ইউক্রেনে জোরদার হামলা! রাশিয়ার পশ্চিমা অস্ত্রের সরবরাহ লাইন ধ্বংস

- আপডেট : ৬ মে ২০২২, শুক্রবার
- / 14
মারিওপল, ৫ মে: ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মারিওপলের অবরুদ্ধ আজভস্তল স্টিল কারখানায় জোরদার হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। মারিওপলে কেবল এই কারখানা এলাকাটি ইউক্রেনীয়দের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ’নাৎসি’ আজভ রেজিমেন্টের কমান্ডার জানান, কারখানা এলাকার ভেতরে দ্বিতীয় দিনের মতো ‘কঠিন রক্তক্ষয়ী লড়াই’ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। টানা কয়েক দিনের হামলার পর রুশ বাহিনী কারখানা এলাকায় ঢুকে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে দেড় শতাধিক অসামরিক নাগরিককে কারখানা এলাকা থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এখনও সেখানে শিশুসহ প্রায় ২০০ অসামরিক নাগরিক অবস্থান করছেন। টেলিগ্রামে এক বার্তায় আজভ রেজিমেন্টের কমান্ডার দেনিস প্রোকোপেঙ্কো বলেছেন, ‘শত্রুদের বিরুদ্ধে সেনারা যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমি গর্বিত। পরিস্থিতি খুবই কঠিন।’ কারখানা এলাকায় আটকে পড়া ব্যক্তিদের জীবন বাঁচাতে রাষ্ট্রসংঘের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ফোনে মহাসচিব গুতেরেসকে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রত্যেকেই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের বাঁচাতে আমরা আপনাদের সহায়তা চাই।’ চলতি সপ্তাহে রাষ্ট্রসংঘ ও রেডক্রসের নেতৃত্বে সফলভাবে শতাধিক অসামরিক লোকজনকে কারখানা থেকে সরিয়ে আনায় গুতেরেসকে ধন্যবাদ জানান জেলেনস্কি। এদিকে, ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকাতে একাধিক রেলস্টেশনসহ অন্যান্য সরবরাহ লাইনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। পশ্চিমা দেশগুলো ‘অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন ভর্তি’ করছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা। রুশ সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা সমুদ্র ও আকাশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র মেরে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি রেলস্টেশনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। এছাড়া বিমান হামলার মাধ্যমে ইউক্রেনীয় বাহিনীর জ্বালানি ও গোলাবারুদের ডিপোতে আঘাত করা হয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন, ইউক্রেনের রেল অবকাঠামোতে হামলার উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহ আটকে দেওয়া। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমারা ইউক্রেনকে অস্ত্রে ভরে দিচ্ছে। এ কারণেই, পশ্চিমা অস্ত্র প্রবেশে ব্যবহৃত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ছয়টি রেলস্টেশন নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে রুশ বাহিনী। এছাড়া গোলাবারুদের চারটি ডিপোসহ ইউক্রেনের আরও ৪০টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে তারা।