থ্যালাসেমিয়া নির্মূলে চিকিৎসকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা

- আপডেট : ১১ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার
- / 13
পুবের কলম প্রতিবেদক: থ্যালাসেমিয়া নিয়ে এবার আরও সতর্কতা অবলম্বন করল কলকাতা পুরসভা। শহর থেকে থ্যালাসেমিয়া নির্মূল করতে, দ্রুত রোগ নির্ণয় ও তার চিকিৎসার কৌশল শেখার জন্য ১৫ জন চিকিৎসককে দিল্লি পাঠিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের সেই প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হয়েছে। এবার তাঁরা পুরসভার বাকি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেবেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, তারা ১৫০ জনকে এই প্রশিক্ষণ দেবেন। প্রথম দফায় ৫০ জন চিকিৎসক প্রশিক্ষিত হবেন। পরে আরও দু’দফায় চলবে প্রশিক্ষণ। মোট তিন দফার প্রশিক্ষণে কলকাতা পুরসভাকে এই কাজে সহযোগিতা করবে একটি বেসরকারি সংস্থা। তাদের সাহায্যেই আগামীদিনে কলকাতায় একটি হাব খোলারও পরিকল্পনা রয়েছে পুরকর্তৃপক্ষ।
থ্যালাসেমিয়া এমন একটি রোগ যা মা বাবার মধ্যে থাকলে সন্তানের মধ্যে চলে আসার সম্ভাবনা থাকে প্রায় ৫০ শংতাংশ। এই অবস্থায় বিয়ের আগে পাথর-পাত্রী উভয়ের থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করার নিদান দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সেক্ষত্রে দুজনের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া থাকলে সেই বিয়ে না করার পক্ষেই মত চিকিৎসকমহলের। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুরক্ষিত হবে। এই কাজের প্রচার চালাবে কলকাতা পুরসভা। তার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষিত করা হবে। ফলে থ্যালাসেমিয়ার রোগ নির্ণয় তার চিকিৎসার ও সচেতনতার জন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে সমান ভাবে কাজ করবেন স্বাস্থ্যকমীরা।
এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষের বক্তব্য, এই কর্মসূচি চিকিৎসকদের সমৃদ্ধ করবে এবং কলকাতার থ্যালাসেমিয়া ও অন্যান্য হিমোগ্লোবিন ঘটিত রোগ মোকাবেলায় সাহায্য করবে।
জানা গিয়েছে, প্রশিক্ষণটি ইকো প্রদত্ত ডিজিটাল মডেলে অনলাইনে হবে। নয়ডার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ এই কর্মসূচির একটি কেন্দ্রীয় হাব হিসেবে কাজ করবে। কলকাতা ছাড়াও আরও দুটি কেন্দ্রীয় হাব হবে মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন মধ্যপ্রদেশে। বর্তমানে কলকাতায় থ্যালাসেমিয়ার বাহক প্রায় ২ লক্ষ।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের মার্চে প্রথম কলকাতা পুরসভা ও ইকো ইন্ডিয়ার যৌথ উদ্যোগে ইকো হাবের সূচনা হয়। এরপর চেতলা মেয়র’স ক্লিনিকে থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্ণয়ের মেশিন বসে। আগামীতে প্রত্যেক বরোতে পলি ক্লিনিক খোলারও পরিকল্পনা রয়েছে পুর কর্তৃপক্ষের।