পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হয়েছে। দুই দেশই তিন দিনে ১,০০০ জন করে বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। বিনিময়টি কয়েক ধাপে হয়; প্রথম দিনে ৩৯০ জন, দ্বিতীয় দিনে ৩০৭ জন এবং শেষ দিনে ৩০৩ জন করে বন্দি ছাড়া হয়। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সেনা সদস্য ও সাধারণ নাগরিক দু’পক্ষেই ছিলেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিশ্চিত করেছেন, ‘৩০৩ জন ইউক্রেনীয় রক্ষক বাড়ি ফিরেছে।’
এই বন্দি বিনিময়কে চলমান সংঘাতের মধ্যে একটি বিরল মানবিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে, বিনিময়ের সময়ই রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে, যাতে কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছেন, বন্দি বিনিময় শেষে মস্কো শান্তি চুক্তির খসড়া ইউক্রেনকে দেবে, যদিও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এই বিনিময়কে স্বাগত জানালেও, যুদ্ধবিরতির জন্য আরও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে। এত বড় বন্দি বিনিময় সত্ত্বেও যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে এবং স্থায়ী শান্তি এখনও অধরা।
রাশিয়া মঙ্গলবার দাবি করেছে, গত এক সপ্তাহে ইউক্রেন তাদের ওপর ২,৩০০-র বেশি ড্রোন হামলা চালিয়েছে এবং এসব ড্রোন তারা ভূপাতিত করেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ মে রাত ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২,৩৩১টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে, যার মধ্যে ১,৪৬৫টি ড্রোন যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরের অঞ্চলে ধ্বংস করা হয়েছে। রাশিয়ার অভিযোগ, ইউক্রেন পশ্চিমা প্রযুক্তির ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রুশ বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা বাড়িয়েছে, আর এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া কেবলমাত্র ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা ও শিল্প-কারখানায় পালটা হামলা চালাচ্ছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, গত তিন দিনে রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর ৯০০-র বেশি ড্রোন, ব্যালিস্টিক ও ত্রুুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এসব হামলায় অন্তত ২০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও অনেকে, যার মধ্যে রাজধানী কিয়েভও রয়েছে। জেলেনস্কি এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, ‘‘এ ধরনের হামলার পেছনে কোনও সামরিক যুক্তি নেই, এটি কেবল রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত;যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ও মানুষের জীবন ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত।’’
































