একাদশ -দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ওএমআর শিট কারচুপির রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

- আপডেট : ৮ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার
- / 2
পারিজাত মোল্লা: বৃহস্পতিবার একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ওএমআর কারচুপির ক্ষেত্রে রিপোর্ট তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আগামী ২৮ জুন মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি, ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়নি কেন? সেটাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। ৯০৭টি ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই কারচুপির ধরণ কী? তা জানতে চান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
এছাড়া ওএমআর শিট প্রকাশ করা গেলে তা কবে করা যাবে? সেই তথ্য বিস্তারিত জানাতে হবে রিপোর্টে, এসএসসি-কে এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে সিবিআই-কেও ৯০৭টি ওএমআর শিট কারচুপি তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট আগামী ২৮ জুন মধ্যে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাকরিপ্রার্থী গোলাম নবি আজাদের করা এক মামলায় এই নির্দেশ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।
সিবিআইকে রিপোর্ট দিতে হবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কী কী হয়েছে তদন্তে, কাউকে ডাকা হয়েছে কি না, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না । এই সমস্ত বিষয়ই জানতে চাইলেন বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু। ২৮ জুনের মধ্যে এই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ।৯০৭ টি ওএমআর কারচুপি’র ধরন কী ? এই ওএমআর প্রকাশ করা যায়নি কেন ? প্রকাশ করা গেলে তা কবে যাবে ? এই সমস্ত বিষয়ই রিপোর্টে বিস্তারিত জানাতে হবে রিপোর্টে এসএসসিকে। একইসঙ্গে সিবিআইকে ৯০৭টি ওএমআর কারচুপি তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ২৮ জুনের মধ্যে ।
গোলাম নবি আজাদের করা মামলায় এহেন নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলাকারীদের আইনজীবীরা জানিয়ে , ” ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া। গোলাম নবি আজাদ ও নাসিমা খাতুন দু’জন বাংলা বিষয়ে ওয়েট লিস্টেড প্রার্থী । তাঁদের র্যাঙ্ক ১০ ও ১১। কিন্তু চাকরি পাননি । অথচ সাবিরুল ইসলামের র্যাঙ্ক ১২ হওয়া সত্ত্বেও কিন্তু চাকরি পেয়ে গিয়েছে । এই মর্মেই দায়ের হয়েছিল মামলা । এই মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত করছে । ২০১৬ সালের সমস্ত বিষয়ের নিয়োগেই কারচুপি হয়েছে বলে আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
“অভিযোগ ছিল, ২০১৬ সালের একাদশ ও দ্বাদশে নিয়োগ ওএমআর শিট বিকৃত করে নম্বর বাড়ানো হয়েছে, র্যাঙ্ক জাম্প করে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে । এই ধরনের ৯০৭ টি ওএমআর সিটের তথ্য আগেই আদালতের হাতে দিয়েছিল সিবিআই । সেই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কী তদন্ত হয়েছে তা জানতে চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু ।আগামী ২৮ জুনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।