১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিধায়কের নাম ভাঙিয়ে তোলাবাজি, শিল্পপতির অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে

রফিকুল হাসান
  • আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২১, শনিবার
  • / 25

নসিবুদ্দিন সরকার, হুগলি: বিধায়কের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ প্রভাবশালী এক স্থানীয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ধনেখালি বিধানসভার দাদপুর থানার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে নবনির্মিত লজিস্টিক হাব ও রিসর্টে। সেইসঙ্গে ওই প্রকল্পে কর্মরত তিন ইঞ্জিনিয়ারকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিল্পপতি মহেশ আগরওয়াল মেইল করে মুখ্যমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে অভিযোগ জানান। এমনকি দাদপুর থানাতেও তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহেশ আগরওয়াল নামে ওই শিল্পপতি দাদপুর থানা এলাকার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে লজিস্টিক হাব ও রিসর্ট নির্মাণ করছেন। ওই প্রকল্পে তিনি কয়েক’শ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। মহেশ আগরওয়ালের অভিযোগ, পুজোর সময় স্থানীয় ধনেখালি বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা রাজীব বসু রায় ওরফে চ্যাংকা তার কাছে ৫০ হাজার টি-শার্ট দেওয়ার দাবি জানান। এক একটি শার্টের মূল্য ৭০ টাকা করে ধার্য করে। তাহলে ৫০ হাজার শার্টের দাম দাঁড়ায় ৩৫ লক্ষ টাকা। 

আরও পড়ুন: দেশের ধনী বিধায়ক BJP-র পরাগ শাহ

গত ২৮ অক্টোবর কারখানা এলাকায় গিয়ে রাজীব কারখানার মালিকের কাছে টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। একদিনের মধ্যে ওই টাকা না দিলে তিনি তার ক্ষমতা দেখিয়ে দেবেন বলে ওই শিল্পপতিকে হুমকি দেন। শিল্পপতি মহেশ আগরওয়াল প্রথমত রাজীবের হুমকিকে পাত্তাই দেননি। রাজীবের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু ২৯ অক্টোবর সকালে রাজীব তার দলবল নিয়ে একটি স্করপিও গাড়িতে করে কারখানা এলাকায় পৌঁছান। কারখানার কর্মীদের বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। কারখানার ইঞ্জিনিয়ার পীযূষকান্তি পোড়েল, তন্ময় বারিক ও সুদীপ সরকারকে জোর করে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায়। তাদেরকে একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়।

আরও পড়ুন: সোনারপুরে বুথ ভিওিক জনসংযোগ বাড়াতে এগিয়ে এলেন বিধায়ক ও সাংসদ 

মহেশ আগারওয়াল জানান, তার কাছে তোলাবাজির টাকা চাইতে গিয়ে এলাকার বিধায়ক অসীমা পত্রের নাম ভাঙায় রাজীব। তার সন্দেহ হয়। তিনি অসীমা পাত্রর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু যোগাযোগ হয়নি। রাজীবসহ দুষ্কৃতীরা মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়কের বদনাম করতেই ওই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে শিল্পপতির অভিযোগ।

আরও পড়ুন: পাপিষ্ঠরা যেখানে গেল, সেখানে গিয়েই ভরাডুবি হল: বিশ্বকাপ নিয়ে বিঁধলেন মমতা

অপরদিকে বিধায়ক অসীমা পাত্র জানান, ঘটনার কথা তিনি জানতেন না।থানা থেকে জানতে পারেন। তার নাম করে কে কি করছে সেটা দেখা সম্ভব নয়।তার নাম ভাঙিয়ে যখন টাকা চাইল তখন তাকে জানানো হল না কেন? এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিধায়ক। তবে তিনি পুলিশ সুপারকে উপযুক্ত তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলবেন বলে জানান। জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, ঘটনার অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিধায়কের নাম ভাঙিয়ে তোলাবাজি, শিল্পপতির অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে

আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২১, শনিবার

নসিবুদ্দিন সরকার, হুগলি: বিধায়কের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ প্রভাবশালী এক স্থানীয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ধনেখালি বিধানসভার দাদপুর থানার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে নবনির্মিত লজিস্টিক হাব ও রিসর্টে। সেইসঙ্গে ওই প্রকল্পে কর্মরত তিন ইঞ্জিনিয়ারকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিল্পপতি মহেশ আগরওয়াল মেইল করে মুখ্যমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে অভিযোগ জানান। এমনকি দাদপুর থানাতেও তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহেশ আগরওয়াল নামে ওই শিল্পপতি দাদপুর থানা এলাকার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে লজিস্টিক হাব ও রিসর্ট নির্মাণ করছেন। ওই প্রকল্পে তিনি কয়েক’শ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। মহেশ আগরওয়ালের অভিযোগ, পুজোর সময় স্থানীয় ধনেখালি বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা রাজীব বসু রায় ওরফে চ্যাংকা তার কাছে ৫০ হাজার টি-শার্ট দেওয়ার দাবি জানান। এক একটি শার্টের মূল্য ৭০ টাকা করে ধার্য করে। তাহলে ৫০ হাজার শার্টের দাম দাঁড়ায় ৩৫ লক্ষ টাকা। 

আরও পড়ুন: দেশের ধনী বিধায়ক BJP-র পরাগ শাহ

গত ২৮ অক্টোবর কারখানা এলাকায় গিয়ে রাজীব কারখানার মালিকের কাছে টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। একদিনের মধ্যে ওই টাকা না দিলে তিনি তার ক্ষমতা দেখিয়ে দেবেন বলে ওই শিল্পপতিকে হুমকি দেন। শিল্পপতি মহেশ আগরওয়াল প্রথমত রাজীবের হুমকিকে পাত্তাই দেননি। রাজীবের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু ২৯ অক্টোবর সকালে রাজীব তার দলবল নিয়ে একটি স্করপিও গাড়িতে করে কারখানা এলাকায় পৌঁছান। কারখানার কর্মীদের বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। কারখানার ইঞ্জিনিয়ার পীযূষকান্তি পোড়েল, তন্ময় বারিক ও সুদীপ সরকারকে জোর করে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায়। তাদেরকে একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়।

আরও পড়ুন: সোনারপুরে বুথ ভিওিক জনসংযোগ বাড়াতে এগিয়ে এলেন বিধায়ক ও সাংসদ 

মহেশ আগারওয়াল জানান, তার কাছে তোলাবাজির টাকা চাইতে গিয়ে এলাকার বিধায়ক অসীমা পত্রের নাম ভাঙায় রাজীব। তার সন্দেহ হয়। তিনি অসীমা পাত্রর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু যোগাযোগ হয়নি। রাজীবসহ দুষ্কৃতীরা মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়কের বদনাম করতেই ওই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে শিল্পপতির অভিযোগ।

আরও পড়ুন: পাপিষ্ঠরা যেখানে গেল, সেখানে গিয়েই ভরাডুবি হল: বিশ্বকাপ নিয়ে বিঁধলেন মমতা

অপরদিকে বিধায়ক অসীমা পাত্র জানান, ঘটনার কথা তিনি জানতেন না।থানা থেকে জানতে পারেন। তার নাম করে কে কি করছে সেটা দেখা সম্ভব নয়।তার নাম ভাঙিয়ে যখন টাকা চাইল তখন তাকে জানানো হল না কেন? এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিধায়ক। তবে তিনি পুলিশ সুপারকে উপযুক্ত তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলবেন বলে জানান। জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, ঘটনার অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।