বড় দাম দিতে হবে। পাকিস্তান মনে রাখুক আমরা তিনবার ওদের ঘরে ঢুকিয়ে মেরেছি। অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। পশ্চিমবঙ্গকে এখন হিংসা, তুষ্টিকরণ, দাঙ্গা, মহিলা অত্যাচার, দুর্নীতির রাজনীতি থেকে মুক্ত করতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সভা শেষ হওয়ার পর পরই নবান্ন বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক করে পালটা জবাব দেন মমতা। তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুর নাম রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে এবিষয়ে এখনি কিছু বলব না। বিজেপি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা যখন দেশের হয়ে গলা ফাটাচ্ছে। তখন নির্বাচনী রং লাগিয়ে রাজনীতির হোলি খেলতে এসেছেন বিজেপিরই লোক। আগে চাওয়ালা। তারপর চৌকিদার। আর এখন বলছেন সিঁদুর বেচবেন। মা, বোনের সিঁদুর এভাবে বেচা যায় না। প্রত্যেক মহিলা তাঁর স্বামীর হাত থেকে সিঁদুর নেন। এমনভাবে বলছেন মোদি যেন আপনি সকলের স্বামী। মোদি কেন নিজের স্ত্রীকে সিঁদুর পরাচ্ছেন না?”
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে রাজনৈতিক হোলি খেলার তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মুখোশ খুলতে কেন্দ্রের তরফে ৭টি কেন্দ্রীয় সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে পাকিস্তানের সন্ত্রাসের মদত দেওয়ার মুখোশ খোলা চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় ঝা নেতৃত্বাধীন দলে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া গিয়েছেন তাঁরা। জঙ্গিদমনে হাতে হাত ধরে গোটা দেশকে লড়াইয়ের আহ্বান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
VIDEO | Howrah: In response to a media query on ‘Operation Sindoor’ and Pahalgam terror attack, West Bengal CM Mamata Banerjee (@MamataOfficial) says, “What PM Modi said today, we are not only shocked, but it is unfortunate to hear… The entire opposition is representing the… pic.twitter.com/3LlcDEoWan
— Press Trust of India (@PTI_News) May 29, 2025