০৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদে গাছ লাগাতে চলেছেন বিজ্ঞানীরা!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ অক্টোবর ২০২২, শুক্রবার
  • / 68

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: নতুন এক অভিযানের অংশ হিসেবে ২০২৫ সাল নাগাদ চাঁদে গাছ লাগানোর চেষ্টা করছেন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা। শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: ফের চাঁদের দেশে পাড়ি দেবে ভারত, চন্দ্রযান-৫ মিশনে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র

ভবিষ্যতে চাঁদের বুকে মানুষের বসতি স্থাপনের উপায় বের করতে এ গবেষা সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন: চাঁদে অবতরণের পথে মহাকাশযান ‘ব্লু ঘোস্ট’

কুইন্সল্যান্ড প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ব্রেট উইলিয়ামস বলেন; ইসরাইলের বেসরকারি চন্দ্রাভিযানের অংশ হিসেবে বেরেশিট-২ মহাকাশ যানে করে চাঁদে বীজ পাঠানো হবে।

আরও পড়ুন: চন্দ্রযানের সফল ল্যান্ডিং, বসিরহাটের ভূমিপুত্র বিজ্ঞানীকে নিয়ে উচ্ছ্বাস

মহাকাশ যানটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের পর বীজগুলোকে একটি বদ্ধ জায়গায় রেখে পানি দেওয়া হবে। এরপর এগুলোর অঙ্কুরোদ্গম এবং বিকাশ পর্যবেক্ষ করা হবে।

 

প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও কোন গাছ বেশি সময় রে টিকে থাকতে পারে এবং কত দ্রুত অঙ্কুরিত হতে পারে; তার ভিত্তিতে এই চন্দ্রাভিযানের জন্য উপযোগী গাছের বীজ বাছাই করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার এক প্রকারের দীর্ঘজীবী ঘাসকে এক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হতে পারে। সুপ্ত অবস্থায় এ ঘাস পানি ছাড়াই টিকে থাকতে পারে। এক বিবৃতিতে গবেষকরা বলেন; ‘চাঁদে খাদ্য; ওষুধ ও অক্সিজেন উৎপাদন প্রচেষ্টার প্রকল্প এটি।

 

চাঁদের বুকে মানুষের বসতি স্থাপনের ক্ষেত্রে এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ ক্যানবেরায় অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অ্যাপক কেইটলিন বার্ট মনে করেন; জলবায়ু পরিবর্তনের কারে খাদ্য নিরাপত্তাজনিত যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে; তা মোকাবিলার ক্ষেত্রেও এ গবেষণা সহায়ক হবে।

বার্ট বলেন; ‘চাঁদে উদ্ভিদ জন্মানোর পদ্ধতি যদি আবিষ্কার করা যায়; তবে পৃথিবীতে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কিছু পরিমণ্ডলেও খাদ্য জন্মানোর জন্য একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করা যাবে।’ লুনারিয়া ওয়ান নামের একটি সংস্থা প্রকল্পটি পরিচালনা করছে। অস্ট্রেলিয়া ও ইসরাইলের বিজ্ঞানীরা এ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চাঁদে গাছ লাগাতে চলেছেন বিজ্ঞানীরা!

আপডেট : ৭ অক্টোবর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: নতুন এক অভিযানের অংশ হিসেবে ২০২৫ সাল নাগাদ চাঁদে গাছ লাগানোর চেষ্টা করছেন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা। শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: ফের চাঁদের দেশে পাড়ি দেবে ভারত, চন্দ্রযান-৫ মিশনে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র

ভবিষ্যতে চাঁদের বুকে মানুষের বসতি স্থাপনের উপায় বের করতে এ গবেষা সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন: চাঁদে অবতরণের পথে মহাকাশযান ‘ব্লু ঘোস্ট’

কুইন্সল্যান্ড প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ব্রেট উইলিয়ামস বলেন; ইসরাইলের বেসরকারি চন্দ্রাভিযানের অংশ হিসেবে বেরেশিট-২ মহাকাশ যানে করে চাঁদে বীজ পাঠানো হবে।

আরও পড়ুন: চন্দ্রযানের সফল ল্যান্ডিং, বসিরহাটের ভূমিপুত্র বিজ্ঞানীকে নিয়ে উচ্ছ্বাস

মহাকাশ যানটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের পর বীজগুলোকে একটি বদ্ধ জায়গায় রেখে পানি দেওয়া হবে। এরপর এগুলোর অঙ্কুরোদ্গম এবং বিকাশ পর্যবেক্ষ করা হবে।

 

প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও কোন গাছ বেশি সময় রে টিকে থাকতে পারে এবং কত দ্রুত অঙ্কুরিত হতে পারে; তার ভিত্তিতে এই চন্দ্রাভিযানের জন্য উপযোগী গাছের বীজ বাছাই করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার এক প্রকারের দীর্ঘজীবী ঘাসকে এক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হতে পারে। সুপ্ত অবস্থায় এ ঘাস পানি ছাড়াই টিকে থাকতে পারে। এক বিবৃতিতে গবেষকরা বলেন; ‘চাঁদে খাদ্য; ওষুধ ও অক্সিজেন উৎপাদন প্রচেষ্টার প্রকল্প এটি।

 

চাঁদের বুকে মানুষের বসতি স্থাপনের ক্ষেত্রে এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ ক্যানবেরায় অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অ্যাপক কেইটলিন বার্ট মনে করেন; জলবায়ু পরিবর্তনের কারে খাদ্য নিরাপত্তাজনিত যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে; তা মোকাবিলার ক্ষেত্রেও এ গবেষণা সহায়ক হবে।

বার্ট বলেন; ‘চাঁদে উদ্ভিদ জন্মানোর পদ্ধতি যদি আবিষ্কার করা যায়; তবে পৃথিবীতে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কিছু পরিমণ্ডলেও খাদ্য জন্মানোর জন্য একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করা যাবে।’ লুনারিয়া ওয়ান নামের একটি সংস্থা প্রকল্পটি পরিচালনা করছে। অস্ট্রেলিয়া ও ইসরাইলের বিজ্ঞানীরা এ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত।