০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইস্তানবুলে শান্তি বৈঠকের পরের দিন ফের হামলা রাশিয়ার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 107

পুবের কলম প্রতিবেদক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মধ্যস্থতার বৈঠক বসেছিল ইস্তানবুলে। বলা হয়েছিল আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হল না। ইস্তানবুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মুখোমুখি বৈঠকের পরদিন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন বৈঠকে এমন বড় কোনও অগ্রগতি হয়নি। যা নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়। তিনি আরও বলেছেন ‘যেটা ইতিবাচক তা হল ইউক্রেনিয়ানরা অন্তত কাগজে-কলমে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরেছে। এতদিনে অন্তত সেটা হাতে পাওয়া গেছে। বাকিটা যা হয়েছে, তাকে আমরা বড় কোনও অগ্রগতি বলতে পারিনা। খুব বেশি আশা করার মত কিছু নেই। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র।

 

আরও পড়ুন: Earthquake: রাশিয়ায় ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

 

আরও পড়ুন: Ukraine War: শান্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের

বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তারা ইউক্রেনে ৬৪টি সামরিকসরঞ্জাম ধ্বংস করেছে। মস্কোতে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলতে গিয়ে, মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন যে বস্তুগুলির ওপর আঘাত হানা হয়েছিল তার মধ্যে তিনটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল। ধ্বংস করা হয়েছে একটি এস ৩০০ এবং দুটি বুক -এম ১, এবং রকেট লঞ্চারের তিনটি কেন্দ্র। আঘাত হানা হয় দুটি বড় জ্বালানী ডিপোতে। ইউক্রেনীয় সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে এমন ৪৯টি এলাকায় হামলা চালায় রাশিয়া ।

আরও পড়ুন: Trump-Putin Alaska Summit: যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে পুতিনের কঠিন পরিণতি হবে: ট্রাম্প

 

ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন ‘ইউক্রেনের মানুষ অত নির্বোধ নন। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর গত ৩৪ দিনে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। তা ছাড়া গত আট বছর ডনবাসে যুদ্ধের সময়ও ইউক্রেন শিখেছে, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ফলাফলে বিশ্বাস করা যেতে পারে, আলোচনায় নয়।’ অর্থাৎ ইউক্রেন কেবল রাশিয়ার মৌখিক ঘোষণাতেই সন্তুষ্ট নয়।

 

ইউক্রেনের আধিকারিক নিউডমিলা ডেনিসোভা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মারিউপোলে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় বিধ্বস্ত ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি) ভবন।’ শহরের এক সাদা বহুতলে ছিল রেড ক্রসের দপ্তর। সেখানেই বিমান হানার পাশাপাশি গোলা ছোড়ে রাশিয়া।কিভ ও চেরনিহিভে সেনা তৎপরতা কমানোর কথা ঘোষণা করেছিল মস্কো। অবশেষে সামান্য হলেও আশার আলো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করেছিলেন অনেকে। কিন্তু রাশিয়ার এই ঘোষণাকে ‘বোকা বানানোর বন্দোবস্ত বলে দাবি করল আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের মতে, এটা মস্কোর কৌশলগত বদল মাত্র। এর সঙ্গে যুদ্ধের তীব্রতা কমার বিন্দুমাত্র কোনও সম্পর্ক নেই। আসলে এমন গালভরা কথা বলে দুনিয়ার নজর ঘোরাতে চান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, মনে করছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিভ ও চেরনিহিভ থেকে রাশিয়া সেনা তৎপরতা কমানোর কথা বললেও ইউক্রেনকে সাবধান করেছে আমেরিকা। তাদের দাবি, কিভের আশপাশ থেকে খুব অল্প সংখ্যক সেনাকে সরিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ।

 

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কিরবি বলেন ‘এটা আসলে রাশিয়ার যুদ্ধ পরিকল্পনায় কৌশলগত পরিবর্তন। এর সঙ্গে সেনা প্রত্যাহারের কোনও সম্পর্কই নেই। এ বার মস্কোর নিশানায় আসতে চলেছে ইউক্রেনের বাকি অংশ। পাশাপাশি কিভেও হামলার তীব্রতা কমার কোনও আশা নেই।’কিরবির মতে, মস্কো কিভ দখলের প্রয়াসে বার বার ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন রণকৌশল নিয়ে ঝাঁপাচ্ছে।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইস্তানবুলে শান্তি বৈঠকের পরের দিন ফের হামলা রাশিয়ার

আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মধ্যস্থতার বৈঠক বসেছিল ইস্তানবুলে। বলা হয়েছিল আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হল না। ইস্তানবুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মুখোমুখি বৈঠকের পরদিন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন বৈঠকে এমন বড় কোনও অগ্রগতি হয়নি। যা নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়। তিনি আরও বলেছেন ‘যেটা ইতিবাচক তা হল ইউক্রেনিয়ানরা অন্তত কাগজে-কলমে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরেছে। এতদিনে অন্তত সেটা হাতে পাওয়া গেছে। বাকিটা যা হয়েছে, তাকে আমরা বড় কোনও অগ্রগতি বলতে পারিনা। খুব বেশি আশা করার মত কিছু নেই। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র।

 

আরও পড়ুন: Earthquake: রাশিয়ায় ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

 

আরও পড়ুন: Ukraine War: শান্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের

বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তারা ইউক্রেনে ৬৪টি সামরিকসরঞ্জাম ধ্বংস করেছে। মস্কোতে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলতে গিয়ে, মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন যে বস্তুগুলির ওপর আঘাত হানা হয়েছিল তার মধ্যে তিনটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল। ধ্বংস করা হয়েছে একটি এস ৩০০ এবং দুটি বুক -এম ১, এবং রকেট লঞ্চারের তিনটি কেন্দ্র। আঘাত হানা হয় দুটি বড় জ্বালানী ডিপোতে। ইউক্রেনীয় সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে এমন ৪৯টি এলাকায় হামলা চালায় রাশিয়া ।

আরও পড়ুন: Trump-Putin Alaska Summit: যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে পুতিনের কঠিন পরিণতি হবে: ট্রাম্প

 

ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন ‘ইউক্রেনের মানুষ অত নির্বোধ নন। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর গত ৩৪ দিনে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। তা ছাড়া গত আট বছর ডনবাসে যুদ্ধের সময়ও ইউক্রেন শিখেছে, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ফলাফলে বিশ্বাস করা যেতে পারে, আলোচনায় নয়।’ অর্থাৎ ইউক্রেন কেবল রাশিয়ার মৌখিক ঘোষণাতেই সন্তুষ্ট নয়।

 

ইউক্রেনের আধিকারিক নিউডমিলা ডেনিসোভা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মারিউপোলে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় বিধ্বস্ত ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি) ভবন।’ শহরের এক সাদা বহুতলে ছিল রেড ক্রসের দপ্তর। সেখানেই বিমান হানার পাশাপাশি গোলা ছোড়ে রাশিয়া।কিভ ও চেরনিহিভে সেনা তৎপরতা কমানোর কথা ঘোষণা করেছিল মস্কো। অবশেষে সামান্য হলেও আশার আলো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করেছিলেন অনেকে। কিন্তু রাশিয়ার এই ঘোষণাকে ‘বোকা বানানোর বন্দোবস্ত বলে দাবি করল আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের মতে, এটা মস্কোর কৌশলগত বদল মাত্র। এর সঙ্গে যুদ্ধের তীব্রতা কমার বিন্দুমাত্র কোনও সম্পর্ক নেই। আসলে এমন গালভরা কথা বলে দুনিয়ার নজর ঘোরাতে চান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, মনে করছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিভ ও চেরনিহিভ থেকে রাশিয়া সেনা তৎপরতা কমানোর কথা বললেও ইউক্রেনকে সাবধান করেছে আমেরিকা। তাদের দাবি, কিভের আশপাশ থেকে খুব অল্প সংখ্যক সেনাকে সরিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ।

 

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কিরবি বলেন ‘এটা আসলে রাশিয়ার যুদ্ধ পরিকল্পনায় কৌশলগত পরিবর্তন। এর সঙ্গে সেনা প্রত্যাহারের কোনও সম্পর্কই নেই। এ বার মস্কোর নিশানায় আসতে চলেছে ইউক্রেনের বাকি অংশ। পাশাপাশি কিভেও হামলার তীব্রতা কমার কোনও আশা নেই।’কিরবির মতে, মস্কো কিভ দখলের প্রয়াসে বার বার ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন রণকৌশল নিয়ে ঝাঁপাচ্ছে।