০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিন্দু হয়েও রোযা রাখেন নীলম, শিখবেন আরবিও!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার
  • / 33

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: নীলম গোকুল সিং। ২৬ বছরের হিন্দু ধর্মাবলম্বী তরুণী তিনি। বেশ কয়েক বছর ধরেই রমযান মাসে রোযা করছেন। মরিসাসের নাগরিক নীলম শুরুতে বন্ধুদের দেখাদেখি রোযা রাখলেও এখন তিনি আত্মোপলব্ধির কারণে নিজেই রোযা রাখছেন। চলতি বছর আরবি ভাষা শিক্ষা শুরু করবেন বলেও জানান তিনি। নীলম গত দুই বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে থাকছেন। তবে তিনি পড়ালেখা করেছেন মালয়েশিয়ায়। মালয়েশিয়াতেই প্রথম রোযা করা শুরু করেন এই হিন্দু তরুণী। নীলম বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় মুসলিম জনসংখ্যা অনেক। আমি সেখানে ২০২১ সালে রোজা রাখা শুরু করি। মালয়েশিয়ায় আমার অনেক মুসলিম বন্ধু আছে। আমরা সেহরি এবং ইফতার করতাম। এটি আমার জন্য তাদের সংস্কৃতির সঙ্গে সংহতি ও উপলব্ধির বিষয় ছিল। যদিও আমি একজন হিন্দু।’ মালয়েশিয়া থেকে দুই বছর আগে চাকরি সূত্রে দুবাই যান নীলাম। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে রোযা রেখেছিলাম কারণ আমার চারপাশের সবাই পবিত্র মাসে রোযা রাখতেন। এটি আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছে যে, খাবার ও পানি ছাড়া কাজ করা কতটা কঠিন।’ তিনি বলেন, ‘রোযার মাধ্যমে নিজেদের শুদ্ধ করা যায়। আমি সেহরিতে ঘুম থেকে উঠি এবং ফ্রিজে যা থাকে সেগুলো খেয়ে সারাদিন রোযা থাকি। কিন্তু ইফতার খুব স্পেশাল। আমি দিনের শেষে আমার সহকর্মীদের সঙ্গে খাবারের অপেক্ষায় থাকি। খাবারে সাধারণত খেজুর, জুস, ফল, শাকসবজি ও মাংস থাকে।’ ইফতারকে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দেখেন নীলম। তিনি বলেন, ‘এটি একটি সম্প্রদায়ের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।’ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৩০ দিন রোযা রাখতে একজন অমুসলিমের সংকল্প প্রয়োজন।’

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হিন্দু হয়েও রোযা রাখেন নীলম, শিখবেন আরবিও!

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: নীলম গোকুল সিং। ২৬ বছরের হিন্দু ধর্মাবলম্বী তরুণী তিনি। বেশ কয়েক বছর ধরেই রমযান মাসে রোযা করছেন। মরিসাসের নাগরিক নীলম শুরুতে বন্ধুদের দেখাদেখি রোযা রাখলেও এখন তিনি আত্মোপলব্ধির কারণে নিজেই রোযা রাখছেন। চলতি বছর আরবি ভাষা শিক্ষা শুরু করবেন বলেও জানান তিনি। নীলম গত দুই বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে থাকছেন। তবে তিনি পড়ালেখা করেছেন মালয়েশিয়ায়। মালয়েশিয়াতেই প্রথম রোযা করা শুরু করেন এই হিন্দু তরুণী। নীলম বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় মুসলিম জনসংখ্যা অনেক। আমি সেখানে ২০২১ সালে রোজা রাখা শুরু করি। মালয়েশিয়ায় আমার অনেক মুসলিম বন্ধু আছে। আমরা সেহরি এবং ইফতার করতাম। এটি আমার জন্য তাদের সংস্কৃতির সঙ্গে সংহতি ও উপলব্ধির বিষয় ছিল। যদিও আমি একজন হিন্দু।’ মালয়েশিয়া থেকে দুই বছর আগে চাকরি সূত্রে দুবাই যান নীলাম। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে রোযা রেখেছিলাম কারণ আমার চারপাশের সবাই পবিত্র মাসে রোযা রাখতেন। এটি আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছে যে, খাবার ও পানি ছাড়া কাজ করা কতটা কঠিন।’ তিনি বলেন, ‘রোযার মাধ্যমে নিজেদের শুদ্ধ করা যায়। আমি সেহরিতে ঘুম থেকে উঠি এবং ফ্রিজে যা থাকে সেগুলো খেয়ে সারাদিন রোযা থাকি। কিন্তু ইফতার খুব স্পেশাল। আমি দিনের শেষে আমার সহকর্মীদের সঙ্গে খাবারের অপেক্ষায় থাকি। খাবারে সাধারণত খেজুর, জুস, ফল, শাকসবজি ও মাংস থাকে।’ ইফতারকে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দেখেন নীলম। তিনি বলেন, ‘এটি একটি সম্প্রদায়ের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।’ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৩০ দিন রোযা রাখতে একজন অমুসলিমের সংকল্প প্রয়োজন।’