০৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বন্ধ শ্রীলঙ্কায়

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 17

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : অর্থনৈতিক মন্দায় বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় সরকারি চাকরিতে সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের শর্ত মেনে ব্যয় সংকোচন করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। বর্তমানে দেশটিতে ১৫ লক্ষ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন।

অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে বাঁচতে আইএমএফের কাছ থেকে ২.৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে চেষ্টা করছে শ্রীলঙ্কা। তবে এক্ষেত্রে আইএমএফ শর্ত জুড়ে দিয়েছে,  ঋণ পরিশোধ করার সক্ষমতা অর্জন করলেই ঋণ দেওয়া হবে। আইএমএফ আরও জানিয়েছে,  শ্রীলঙ্কায় এখন যে সংখ্যক সরকারি পদ আছে তাও কমাতে হবে। এছাড়া শর্ত দেওয়া হয়েছে, সব পণ্যের ওপর কর বৃদ্ধি করতে হবে এবং সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান লোকসানের মধ্যে আছে সেগুলো বিক্রি করে দিতে হবে।

আরও পড়ুন: আগস্টের ফের প্রাথমিকের নিয়োগ

আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে নতুন নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

আরও পড়ুন: মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ: আবেদনপত্র সংশোধনের সময়সীমা বাড়ল

 

আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে

২০২২ সালের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কায় একসঙ্গে ২০ হাজার সরকারি চাকুরিজীবী অবসরে যান। সাধারণ সময়ে ২ হাজার ৫০০ জনের মতো অবসরে গেলেও এই মাসে সংখ্যাটি প্রায় আট গুণ বেশি ছিল।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে অবসরের বয়স ৬৫ থেকে ৬০ করার কারণেই একসঙ্গে এতগুলো পদ শূন্য হয়। সেগুলোতে নতুন করে আপাতত কোনও নিয়োগ দেওয়া হবে না। এছাড়া সরকারের আয় বাড়াতে শ্রীলঙ্কায় বছরের প্রথম থেকেই ব্যক্তিগত ও কর্পোরেট ট্যাক্স দ্বিগুণ করা হয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ৬৫ শতাংশ। গত বছরের এপ্রিলে গণবিক্ষোভের মুখে পালিয়ে যান শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। এরপর প্রেসিডেন্ট হন রনিল বিক্রমাসিংহে। নতুন বছরের শুরুতেই তিনি জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার সংকট এখনও শেষ হয়নি। যদি শ্রীলঙ্কাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তাহলে আগে ঋণের বোঝা দুর করতে হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বন্ধ শ্রীলঙ্কায়

আপডেট : ৩ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : অর্থনৈতিক মন্দায় বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় সরকারি চাকরিতে সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের শর্ত মেনে ব্যয় সংকোচন করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। বর্তমানে দেশটিতে ১৫ লক্ষ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন।

অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে বাঁচতে আইএমএফের কাছ থেকে ২.৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে চেষ্টা করছে শ্রীলঙ্কা। তবে এক্ষেত্রে আইএমএফ শর্ত জুড়ে দিয়েছে,  ঋণ পরিশোধ করার সক্ষমতা অর্জন করলেই ঋণ দেওয়া হবে। আইএমএফ আরও জানিয়েছে,  শ্রীলঙ্কায় এখন যে সংখ্যক সরকারি পদ আছে তাও কমাতে হবে। এছাড়া শর্ত দেওয়া হয়েছে, সব পণ্যের ওপর কর বৃদ্ধি করতে হবে এবং সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান লোকসানের মধ্যে আছে সেগুলো বিক্রি করে দিতে হবে।

আরও পড়ুন: আগস্টের ফের প্রাথমিকের নিয়োগ

আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে নতুন নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

আরও পড়ুন: মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ: আবেদনপত্র সংশোধনের সময়সীমা বাড়ল

 

আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে

২০২২ সালের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কায় একসঙ্গে ২০ হাজার সরকারি চাকুরিজীবী অবসরে যান। সাধারণ সময়ে ২ হাজার ৫০০ জনের মতো অবসরে গেলেও এই মাসে সংখ্যাটি প্রায় আট গুণ বেশি ছিল।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে অবসরের বয়স ৬৫ থেকে ৬০ করার কারণেই একসঙ্গে এতগুলো পদ শূন্য হয়। সেগুলোতে নতুন করে আপাতত কোনও নিয়োগ দেওয়া হবে না। এছাড়া সরকারের আয় বাড়াতে শ্রীলঙ্কায় বছরের প্রথম থেকেই ব্যক্তিগত ও কর্পোরেট ট্যাক্স দ্বিগুণ করা হয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ৬৫ শতাংশ। গত বছরের এপ্রিলে গণবিক্ষোভের মুখে পালিয়ে যান শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। এরপর প্রেসিডেন্ট হন রনিল বিক্রমাসিংহে। নতুন বছরের শুরুতেই তিনি জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার সংকট এখনও শেষ হয়নি। যদি শ্রীলঙ্কাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তাহলে আগে ঋণের বোঝা দুর করতে হবে।