০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকঃ উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীদের নাম লেখা হচ্ছে কেন? জানতে চাইল হাইকোর্ট

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩ মার্চ ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 25

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীদের নাম লেখা হচ্ছে কেন, তার কারণ জানতে চেয়ে বোর্ড ও সংসদের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে দুই দফতরকে রিপোর্ট দিতে বলেছে আদালত।

উল্লেখ্য,  আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ২০২২  সালের মাধ্যমিকের পরীক্ষা। তার পর হবে উচ্চ মাধ্যমিক। মাধ্যমিক ও  উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার খাতায় ছাত্রছাত্রীর নাম না রেখে শুধু রোল নম্বর রাখার  আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হল।

উল্লেখ্য,  এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকা প্রকাশ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়তে হয়  উচ্চ মাধ্যমিক সংসদ সভাপতিকে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার নিয়মে কোথায় নাম লেখার  নির্দেশ দেওয়া নেই। পরীক্ষার্থীরা যাতে টার্গেট না হয়,  তার জন্য নাম না লেখার ব্যবস্থা নেই রুলসে। মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষাতেও আগে নাম লেখা হত। কিন্তু এখন আর সেই নিয়ম  রাখা  হয়নি। শুধু রোল নম্বর লিখে  পরীক্ষা দেয় ছাত্রছাত্রীরা।

সিবিএসই, আইসিএসই সহ কেন্দ্র ও রাজ্যের একাধিক অ্যাকাডেমিক ও  চাকরির পরীক্ষায় নাম লেখা হয় না। পরীক্ষকের কাছে কোনও নাম যাতে না যায় সেই জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কলেজ- ইউনিভারসিটির খাতায় ছাত্রছাত্রীদের নাম লেখা হয় না। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনও ভাবে পরীক্ষকের টার্গেট না হতে পারে, তার জন্য এর আগে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, মন্ত্রী ও আমলাদের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়। কিন্তু তাকে কোনও সুরাহা না হওয়ায় সমস্ত সম্প্রদাযের এগারোজন প্রতিনিধি কলকাতা হাইকোর্টে এই দুই পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের নাম না রাখা আবেদন জানানো হয় আদালতে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের হয় কলকাতা হইকোর্টে। ২২ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দুইদিন শুনানি হয়। ২৩ তারিখে শুনানিতে আদালত বলেছে, হাইকোর্ট মধ্যবর্তী আদেশ দেয়। সেই আদেশে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দুই বোর্ডকে বলা হয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সংসদ কেন পরীক্ষকদের নাম লিখতে চাইছে, তার বিস্তারিত  জানতে চেয়েছে আদালত। বোর্ড ও সংসদকে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে চলেছে। পরবর্তী শুনানি ২৭ এপ্রিল হবে।  আদালতের মধ্যবর্তী আদেশ ‘খুবই’ যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছেন শিক্ষানুরাগী ও অভিভাবক মহল।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকঃ উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীদের নাম লেখা হচ্ছে কেন? জানতে চাইল হাইকোর্ট

আপডেট : ৩ মার্চ ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীদের নাম লেখা হচ্ছে কেন, তার কারণ জানতে চেয়ে বোর্ড ও সংসদের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে দুই দফতরকে রিপোর্ট দিতে বলেছে আদালত।

উল্লেখ্য,  আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ২০২২  সালের মাধ্যমিকের পরীক্ষা। তার পর হবে উচ্চ মাধ্যমিক। মাধ্যমিক ও  উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার খাতায় ছাত্রছাত্রীর নাম না রেখে শুধু রোল নম্বর রাখার  আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হল।

উল্লেখ্য,  এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকা প্রকাশ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়তে হয়  উচ্চ মাধ্যমিক সংসদ সভাপতিকে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার নিয়মে কোথায় নাম লেখার  নির্দেশ দেওয়া নেই। পরীক্ষার্থীরা যাতে টার্গেট না হয়,  তার জন্য নাম না লেখার ব্যবস্থা নেই রুলসে। মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষাতেও আগে নাম লেখা হত। কিন্তু এখন আর সেই নিয়ম  রাখা  হয়নি। শুধু রোল নম্বর লিখে  পরীক্ষা দেয় ছাত্রছাত্রীরা।

সিবিএসই, আইসিএসই সহ কেন্দ্র ও রাজ্যের একাধিক অ্যাকাডেমিক ও  চাকরির পরীক্ষায় নাম লেখা হয় না। পরীক্ষকের কাছে কোনও নাম যাতে না যায় সেই জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কলেজ- ইউনিভারসিটির খাতায় ছাত্রছাত্রীদের নাম লেখা হয় না। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনও ভাবে পরীক্ষকের টার্গেট না হতে পারে, তার জন্য এর আগে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, মন্ত্রী ও আমলাদের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়। কিন্তু তাকে কোনও সুরাহা না হওয়ায় সমস্ত সম্প্রদাযের এগারোজন প্রতিনিধি কলকাতা হাইকোর্টে এই দুই পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের নাম না রাখা আবেদন জানানো হয় আদালতে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের হয় কলকাতা হইকোর্টে। ২২ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দুইদিন শুনানি হয়। ২৩ তারিখে শুনানিতে আদালত বলেছে, হাইকোর্ট মধ্যবর্তী আদেশ দেয়। সেই আদেশে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দুই বোর্ডকে বলা হয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সংসদ কেন পরীক্ষকদের নাম লিখতে চাইছে, তার বিস্তারিত  জানতে চেয়েছে আদালত। বোর্ড ও সংসদকে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে চলেছে। পরবর্তী শুনানি ২৭ এপ্রিল হবে।  আদালতের মধ্যবর্তী আদেশ ‘খুবই’ যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছেন শিক্ষানুরাগী ও অভিভাবক মহল।