১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৪ বছর আগে ২৬/১১’র অভিশপ্ত ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 20

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ২৬/১১’র অভিশপ্ত ঘটনা আজও মানুষের মনে দগদগে। মুম্বইয়ের স্বপ্ননগরী রক্তাক্ত হয়েছিল জঙ্গিদের সন্ত্রাসী তাণ্ডবে। মাত্র দশ জন জঙ্গি প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল ১৭৫ জনের।

তাজ ও ট্রাইডেন্টের মতো বিলাসবহুল হোটেল,  ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস, মুম্বইয়ের অন্যতম জংশন স্টেশনে অতর্কিত সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ চালিয়েছিল পাকিস্তানি জঙ্গিরা।  আজ ১৪ বছর আগে ঘটে যাওয়া ২৬/১১ ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শনিবার বলেন, ১৪ বছর আগে যখন ভারত তার সংবিধান এবং নাগরিকদের অধিকার উদযাপন করেছিল, তখন মানবতার সবচেয়ে বড় শত্রু এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিআর আম্বেদকর এবং সেই সমস্ত মহান ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, যাঁরা আমাদের সংবিধান সহ জাতির জন্য তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।মোদি বলেন, ‘আজ মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার বর্ষপূর্তি।

আরও পড়ুন: কানাডায় ভারতীয় যুবককে ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে খুন, আটক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি

১৪ বছর আগে যখন ভারত তার সংবিধান এবং নাগরিকদের অধিকার উদযাপন করেছিল, তখন মানবতার সবচেয়ে বড় শত্রু এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল। হামলায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই’।

আরও পড়ুন: রক্তাক্ত সিরিয়া, দু’দিনে মৃত হাজারেরও বেশি

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ এটি একটি বিশেষ দিন। আর ভারত ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদযাপন করছে। জনগণের একটি প্রতিশ্রুতি এবং বিশ্বাস যা ভারতকে গণতন্ত্রের জননীতে পরিণত করেছে।

 

উল্লেখ্য, ২৬/১১ ভারতের বুকে একটি কালিমালিপ্ত অধ্যায়। সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় হারিয়েছিলেন প্রায় ১৭৫ জন। এর মধ্যে ছিলেন ২০ জন নিরাপত্তা আধিকারিক, ২৬ জন বিদেশি নাগরিক।

প্রায় ৩০০’র বেশি মানুষ জখম হয়েছিল। ১০ জন জঙ্গি মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালায়। রক্তাক্ত হয় বাণিজ্যনগরী। পাকিস্তানি ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই- তৈইবা এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল।  স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র এবং হ্যান্ড গ্রেনেড নিয়ে সন্ত্রাসীরা মুম্বাইয়ের দক্ষিণাঞ্চলে ছত্রপতি শিবাজি রেলওয়ে স্টেশন, জনপ্রিয় লিওপোল্ড ক্যাফে, দুটি হাসপাতাল এবং একটি থিয়েটার সহ অসংখ্য স্থানে এই নাশকতা মূলক হামলা চলে।

২৬ নভেম্বর রাত সাড়ে  ৯টায় এই নাশকতা মূলক হামলা শুরু হয়। কয়েকঘন্টা নির্বিচারে গুলি চালানোর পর এই সন্ত্রাসী হামলা শেষ হয়। তিনটি স্থানে সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ে, যেগুলি হল নরিমান হাউস যেখানে একটি ইহুদি প্রচার কেন্দ্র ছিল, বিলাসবহুল হোটেল, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট, তাজমহল প্যালেস এবং টাওয়ার।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১৪ বছর আগে ২৬/১১’র অভিশপ্ত ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ২৬/১১’র অভিশপ্ত ঘটনা আজও মানুষের মনে দগদগে। মুম্বইয়ের স্বপ্ননগরী রক্তাক্ত হয়েছিল জঙ্গিদের সন্ত্রাসী তাণ্ডবে। মাত্র দশ জন জঙ্গি প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল ১৭৫ জনের।

তাজ ও ট্রাইডেন্টের মতো বিলাসবহুল হোটেল,  ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস, মুম্বইয়ের অন্যতম জংশন স্টেশনে অতর্কিত সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ চালিয়েছিল পাকিস্তানি জঙ্গিরা।  আজ ১৪ বছর আগে ঘটে যাওয়া ২৬/১১ ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শনিবার বলেন, ১৪ বছর আগে যখন ভারত তার সংবিধান এবং নাগরিকদের অধিকার উদযাপন করেছিল, তখন মানবতার সবচেয়ে বড় শত্রু এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিআর আম্বেদকর এবং সেই সমস্ত মহান ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, যাঁরা আমাদের সংবিধান সহ জাতির জন্য তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।মোদি বলেন, ‘আজ মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার বর্ষপূর্তি।

আরও পড়ুন: কানাডায় ভারতীয় যুবককে ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে খুন, আটক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি

১৪ বছর আগে যখন ভারত তার সংবিধান এবং নাগরিকদের অধিকার উদযাপন করেছিল, তখন মানবতার সবচেয়ে বড় শত্রু এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল। হামলায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই’।

আরও পড়ুন: রক্তাক্ত সিরিয়া, দু’দিনে মৃত হাজারেরও বেশি

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ এটি একটি বিশেষ দিন। আর ভারত ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদযাপন করছে। জনগণের একটি প্রতিশ্রুতি এবং বিশ্বাস যা ভারতকে গণতন্ত্রের জননীতে পরিণত করেছে।

 

উল্লেখ্য, ২৬/১১ ভারতের বুকে একটি কালিমালিপ্ত অধ্যায়। সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় হারিয়েছিলেন প্রায় ১৭৫ জন। এর মধ্যে ছিলেন ২০ জন নিরাপত্তা আধিকারিক, ২৬ জন বিদেশি নাগরিক।

প্রায় ৩০০’র বেশি মানুষ জখম হয়েছিল। ১০ জন জঙ্গি মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালায়। রক্তাক্ত হয় বাণিজ্যনগরী। পাকিস্তানি ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই- তৈইবা এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল।  স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র এবং হ্যান্ড গ্রেনেড নিয়ে সন্ত্রাসীরা মুম্বাইয়ের দক্ষিণাঞ্চলে ছত্রপতি শিবাজি রেলওয়ে স্টেশন, জনপ্রিয় লিওপোল্ড ক্যাফে, দুটি হাসপাতাল এবং একটি থিয়েটার সহ অসংখ্য স্থানে এই নাশকতা মূলক হামলা চলে।

২৬ নভেম্বর রাত সাড়ে  ৯টায় এই নাশকতা মূলক হামলা শুরু হয়। কয়েকঘন্টা নির্বিচারে গুলি চালানোর পর এই সন্ত্রাসী হামলা শেষ হয়। তিনটি স্থানে সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ে, যেগুলি হল নরিমান হাউস যেখানে একটি ইহুদি প্রচার কেন্দ্র ছিল, বিলাসবহুল হোটেল, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট, তাজমহল প্যালেস এবং টাওয়ার।