২১ জুন ২০২৫, শনিবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আনিস-কাণ্ডে পুলিশি অভিযানই ছিল বেআইনি, হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি রাজ্যের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৭ মে ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 39

পুবের কলম প্রতিবেদক: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের মুখ আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের তরফে পুলিশের দিকেই বরাবর আঙুল তোলা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এবার সেই আনিস-কাণ্ডেই পুলিশের ভূমিকা যথাযথ ছিল না বলে আদালতে স্বীকার করে নিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে আনিস মামলার শুনানি ছিল। সেখানে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, আমি স্বীকার করছি, ঘটনার দিন পুলিশ উপযুক্ত ভূমিকা পালন করেনি। ওইদিন পুলিশের অভিযান আইন মেনে হয়নি বলেও জানান রাজ্যের এজি।

তবে তাঁর দাবি, আনিসকে খুন করা হয়েছে, এমন কোনও তথ্য তদন্তে উঠে আসেনি। তিনি সিট-এর তদন্তের উপরেই আস্থা রাখার কথা বলেন।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

এ দিন কলকাতা হাইকোর্টে আনিস মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, ছাত্রনেতা আনিস খান আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে খুনও করা হয়নি। তাঁর বক্তব্য, খুনের জন্য পুলিশের কোনও মোটিভ নেই। এমনকী আনিসকে ব্যক্তিগতভাবে কেউ চিনতেনও না। তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন আনিসকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল পুলিশ। সম্ভবত সেই সময় পালানোর চেষ্টা করেন আনিস খান।

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট

তবে পুলিশি অভিযান যে আইন মেনে হয়নি তা স্বীকার করেন রাজ্যের আইনজীবী। এ নিয়ে তিনি বলেন, তল্লাশির ক্ষেত্রে পুলিশকে যা নিয়ম মানতে হয়, এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। ফলে ওই তল্লাশির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ কর্মীদের শাস্তির প্রয়োজন রয়েছে। এই ঘটনার জন্য অ্যাডিশনাল এসপিকে প্রশ্নের মুখেও পড়তে হবে বলেও আদালতে উল্লেখ করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: মানিকের স্ত্রী- পুত্র মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে ইডি

প্রসঙ্গত, প্রায় চার মাস আগে হাওড়ার আমতা থানার বাসিন্দা আনিস খানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশের পোশাক পরা কয়েকজন। তাঁর বাবাকে আটকে রেখে তারা উপর তলায় চলে যায়। অভিযোগ, পুলিশের লোকেরাই আনিসকে ছাদ থেকে ফেলে খুন করেছে। রাজ্যের তরফে অবশ্য সিট গঠন করে তদন্ত চালানো হচ্ছে।  এরই মধ্যে পুলিশের গাফিলতির কথা স্বীকার করল রাজ্য।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আনিস-কাণ্ডে পুলিশি অভিযানই ছিল বেআইনি, হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি রাজ্যের

আপডেট : ১৭ মে ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের মুখ আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের তরফে পুলিশের দিকেই বরাবর আঙুল তোলা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এবার সেই আনিস-কাণ্ডেই পুলিশের ভূমিকা যথাযথ ছিল না বলে আদালতে স্বীকার করে নিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে আনিস মামলার শুনানি ছিল। সেখানে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, আমি স্বীকার করছি, ঘটনার দিন পুলিশ উপযুক্ত ভূমিকা পালন করেনি। ওইদিন পুলিশের অভিযান আইন মেনে হয়নি বলেও জানান রাজ্যের এজি।

তবে তাঁর দাবি, আনিসকে খুন করা হয়েছে, এমন কোনও তথ্য তদন্তে উঠে আসেনি। তিনি সিট-এর তদন্তের উপরেই আস্থা রাখার কথা বলেন।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

এ দিন কলকাতা হাইকোর্টে আনিস মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, ছাত্রনেতা আনিস খান আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে খুনও করা হয়নি। তাঁর বক্তব্য, খুনের জন্য পুলিশের কোনও মোটিভ নেই। এমনকী আনিসকে ব্যক্তিগতভাবে কেউ চিনতেনও না। তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন আনিসকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল পুলিশ। সম্ভবত সেই সময় পালানোর চেষ্টা করেন আনিস খান।

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট

তবে পুলিশি অভিযান যে আইন মেনে হয়নি তা স্বীকার করেন রাজ্যের আইনজীবী। এ নিয়ে তিনি বলেন, তল্লাশির ক্ষেত্রে পুলিশকে যা নিয়ম মানতে হয়, এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। ফলে ওই তল্লাশির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ কর্মীদের শাস্তির প্রয়োজন রয়েছে। এই ঘটনার জন্য অ্যাডিশনাল এসপিকে প্রশ্নের মুখেও পড়তে হবে বলেও আদালতে উল্লেখ করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: মানিকের স্ত্রী- পুত্র মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে ইডি

প্রসঙ্গত, প্রায় চার মাস আগে হাওড়ার আমতা থানার বাসিন্দা আনিস খানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশের পোশাক পরা কয়েকজন। তাঁর বাবাকে আটকে রেখে তারা উপর তলায় চলে যায়। অভিযোগ, পুলিশের লোকেরাই আনিসকে ছাদ থেকে ফেলে খুন করেছে। রাজ্যের তরফে অবশ্য সিট গঠন করে তদন্ত চালানো হচ্ছে।  এরই মধ্যে পুলিশের গাফিলতির কথা স্বীকার করল রাজ্য।