০৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমা বিশ্বেই সবচেয়ে বেশি নারী নির্যাতন হয়: তালিবান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 131

 পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ নারী নির্যাতন ও মানবাধিকার ইস্যুতে বরাবরই মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলিকে টার্গেট করে উন্নত পশ্চিমা বিশ্ব। তবে বেশকিছু আন্তর্জাতিক রিপোর্ট বলছে, ইউরোপ ও আমেরিকায় নারী নির্যাতনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। শনিবার ইসলামি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার নারী নির্যাতন ইস্যুতে পশ্চিমা নেতাদের তুলোধোনা করেছে। তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, নারীদের প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের ঘটনা গণতন্ত্রের দাবিদার পশ্চিমা দেশগুলোতেই সবচেয়ে বেশি রেকর্ড করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, আফগানিস্তানে নারীদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। নারী ও মেয়েদের ওপর তালিবান সরকার কঠোর নিয়ম-নীতি আরোপ করেছে বলেও সমালোচনা করেছে পশ্চিমারা। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসলামি শরিয়াহ মেনে চলা তালিবানকে ভিলেন হিসাবে দেখানোর অবিরত চেষ্টা চলছে পশ্চিমা মিডিয়ায়। তারই প্রতিক্রিয়ায় তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আবদুল কাহার বালখি নারী নির্যাতনের  দায়ে উন্নত পশ্চিমাদের অভিযুক্ত করেছেন।

আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগ, মণিপুর থেকে গ্রেফতার ৫ নিষিদ্ধ-সংগঠনের সদস্য

 

আরও পড়ুন: গোরক্ষকদের তাণ্ডব নিয়ে সরব ওয়াইসি

আবদুল  বালখি বলেছেন, আমেরিকায় প্রতি ৩ জন নারীর  মধ্যে ১জন সহিংসতা ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এই সমস্যাটি পশ্চিমা গণতন্ত্রের দাবিদার অন্যান্য দেশেও প্রকট বলে তিনি মন্তব্য করেন। বালখি বলেন, ইসলামি সরকার নারীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে বাধ্য। অন্যদিকে পশ্চিমারা নারীদের খোলামেলা পোশাকে দেখতে চায়। তাই তাদের চেষ্টা থাকে সব দেশের নারীরা যেন ইউরোপীয় স্টাইলে নগ্নতায় মেতে ওঠে। এদিকে, রাষ্ট্রসংঘের এক বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছেন তালিবান মুখপাত্র বালখি। রাষ্ট্রসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাত্রা আফগানিস্তানে সবচেয়ে বেশি। এই বিবৃতিকে ‘ভুল’ বলে প্রত্যাখান করেছে তালিবান।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পশ্চিমা বিশ্বেই সবচেয়ে বেশি নারী নির্যাতন হয়: তালিবান

আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২২, রবিবার

 পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ নারী নির্যাতন ও মানবাধিকার ইস্যুতে বরাবরই মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলিকে টার্গেট করে উন্নত পশ্চিমা বিশ্ব। তবে বেশকিছু আন্তর্জাতিক রিপোর্ট বলছে, ইউরোপ ও আমেরিকায় নারী নির্যাতনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। শনিবার ইসলামি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার নারী নির্যাতন ইস্যুতে পশ্চিমা নেতাদের তুলোধোনা করেছে। তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, নারীদের প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের ঘটনা গণতন্ত্রের দাবিদার পশ্চিমা দেশগুলোতেই সবচেয়ে বেশি রেকর্ড করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, আফগানিস্তানে নারীদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। নারী ও মেয়েদের ওপর তালিবান সরকার কঠোর নিয়ম-নীতি আরোপ করেছে বলেও সমালোচনা করেছে পশ্চিমারা। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসলামি শরিয়াহ মেনে চলা তালিবানকে ভিলেন হিসাবে দেখানোর অবিরত চেষ্টা চলছে পশ্চিমা মিডিয়ায়। তারই প্রতিক্রিয়ায় তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আবদুল কাহার বালখি নারী নির্যাতনের  দায়ে উন্নত পশ্চিমাদের অভিযুক্ত করেছেন।

আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগ, মণিপুর থেকে গ্রেফতার ৫ নিষিদ্ধ-সংগঠনের সদস্য

 

আরও পড়ুন: গোরক্ষকদের তাণ্ডব নিয়ে সরব ওয়াইসি

আবদুল  বালখি বলেছেন, আমেরিকায় প্রতি ৩ জন নারীর  মধ্যে ১জন সহিংসতা ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এই সমস্যাটি পশ্চিমা গণতন্ত্রের দাবিদার অন্যান্য দেশেও প্রকট বলে তিনি মন্তব্য করেন। বালখি বলেন, ইসলামি সরকার নারীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে বাধ্য। অন্যদিকে পশ্চিমারা নারীদের খোলামেলা পোশাকে দেখতে চায়। তাই তাদের চেষ্টা থাকে সব দেশের নারীরা যেন ইউরোপীয় স্টাইলে নগ্নতায় মেতে ওঠে। এদিকে, রাষ্ট্রসংঘের এক বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছেন তালিবান মুখপাত্র বালখি। রাষ্ট্রসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাত্রা আফগানিস্তানে সবচেয়ে বেশি। এই বিবৃতিকে ‘ভুল’ বলে প্রত্যাখান করেছে তালিবান।