২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রমজান মাসের আগে হায়দরাবাদের অলিতে গলিতে শুরু হয়ে গেছে হালিমের প্রস্তুতি    

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৩, বুধবার
  • / 48

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রমযান মাস। অপেক্ষা আর কয়েক দিন মাত্র। এই মাসটা আর  পাঁচটা মাসের মতো হয় না।  রমযান  আত্ম শুদ্ধির মাস, আত্মসংযমের মাস। পরম করুণাময়ের কাছে ক্ষমা-প্রার্থনার  মাস। যদিও  রমযান  মানে অনেকের কাছে হয়ে উঠেছে কেবলই ইফতার এবং সেহরি। এই কথা ঠিক যে, গোটা  রমযান মাসে মুসলিমদের ব্যবহারিক জীবনে ব্যাপক বদল আসে। মুসলিম অধ্যুষিত পাড়া গুলিতে ঢুকলেই আলাদা  করেই বোঝা যায় রমজান এসে গেছে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। হায়দরাবাদে হালিমের দোকান গুলি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে তৎপরতা। প্রতিবছরের মতো এবছরও হালিম প্রস্তুতির কাজে লেগে পরেছে নিজামের শহর। হায়দরাবাদের অলিতে গলিতে ‘হালিম ভাট্টি’ তৈরী করেছে হালিম প্রস্তুতকারীরা।  পবিত্র   রমযান  মাস উপলক্ষে  কাঠের তৈরি হালিম ঘুটনি বিক্রি বেড়েছে। শুধু ব্যবসার উৎস হিসেবে নয়, শহরের অনেক বাসিন্দার কর্মসংস্থানের উৎসও হয়ে উঠেছে হালিমের ব্যবসা ।

ডাল, মাংস দিতে তৈরি সুস্বাদু এই খাবার  রমযান  মাস জুড়ে হাদরাবাদের মুসলিম অধ্যুষিত অলিতে গলিতে পাওয়া  যায়। সাধারণত রমজান মাসে হালিম খাওয়ার প্রচলন বেশি। কলকাতা মানে যদি রসগোল্লা হয়, তবে নিজামের শহর হায়দরাবাদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে হালিমের নাম। যদিও এবারের  রমযান মাসে হালিমের দাম পূর্বের তুলনায় বেশি হবে  বলেই মনে করছেন অনেকে।

রমজান মাসের আগে হায়দরাবাদের অলিতে গলিতে শুরু হয়ে গেছে হালিমের প্রস্তুতি    

সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক হালিম প্রস্তুতকারীজানিয়েছেন, যে হারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে তাতে মনে হচ্ছে হালিমের দাম আগের তুলনায় বাড়তে পারে।

তবে হালিম যে এখন শুধুমাত্র মুসলিমরাই খান এমনটা নয়।  মূলত  রমযান মাসে ইফতারের জন্য এই খাবার জনপ্রিয়  হলেও  ভোজন রসিক দের জন্য ৩৬৫ দিন হায়দরাবাদে হালিম মেলে। ২০১০ সালে হায়দরাবাদের হালিমকে জি-আই ট্যাগ দেওয়া হয় । ভারতে জি-আই ট্যাগ পাওয়া প্রথম আমিষ খাবার ছিল এই হায়দরাবাদি হালিমই।

রমজান মাসের আগে হায়দরাবাদের অলিতে গলিতে শুরু হয়ে গেছে হালিমের প্রস্তুতি    

আরও পড়ুন: আইপিএলের বাকি ম্যাচ সম্ভবত বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদে

উল্লেখ্য, জি-আই তালিকভূক্ত বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে ভোটাভুটির আয়োজন করেছিল শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক। জি-আই তালিকাভূক্ত বিভন্ন  খাদ্যসামগ্রী নিয়ে দেশ-বিদেশের মানুষের অনলাইন মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল । সেখানে বিকানিরের ভুজিয়া, রসগোল্লাকে পিছনে ফেলে সেরার তকমা পেয়েছে হায়দরাবাদের হালিম।

আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ বিক্ষোভ, ওসমানিয়া কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে অশান্তির চেষ্টা এবিভিপির

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রমজান মাসের আগে হায়দরাবাদের অলিতে গলিতে শুরু হয়ে গেছে হালিমের প্রস্তুতি    

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রমযান মাস। অপেক্ষা আর কয়েক দিন মাত্র। এই মাসটা আর  পাঁচটা মাসের মতো হয় না।  রমযান  আত্ম শুদ্ধির মাস, আত্মসংযমের মাস। পরম করুণাময়ের কাছে ক্ষমা-প্রার্থনার  মাস। যদিও  রমযান  মানে অনেকের কাছে হয়ে উঠেছে কেবলই ইফতার এবং সেহরি। এই কথা ঠিক যে, গোটা  রমযান মাসে মুসলিমদের ব্যবহারিক জীবনে ব্যাপক বদল আসে। মুসলিম অধ্যুষিত পাড়া গুলিতে ঢুকলেই আলাদা  করেই বোঝা যায় রমজান এসে গেছে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। হায়দরাবাদে হালিমের দোকান গুলি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে তৎপরতা। প্রতিবছরের মতো এবছরও হালিম প্রস্তুতির কাজে লেগে পরেছে নিজামের শহর। হায়দরাবাদের অলিতে গলিতে ‘হালিম ভাট্টি’ তৈরী করেছে হালিম প্রস্তুতকারীরা।  পবিত্র   রমযান  মাস উপলক্ষে  কাঠের তৈরি হালিম ঘুটনি বিক্রি বেড়েছে। শুধু ব্যবসার উৎস হিসেবে নয়, শহরের অনেক বাসিন্দার কর্মসংস্থানের উৎসও হয়ে উঠেছে হালিমের ব্যবসা ।

ডাল, মাংস দিতে তৈরি সুস্বাদু এই খাবার  রমযান  মাস জুড়ে হাদরাবাদের মুসলিম অধ্যুষিত অলিতে গলিতে পাওয়া  যায়। সাধারণত রমজান মাসে হালিম খাওয়ার প্রচলন বেশি। কলকাতা মানে যদি রসগোল্লা হয়, তবে নিজামের শহর হায়দরাবাদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে হালিমের নাম। যদিও এবারের  রমযান মাসে হালিমের দাম পূর্বের তুলনায় বেশি হবে  বলেই মনে করছেন অনেকে।

রমজান মাসের আগে হায়দরাবাদের অলিতে গলিতে শুরু হয়ে গেছে হালিমের প্রস্তুতি    

সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক হালিম প্রস্তুতকারীজানিয়েছেন, যে হারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে তাতে মনে হচ্ছে হালিমের দাম আগের তুলনায় বাড়তে পারে।

তবে হালিম যে এখন শুধুমাত্র মুসলিমরাই খান এমনটা নয়।  মূলত  রমযান মাসে ইফতারের জন্য এই খাবার জনপ্রিয়  হলেও  ভোজন রসিক দের জন্য ৩৬৫ দিন হায়দরাবাদে হালিম মেলে। ২০১০ সালে হায়দরাবাদের হালিমকে জি-আই ট্যাগ দেওয়া হয় । ভারতে জি-আই ট্যাগ পাওয়া প্রথম আমিষ খাবার ছিল এই হায়দরাবাদি হালিমই।

রমজান মাসের আগে হায়দরাবাদের অলিতে গলিতে শুরু হয়ে গেছে হালিমের প্রস্তুতি    

আরও পড়ুন: আইপিএলের বাকি ম্যাচ সম্ভবত বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদে

উল্লেখ্য, জি-আই তালিকভূক্ত বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে ভোটাভুটির আয়োজন করেছিল শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক। জি-আই তালিকাভূক্ত বিভন্ন  খাদ্যসামগ্রী নিয়ে দেশ-বিদেশের মানুষের অনলাইন মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল । সেখানে বিকানিরের ভুজিয়া, রসগোল্লাকে পিছনে ফেলে সেরার তকমা পেয়েছে হায়দরাবাদের হালিম।

আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ বিক্ষোভ, ওসমানিয়া কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে অশান্তির চেষ্টা এবিভিপির