০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেষরক্ষা হল না দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার
  • / 36

সিওল: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে পার্লামেন্টের ভোটাভুটির মাধ্যমে ইমপিচ করা হয়েছে। শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের ২০৪ জন সাংসদ ইওলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। স্বল্পস্থায়ী সামরিক আইন প্রয়োগের প্রচেষ্টার জন্য তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। তবে তিনি পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানানোর পর তার নিজস্ব ক্ষমতাসীন দলও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। এর পরেই প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল ইমপিচড বা অভিশংসিত হলেন। স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ইমপিচমেন্টের লক্ষ্যে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়। এতে ৩০০ জন সাংসদের মধ্যে ২০৪ জন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অপরদিকে ৮৫ জন বিপক্ষে, তিনজন ভোটদানে বিরত ছিলেন এবং চারটি ভোট বাতিল হয়। এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর অভিশংসনের জন্য ভোটাভুটি হয়। ওই সময় ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা তা বয়কট করায় প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়। জাতীয় পরিষদের স্পিকার উ ওন-শিক ওই দিন জানিয়েছিলেন, অভিশংসনের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৯৫টি। প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হওয়ায় প্রস্তাবটি পাস হয়নি।

Read More: হঠাৎ এরদোগান-ব্লিংকেন বৈঠক

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক শাসন জারি করে দেশটির রাজনীতি এখন উত্তাল। গত ৩ ডিসেম্বর আকস্মিক সামরিক আইন জারি করেন তিনি। তবে সাধারণ জনগণ ও বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে মাত্র ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে সামরিক আইন প্রত্যাহার করে নেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক।

Tag :

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শেষরক্ষা হল না দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের

আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার

সিওল: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে পার্লামেন্টের ভোটাভুটির মাধ্যমে ইমপিচ করা হয়েছে। শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের ২০৪ জন সাংসদ ইওলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। স্বল্পস্থায়ী সামরিক আইন প্রয়োগের প্রচেষ্টার জন্য তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। তবে তিনি পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানানোর পর তার নিজস্ব ক্ষমতাসীন দলও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। এর পরেই প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল ইমপিচড বা অভিশংসিত হলেন। স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ইমপিচমেন্টের লক্ষ্যে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়। এতে ৩০০ জন সাংসদের মধ্যে ২০৪ জন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অপরদিকে ৮৫ জন বিপক্ষে, তিনজন ভোটদানে বিরত ছিলেন এবং চারটি ভোট বাতিল হয়। এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর অভিশংসনের জন্য ভোটাভুটি হয়। ওই সময় ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা তা বয়কট করায় প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়। জাতীয় পরিষদের স্পিকার উ ওন-শিক ওই দিন জানিয়েছিলেন, অভিশংসনের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৯৫টি। প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হওয়ায় প্রস্তাবটি পাস হয়নি।

Read More: হঠাৎ এরদোগান-ব্লিংকেন বৈঠক

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক শাসন জারি করে দেশটির রাজনীতি এখন উত্তাল। গত ৩ ডিসেম্বর আকস্মিক সামরিক আইন জারি করেন তিনি। তবে সাধারণ জনগণ ও বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে মাত্র ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে সামরিক আইন প্রত্যাহার করে নেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক।