১লা সেপ্টেম্বরের পরেও খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি জানানোর সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট

- আপডেট : ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার
- / 134
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে যে, SIR প্রক্রিয়ার সময়সীমা ১লা সেপ্টেম্বর শেষ হলেও তারপরে বিহারের খসড়া ভোটার তালিকায় দাবি বা আপত্তি জমা দেওয়া যাবে। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং জয়মাল্য বাগচীর যৌথ ডিভিশন বেঞ্চ নির্বাচনী প্যানেলের প্রতিক্রিয়ার ওপর লক্ষ্য রেখেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন SIR এর চূড়ান্ত সময়সীমা পর্যন্ত যত আবেদন জমা পড়েছে তা বিবেচনা করে দেখা হবে।
আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন যে, আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটি চলবে। এছাড়াও অন্তর্ভুক্তি বা বাদ দেওয়া সমস্ত তথ্য চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বিহার-এসআইআর নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে আপত্তি জমা দেওয়ার জন্য প্যারা-লিগাল স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিহারে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭.২৪ কোটি। তার মধ্যে ৯৯.৫% ফর্ম জমা দিয়েছেন।
গত ২২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী খসড়া তালিকা থেকে যে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়েছিল তার মধ্য থেকে ৩৩,৩২৬ জন ব্যক্তি ও দলের মধ্য থেকে ২৫টি দাবি অন্তর্ভুক্তির জন্য জমা পড়েছে। যে সমস্ত ভোটারদের বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্য থেকে ১,৩৪,৭৩৮টি আপত্তি দায়ের করা হয়েছে। দ্বিবেদী আরও জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর দিক থেকে অন্তর্ভুক্তির জন্য কোন দাবি আসছে না উল্টে খসড়া তালিকা থেকে ভোটার বাদ দেওয়ার জন্য আপত্তি জমা পড়ছে।
এর আগে গত ২২শে আগস্ট আদালতের নির্দেশ ছিল যে, খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়া ভোটাররা আপাতভাবে অনলাইনের মাধ্যমে তাদের অন্তর্ভুক্তির আবেদন করতে পারবেন। সশরীরে গিয়ে জমা দেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। নির্বাচন কমিশনের ১ আগস্টের খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না থাকা ৬৫ লক্ষ ভোটারের তথ্য রাজ্যের ৩৮টি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর), পিইউসিএল, কর্মী যোগেন্দ্র যাদব, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও প্রাক্তন বিধায়ক মুজাহিদ আলম প্রমুখরা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন দায়ের করেছিলেন। তাঁদের আবেদনে বলা হয়েছিল, নির্বাচনী নির্দেশিকা বাতিল করার জন্য। যেখানে একজন ভোটারকে তার নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখানোর জন্য শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এমনকি আধার ও রেশন কার্ডের মতো নথি বাদ দেওয়ার কারণে গ্রামীণ এলাকার ভোটাররাও অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত হতে পারেন বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।