০৪ জুন ২০২৫, বুধবার, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন সংবিধানে সব ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ জুলাই ২০২২, রবিবার
  • / 26

তিউনিসিয়ায় প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ  একনায়কতন্ত্রের পথে হাঁটছে তিউনিসিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট চালিত সরকারের বর্তমান পরিকল্পনা দেখে অন্তত তেমনটাই মনে হচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরদের। কঠোর হাতে বিরোধীদের দমন করে জাতীয় সংবিধান পরিবর্তনের গণভোট আয়োজন করতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ।

 

আরও পড়ুন: মেছুয়া বাজারে বিধ্বংসী আগুনে ১৫ জনের মৃত্যু, শোকপ্রকাশ মুর্মুর

নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে সর্বেসর্বা হয়ে ওঠার প্রয়াস করছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ কর্তৃক ঘোষিত প্রস্তাবিত খসড়া সংবিধানের কথা উল্লেখ করে রাজনৈতিক দল ও অ্যাকটিভিস্টরা এ অভিযোগ করেছেন। অ্যাকটিভিস্টরা খসড়া সংবিধানের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে দাবি করছেন, কায়েস সাইদ খসড়া সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ ও শর্তের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অস্পষ্ট শব্দের ব্যবহার করেছেন। তিনি হয়তো এসবের দ্বারা প্রেসিডেন্টের আদেশের মাধ্যমে দেশ শাসন করার কথা উল্লেখ করেছেন। আগেই প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসাবে আর ইসলাম থাকবে না।

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: কাশ্মীরের ঘটনায় সরব PALESTINE

 

আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

তিউনিসিয়ার জনগণকে মুসলিম উম্মাহ বলা হবে। কিন্তু ইসলাম তাদের রাষ্ট্রধর্ম থাকবে না। এর আগে তিউনিসিয়ার সংবিধান কমিটির প্রধান সাদেক বেলাইদও প্রস্তাবিত সংবিধানকে দেশের জন্য ‘বিপজ্জনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। আইনের এই অধ্যাপককে ‘নতুন প্রজাতন্ত্রের জন্য নতুন সংবিধান’ প্রণয়নে নিয়োগ দিয়েছিলেন কায়েস সাইদ। বেলাইদ বলেন, সাইদ সংবিধানের যে সংস্করণ তৈরি করেছেন তা ‘বিপজ্জনক’ এবং সংবিধান কমিটির প্রস্তাবিত প্রথম খসড়ার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়।

 

তিনি আশঙ্কা করেন, চূড়ান্ত খসড়া সংবিধানে এমন কিছু রয়েছে যা একটি অসম্মানজনক স্বৈরাচারী শাসনের পথকে প্রশস্ত করতে পারে। কারণ প্রস্তাবিত সংবিধানটি প্রেসিডেন্ট হিসেবে কায়েস সাইদকে অনেক বেশি ক্ষমতা দেবে। সংবিধান নিয়ে এসব অভিযোগের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি প্রেসিডেন্ট সাইদ। আগামী মাসে এ সংবিধানের ব্যাপারে একটি গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এরই মধ্যে সাইদের পদত্যাগের দাবিতে দেশটিতে ব্যাপক আন্দোলন জারি রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা পথে নেমে সংবিধান পরিবর্তনের গণভোট বয়কটের ডাক দিচ্ছেন।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নতুন সংবিধানে সব ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের!

আপডেট : ৩ জুলাই ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ  একনায়কতন্ত্রের পথে হাঁটছে তিউনিসিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট চালিত সরকারের বর্তমান পরিকল্পনা দেখে অন্তত তেমনটাই মনে হচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরদের। কঠোর হাতে বিরোধীদের দমন করে জাতীয় সংবিধান পরিবর্তনের গণভোট আয়োজন করতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ।

 

আরও পড়ুন: মেছুয়া বাজারে বিধ্বংসী আগুনে ১৫ জনের মৃত্যু, শোকপ্রকাশ মুর্মুর

নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে সর্বেসর্বা হয়ে ওঠার প্রয়াস করছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ কর্তৃক ঘোষিত প্রস্তাবিত খসড়া সংবিধানের কথা উল্লেখ করে রাজনৈতিক দল ও অ্যাকটিভিস্টরা এ অভিযোগ করেছেন। অ্যাকটিভিস্টরা খসড়া সংবিধানের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে দাবি করছেন, কায়েস সাইদ খসড়া সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ ও শর্তের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অস্পষ্ট শব্দের ব্যবহার করেছেন। তিনি হয়তো এসবের দ্বারা প্রেসিডেন্টের আদেশের মাধ্যমে দেশ শাসন করার কথা উল্লেখ করেছেন। আগেই প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসাবে আর ইসলাম থাকবে না।

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: কাশ্মীরের ঘটনায় সরব PALESTINE

 

আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

তিউনিসিয়ার জনগণকে মুসলিম উম্মাহ বলা হবে। কিন্তু ইসলাম তাদের রাষ্ট্রধর্ম থাকবে না। এর আগে তিউনিসিয়ার সংবিধান কমিটির প্রধান সাদেক বেলাইদও প্রস্তাবিত সংবিধানকে দেশের জন্য ‘বিপজ্জনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। আইনের এই অধ্যাপককে ‘নতুন প্রজাতন্ত্রের জন্য নতুন সংবিধান’ প্রণয়নে নিয়োগ দিয়েছিলেন কায়েস সাইদ। বেলাইদ বলেন, সাইদ সংবিধানের যে সংস্করণ তৈরি করেছেন তা ‘বিপজ্জনক’ এবং সংবিধান কমিটির প্রস্তাবিত প্রথম খসড়ার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়।

 

তিনি আশঙ্কা করেন, চূড়ান্ত খসড়া সংবিধানে এমন কিছু রয়েছে যা একটি অসম্মানজনক স্বৈরাচারী শাসনের পথকে প্রশস্ত করতে পারে। কারণ প্রস্তাবিত সংবিধানটি প্রেসিডেন্ট হিসেবে কায়েস সাইদকে অনেক বেশি ক্ষমতা দেবে। সংবিধান নিয়ে এসব অভিযোগের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি প্রেসিডেন্ট সাইদ। আগামী মাসে এ সংবিধানের ব্যাপারে একটি গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এরই মধ্যে সাইদের পদত্যাগের দাবিতে দেশটিতে ব্যাপক আন্দোলন জারি রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা পথে নেমে সংবিধান পরিবর্তনের গণভোট বয়কটের ডাক দিচ্ছেন।