ICDS সুপারভাইজার নিয়োগে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রায়ে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

- আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 100
মোল্লা জসিমউদ্দিন : মঙ্গলবার আইসিডিএস-এর (ICDS) সুপারভাইজার পদে নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের যে নির্দেশ ছিল তাতে রাজ্য সরকারের আবেদন মেনে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট।আইসিডিএসের সুপারভাইজার নিয়োগে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্রের নিয়ম মেনেই নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। আইসিডিএসের (ICDS) সুপারভাইজার পদে সর্বশেষ নিয়োগ হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৯ সালে। ৩৪৫৮টি আইসিডিএস সুপারভাইজার শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এবিষয়ে ২০১৫ সালে এক নির্দেশিকায় কেন্দ্র পরিষ্কারভাবে জানিয়েছিল, মোট শূন্যপদের ৫০ পদে অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী থেকেই পদোন্নতির ভিত্তিতেই নিয়োগ করতে হবে।
রাজ্য সরকার অঙ্গনওয়ারির কর্মীদের জন্য শুধুমাত্র ৪২২ টি শূন্যপদ রেখে বাকি ৩,০৩৬ শূন্যপদে সরাসরি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। রাজ্য সরকারের এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে কিছু অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এবিষয়ে কেন্দ্রের নিয়ম মেনে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাইকোর্টের সেই নির্দেশ রাজ্য মানেনি বলে অভিযোগ। এবিষয়ে ফের হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলে রাজ্যের তরফে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে।
ওই মামলাতেই বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখার নির্দেশ দেয়।এনিয়ে আইনজীবী আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী বলেন, -’’আজ যেটা স্পষ্ট হল তা হল রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিসন বেঞ্চের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তা গ্রাহ্য করেনি।’’ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তালের বেঞ্চে শুনানির সময় আইসিডিএস কর্মীদের কর্মীদের পক্ষের আইনজীবী এম পি সিং ও আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, -’কেন ২৫-৭৫ অনুপাতে সুপারভাইজার নিয়োগ করা যাবে না’।
উত্তরে আইনজীবী জানান, -’আইসিডিএসে (ICDS) শেষ নিয়োগ হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। ২০১৯ সালে ৩৪৫৮টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। কেন্দ্রের ২০১৫ সালের নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছিল, মোট শূন্যপদের ৫০ শতাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পদোন্নতির ভিত্তিতে পূরণ করতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার মাত্র ৪২২টি পদ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জন্য রেখে বাকি ৩০৩৬ পদে সরাসরি নিয়োগ শুরু করে’।