২৭ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মায়ের বুকের দুধে প্লাস্টিকের অস্তিত্ব! উদ্বিগ্ন গবেষকরা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২২, সোমবার
  • / 100

 

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মায়ের বুকের দুধে প্রথমবারের মতো প্লাস্টিকের অতি ক্ষুদ্র কণা বা ‘মাইক্রোপ্লাস্টিক’ শনাক্ত হল। ২০২০ সালে নবজাতকের প্লাসেন্টায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের সন্ধান পাওয়া ইতালীয় গবেষক দলটিই নতুন এ গবেষণা চালিয়েছে।

আরও পড়ুন: এক কাফ কফি ৭০০ টাকা! মাল্টিপ্লেক্সগুলির দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট

 

আরও পড়ুন: প্লাস্টিক মুক্ত দিবস ও বাল্যবিবাহ রোধ বিষয়ক আলোচনা সভা হয়ে গেল বহড়ুতে

ইতালির রোমে ৩৪ জন মায়ের বুকের দুধের নমুনা পরীক্ষা করে চারভাগের তিন ভাগ মায়ের বুকের দুধেই মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব মেলে। এই গবেষণা চালানোর পর গবেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান; নবজাতকদের স্বাস্থ্যের জন্য বড় ঝুঁকির প্রমাণ মিলল।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের ‘অবৈধ’ বসতি সম্প্রসারণে উদ্বিগ্ন ৩ দেশ  

এর আগে গর্ভে থাকা অবস্থায় নবজাতকের শরীরে; এমনকী মানুষের ব্রেনে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। গবেষকরা বলছেন; নবজাতকের জন্য সবচেয়ে সেরা খাবার মায়ের বুকের দুধ।

শিশুকে প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করে গুঁড়ো দুধ বা অন্য যেকোনও ‘ফর্মুলা দুধ’ পান করানোর মাধ্যমে তার শরীরে উচ্চমাত্রায় প্লাস্টিকের মজুদ গড়ে উঠতে পারে।

সম্প্রতি চালানো গবেষার জন্য এক সপ্তাহ আগে সন্তান জন্ম দেওয়া মায়েদের কাছ থেকে এক গ্রাম করে দুধ সংগ্রহ করা হয়। এসব নমুনায় ১ থেকে ৫টি মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

গবেষকরা বলছেন; এসব প্লাস্টিক পার্টিক্যাল পিভিসি; পলিইথিলিন; পলিপ্রোপাইলিন-সহ সব রকম প্লাস্টিক পণ্য থেকে এসেছে।

এ বিষয়ে পলিমার নামের জার্নালে গবেষকরা লিখেছেন; মানুষের শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি এখন অনিবার্য হয়ে উঠেছে।

গবেষক দলের সদস্য ড. ভ্যালেন্টিনা নোটারস্টেফানো বলেন; মায়ের বুকের দুধে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি নবজাতকের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

তবে এই গবেষণার ওপর ভিত্তি করে মায়ের বুকের দু শিশুকে পান করানো কমিয়ে দেওয়া উচিত হবে না বলেও জানান ড. ভ্যালেন্টিনা। তিনি বলেন; দূষণ কমানোর আইন বানাতে রাজনীতিকদের চাপ দিতে হবে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মায়ের বুকের দুধে প্লাস্টিকের অস্তিত্ব! উদ্বিগ্ন গবেষকরা

আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২২, সোমবার

 

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মায়ের বুকের দুধে প্রথমবারের মতো প্লাস্টিকের অতি ক্ষুদ্র কণা বা ‘মাইক্রোপ্লাস্টিক’ শনাক্ত হল। ২০২০ সালে নবজাতকের প্লাসেন্টায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের সন্ধান পাওয়া ইতালীয় গবেষক দলটিই নতুন এ গবেষণা চালিয়েছে।

আরও পড়ুন: এক কাফ কফি ৭০০ টাকা! মাল্টিপ্লেক্সগুলির দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট

 

আরও পড়ুন: প্লাস্টিক মুক্ত দিবস ও বাল্যবিবাহ রোধ বিষয়ক আলোচনা সভা হয়ে গেল বহড়ুতে

ইতালির রোমে ৩৪ জন মায়ের বুকের দুধের নমুনা পরীক্ষা করে চারভাগের তিন ভাগ মায়ের বুকের দুধেই মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব মেলে। এই গবেষণা চালানোর পর গবেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান; নবজাতকদের স্বাস্থ্যের জন্য বড় ঝুঁকির প্রমাণ মিলল।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের ‘অবৈধ’ বসতি সম্প্রসারণে উদ্বিগ্ন ৩ দেশ  

এর আগে গর্ভে থাকা অবস্থায় নবজাতকের শরীরে; এমনকী মানুষের ব্রেনে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। গবেষকরা বলছেন; নবজাতকের জন্য সবচেয়ে সেরা খাবার মায়ের বুকের দুধ।

শিশুকে প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করে গুঁড়ো দুধ বা অন্য যেকোনও ‘ফর্মুলা দুধ’ পান করানোর মাধ্যমে তার শরীরে উচ্চমাত্রায় প্লাস্টিকের মজুদ গড়ে উঠতে পারে।

সম্প্রতি চালানো গবেষার জন্য এক সপ্তাহ আগে সন্তান জন্ম দেওয়া মায়েদের কাছ থেকে এক গ্রাম করে দুধ সংগ্রহ করা হয়। এসব নমুনায় ১ থেকে ৫টি মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

গবেষকরা বলছেন; এসব প্লাস্টিক পার্টিক্যাল পিভিসি; পলিইথিলিন; পলিপ্রোপাইলিন-সহ সব রকম প্লাস্টিক পণ্য থেকে এসেছে।

এ বিষয়ে পলিমার নামের জার্নালে গবেষকরা লিখেছেন; মানুষের শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি এখন অনিবার্য হয়ে উঠেছে।

গবেষক দলের সদস্য ড. ভ্যালেন্টিনা নোটারস্টেফানো বলেন; মায়ের বুকের দুধে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি নবজাতকের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

তবে এই গবেষণার ওপর ভিত্তি করে মায়ের বুকের দু শিশুকে পান করানো কমিয়ে দেওয়া উচিত হবে না বলেও জানান ড. ভ্যালেন্টিনা। তিনি বলেন; দূষণ কমানোর আইন বানাতে রাজনীতিকদের চাপ দিতে হবে।