‘মিশনারিদের খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার বেআইনি কোনও ঘটনা নয়’ শীর্ষ আদালতকে জানাল ডিএমকে সরকার

- আপডেট : ২ মে ২০২৩, মঙ্গলবার
- / 11
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মিশনারিরা খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার করলে তা অসাংবিধানিক নয়, সুপ্রিম কোর্টকে এমনটাই জানালো তামিলনাডু সরকার। শীর্ষ আদালতকে স্টালিন সরকার জানিয়েছে, ভারতের সংবিধানের আর্টিকেল ২৫ অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিককে নিজস্ব ধর্ম প্রচারের অধিকার দেওয়া হয়েছে। তাই মিশনারিদের ধর্ম প্রচার আইনের পরিপন্থী কোনও ঘটনা নয়। শান্তিপূর্ণভাবে তারা তাঁদের ধর্ম প্রচার করতে পারে। তবে প্রচারের কাজ যদি আইনশৃঙ্খলা, নৈতিকতা, স্বাস্থ্য এবং সংবিধানের পার্ট থ্রির বিরুদ্ধে যায় সেক্ষেত্রে বিষয়টি গুরুতরভাবে দেখতে হবে।
ধর্মান্তকরণ নিয়ে বিজেপি নেতা আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের দায়ের করা এক মামলায় শীর্ষ আদালতে ডিএমকে সরকার জানিয়েছে, গত বহু বছরে রাজ্যে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের কোনও ঘটনা প্রকাশ্যে আসেনি।
ভারতীয় সংবিধানের আর্টিকেল ২১ এবং ২৫ এর উদ্ধৃতি টেনে, রাজ্য সরকার বলেছে প্রত্যেক নাগরিক শান্তিপূর্ণভাবে তার ধর্ম পালন ও প্রচার করতে পারে। নির্দিষ্ট ধর্মে বিশ্বাস রাখার অধিকার একটি অলঙ্ঘনীয় অধিকার যা রাষ্ট্রও রক্ষা করতে বাধ্য। ধর্মান্তর বিরোধী আইন সম্পর্কে, এম কে স্ট্যালিনের নেতৃত্বাধীন সরকার এদিন বলে ২০০২ সালে তামিলনাড়ু প্রহিবিশন অফ ফোর্সিবল কনভার্সন অফ রিলিজিয়ন অ্যাক্ট পাশ করেছিল প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতার নেতৃত্বাধীন এআইএডিএমকে সরকার।
২০০২ সালে বলপ্রয়োগ বা প্রলোভনের মাধ্যমে ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে একটি আইন প্রণয়ন করেছিল। প্রবল বিরোধিতার মুখে পরে ২০০৬ সালে তা বাতিল করা হয়। উল্লেখ্য, খ্রিস্টান প্রতিষ্ঠান গুলিতে ভিন ধর্মের পড়ুয়াদের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়।
তিনি নাবালিকা লাবণ্যর আত্মহত্যা ঘটনাকে টেনে বলেন, জোর পূর্বক ধর্মান্তকরণের চেষ্টা চালাচ্ছিল মিশনারিরা। তাই চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় নাবালিকা। যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছে ডিএমকে সরকার। তিনি জানান, কি কারণে ওই নাবালিকা আত্মহত্যা করেছে তার অনুসন্ধান করছে সিবিআই। তবে রাজ্য পুলিশের তদন্ত অনুসারে, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণে সে আত্মহত্যা করে নি।