০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কর্মসংস্থান নেই, ভোট দিয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিল সুন্দরবনের কয়েকহাজার পরিযায়ী শ্রমিক

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৭ জুন ২০২৪, শুক্রবার
  • / 56

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : সুন্দরবন এলাকার কয়েকহাজার পরিযায়ী শ্রমিক এবারে ভোট গ্রহণে অংশ নিলেন।রাজ্যে কোনো কলকারখানা গড়ে ওঠেনি,বিকল্প কর্মসংস্থান নেই, তাই সুন্দরবন এলাকার কয়েকহাজার মানুষ পেটের টানে ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে যায়।

গত ১ লা জুন সুন্দরবন এলাকায় ভোট গ্রহণ ছিলো। তাই তার আগে ভিন রাজ্য থেকে তাঁরা শুধুমাত্র দেশের নাগরিকের অধিকার প্রয়োগ করতে দেশের বাড়িতে ফিরে আসে।ভোট দিয়ে কয়েকদিন দেশের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে আবার ভিনরাজ্য রওনা দিলো কুলতলি,জয়নগর, বাসন্তী,ক্যানিং এলাকা থেকে।

এব্যাপারে কুলতলির মেরীগঞ্জ,গোপালগঞ্জ,মৈপীঠ, জালাবেড়িয়া,জয়নগরের বাইশহাটা, গড়দেওয়ানি,চুপড়িঝাড়ার কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক বলেন,আমাদের রাজ্যে কোনো কাজ নেই।কলকারখানা নেই। বিকল্প কোনো কাজ নেই। তাই আমরা আমাদের সংসার সামলাতে কেউ অন্ধপ্রদেশ,কেউ মহারাষ্ট্র,কেউ তামিলনাড়ু,কেউ উওরপ্রদেশ,কেউ বা কেরালা সহ একাধিক রাজ্যে গিয়ে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করি।

আমাদের রাজ্যে বিকল্প কর্মসংস্থান থাকলে আমরা আমাদের পরিবার ফেলে সারা বছর ভিন রাজ্যে গিয়ে কাটাতাম না।লোকসভার ভোট ছিলো, দেশ গড়ার ভোট ছিলো তাই আমরা আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে গেলাম। কে ক্ষমতায় এলো আর কে ক্ষমতায় এলো না তা আমাদের জেনে লাভ নেই।

তবে এই রাজ্যে বা এই জেলায় কত পরিমান পরিযায়ী শ্রমিক আছে তাঁর সঠিক হিসাব কিন্তু জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া গেল না। তবে সেটার পরিমান কয়েক হাজার তো হবেই।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কর্মসংস্থান নেই, ভোট দিয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিল সুন্দরবনের কয়েকহাজার পরিযায়ী শ্রমিক

আপডেট : ৭ জুন ২০২৪, শুক্রবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : সুন্দরবন এলাকার কয়েকহাজার পরিযায়ী শ্রমিক এবারে ভোট গ্রহণে অংশ নিলেন।রাজ্যে কোনো কলকারখানা গড়ে ওঠেনি,বিকল্প কর্মসংস্থান নেই, তাই সুন্দরবন এলাকার কয়েকহাজার মানুষ পেটের টানে ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে যায়।

গত ১ লা জুন সুন্দরবন এলাকায় ভোট গ্রহণ ছিলো। তাই তার আগে ভিন রাজ্য থেকে তাঁরা শুধুমাত্র দেশের নাগরিকের অধিকার প্রয়োগ করতে দেশের বাড়িতে ফিরে আসে।ভোট দিয়ে কয়েকদিন দেশের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে আবার ভিনরাজ্য রওনা দিলো কুলতলি,জয়নগর, বাসন্তী,ক্যানিং এলাকা থেকে।

এব্যাপারে কুলতলির মেরীগঞ্জ,গোপালগঞ্জ,মৈপীঠ, জালাবেড়িয়া,জয়নগরের বাইশহাটা, গড়দেওয়ানি,চুপড়িঝাড়ার কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক বলেন,আমাদের রাজ্যে কোনো কাজ নেই।কলকারখানা নেই। বিকল্প কোনো কাজ নেই। তাই আমরা আমাদের সংসার সামলাতে কেউ অন্ধপ্রদেশ,কেউ মহারাষ্ট্র,কেউ তামিলনাড়ু,কেউ উওরপ্রদেশ,কেউ বা কেরালা সহ একাধিক রাজ্যে গিয়ে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করি।

আমাদের রাজ্যে বিকল্প কর্মসংস্থান থাকলে আমরা আমাদের পরিবার ফেলে সারা বছর ভিন রাজ্যে গিয়ে কাটাতাম না।লোকসভার ভোট ছিলো, দেশ গড়ার ভোট ছিলো তাই আমরা আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে গেলাম। কে ক্ষমতায় এলো আর কে ক্ষমতায় এলো না তা আমাদের জেনে লাভ নেই।

তবে এই রাজ্যে বা এই জেলায় কত পরিমান পরিযায়ী শ্রমিক আছে তাঁর সঠিক হিসাব কিন্তু জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া গেল না। তবে সেটার পরিমান কয়েক হাজার তো হবেই।