২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুন করে দেহ পুঁতে দিল স্ত্রী

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩০ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার
  • / 39

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুন করে দেহ পুঁতে দিল স্ত্রী। ছত্তিশগড়ের মহাসমুন্দ জেলার ঘটনা। স্ত্রীর পরকীয়া জেনে ফেলায় এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। পেশায় শিক্ষিকা দেবিকা চন্দ্রকর তার প্রেমিক মুকুন্দ ত্রিপাঠীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিক্ষিকার মাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। ৪/৫ ফুট গভীর গর্ত করে স্বামীর দেহ পুঁতে দিয়ে ওপরে পাথর চাপা দিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, পরকীয়ার কথা জানতে পেরে গত ৮ ডিসেম্বর স্ত্রী দেবিকার সঙ্গে ঝগড়া হয় স্বামী যুপেশ চন্দ্রকরের। সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন যুপেশ। ঝগড়ার সময়, দেবিকা তাকে ধাক্কা দেয় এবং একটি লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে, যার পরে সে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। দেবিকার প্রেমিক মুকুন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন, তার মা অঞ্জলি চন্দ্রকর অচৈতন্য যুপেশকে বিছানায় শুইয়ে দেন। সেই সময় মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে চলে যায় দেবিকা।

মুকুন্দ অচৈতন্য যুপেশকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খুন করে। কাপড়ে জড়িয়ে লাশ নাইলনের দড়ি দিয়ে বে্ধে পলিথিন দিয়ে মুড়ে দুদিন বাড়িতে রেখে দেয়। ১০ ডিসেম্বর মুকুন্দ একজন রিকশাচালককে ডেকে তার লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় বলে অফিসের সরঞ্জাম নিয়ে যাচ্ছে। ওই দিন রাতে দেবিকা ও মুকুন্দ দুজনে মিলে লাশ পুঁতে দেয়। পুলিশ কল রেকর্ডের লিস্ট ধরে দুজনকে গ্রেফতার করে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুন করে দেহ পুঁতে দিল স্ত্রী

আপডেট : ৩০ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুন করে দেহ পুঁতে দিল স্ত্রী। ছত্তিশগড়ের মহাসমুন্দ জেলার ঘটনা। স্ত্রীর পরকীয়া জেনে ফেলায় এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। পেশায় শিক্ষিকা দেবিকা চন্দ্রকর তার প্রেমিক মুকুন্দ ত্রিপাঠীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিক্ষিকার মাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। ৪/৫ ফুট গভীর গর্ত করে স্বামীর দেহ পুঁতে দিয়ে ওপরে পাথর চাপা দিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, পরকীয়ার কথা জানতে পেরে গত ৮ ডিসেম্বর স্ত্রী দেবিকার সঙ্গে ঝগড়া হয় স্বামী যুপেশ চন্দ্রকরের। সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন যুপেশ। ঝগড়ার সময়, দেবিকা তাকে ধাক্কা দেয় এবং একটি লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে, যার পরে সে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। দেবিকার প্রেমিক মুকুন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন, তার মা অঞ্জলি চন্দ্রকর অচৈতন্য যুপেশকে বিছানায় শুইয়ে দেন। সেই সময় মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে চলে যায় দেবিকা।

মুকুন্দ অচৈতন্য যুপেশকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খুন করে। কাপড়ে জড়িয়ে লাশ নাইলনের দড়ি দিয়ে বে্ধে পলিথিন দিয়ে মুড়ে দুদিন বাড়িতে রেখে দেয়। ১০ ডিসেম্বর মুকুন্দ একজন রিকশাচালককে ডেকে তার লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় বলে অফিসের সরঞ্জাম নিয়ে যাচ্ছে। ওই দিন রাতে দেবিকা ও মুকুন্দ দুজনে মিলে লাশ পুঁতে দেয়। পুলিশ কল রেকর্ডের লিস্ট ধরে দুজনকে গ্রেফতার করে।