০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলায় ৭ দফা নির্বাচনের প্রয়োজন ছিল না: চন্দ্রিমা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪, শনিবার
  • / 11

পুবের কলম প্রতিবেদক: বাংলায় ৭ দফা লোকসভা-নির্বাচনের প্রয়োজন ছিল না। এক অথবা দু’দফায় ভোট করলেই হত। শনিবার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর এ কথা জানান রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন তিনি বলেন, ‘আমরা বার বার বলেছিলাম, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই নির্বাচন একটি বা দু’টি দফায় হোক। কিন্তু দেখলাম আগের মতোই ৭ দফায় নির্বাচন ঘোষণা করা হল পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে। যেখানে দেশেরই অনের বড় বড় রাজ্যে এক বা দু’দফায় ভোট মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

শনিবার তৃণমূলের তরফে চন্দ্রিমাই হাজির হয়েছিলেন ভোট নির্ঘণ্ট নিয়ে শাসক দলের বক্তব্য জানাতে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘২০১৯ সালেও সাত দফায় ভোট হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। ২০২১ সালের বিধানসভায় ভোট হয়েছিল আট দফায়। কিন্তু সে বার বলা হয়েছিল, কোভিডের জন্য দফা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বার তো কোভিড নেই। এ বার তা হলে কী হয়েছে? এ বার কেন সাত দফায় ভোট করানো হল?’’

উল্লেখ্য, বাংলা থেকে মাত্র তিনটি লোকসভার আসন কম তামিলনাড়ুতে। সেখানে এক দফাতেই ভোট ঘোষণা করেছে কমিশন। আবার ২৫টি আসনের অন্ধ্রপ্রদেশ, ২৬ আসনের গুজরাতেও ভোট হবে এক দফায়। ২৮টি আসনের কর্নাটক এবং ২৫টি লোকসভা আসনের রাজস্থানে দু’দফায় ভোট হবে বলে শনিবার জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আবার ৪৮ আসনের মহারাষ্ট্রেও ভোট হবে পাঁচ দফায়। অথচ ৪২ আসনের বাংলায় সাত দফায় ভোট। শনিবার তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে এ প্রসঙ্গেই কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের মন্ত্রী চন্দ্রিমা।

আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে লোকসভা ভোট শুরু হচ্ছে দেশে। চলবে ১ জুন পর্যন্ত। এই দীর্ঘ দেড় মাস বা আরও বিশদে বললে ৪৪ দিন ধরে সাত দফায় ভোট পর্ব চলবে বাংলায়। তৃণমূলের বক্তব্য এই নির্ঘণ্ট যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর বিরোধী। চন্দ্রিমা কথায়, ‘‘এত দফায় নির্বাচন হলে ভোট কম পড়ে। এর আগেও ২০১৯ সালে সাত দফায় ভোট হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। সে বারও দেখা গিয়েছিল ভোট কমেছে। তারও আগে ২০১৪ সালে ন’দফায় ভোট হয়েছিল বাংলায়।’ চন্দ্রিমা বলেছেন, ‘‘এতে ভোটারদের অসুবিধা হয় আর সুবিধা পায় অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষমতাবান রাজনৈতিক দলগুলি।’’

তাঁর কথায়, ‘অর্থবান দলগুলি তাদের টাকা কাজে লাগিয়ে ভোটের ফল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাদের পূর্ণ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। অন্য দিকে, অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল রাজনৈতিক দলগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পিছিয়ে পড়ে।’ শনিবার দেশের নির্বাচন কমিশনারের মনোনয়ন প্রসঙ্গেও কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলায় ৭ দফা নির্বাচনের প্রয়োজন ছিল না: চন্দ্রিমা

আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: বাংলায় ৭ দফা লোকসভা-নির্বাচনের প্রয়োজন ছিল না। এক অথবা দু’দফায় ভোট করলেই হত। শনিবার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর এ কথা জানান রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন তিনি বলেন, ‘আমরা বার বার বলেছিলাম, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই নির্বাচন একটি বা দু’টি দফায় হোক। কিন্তু দেখলাম আগের মতোই ৭ দফায় নির্বাচন ঘোষণা করা হল পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে। যেখানে দেশেরই অনের বড় বড় রাজ্যে এক বা দু’দফায় ভোট মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

শনিবার তৃণমূলের তরফে চন্দ্রিমাই হাজির হয়েছিলেন ভোট নির্ঘণ্ট নিয়ে শাসক দলের বক্তব্য জানাতে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘২০১৯ সালেও সাত দফায় ভোট হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। ২০২১ সালের বিধানসভায় ভোট হয়েছিল আট দফায়। কিন্তু সে বার বলা হয়েছিল, কোভিডের জন্য দফা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বার তো কোভিড নেই। এ বার তা হলে কী হয়েছে? এ বার কেন সাত দফায় ভোট করানো হল?’’

উল্লেখ্য, বাংলা থেকে মাত্র তিনটি লোকসভার আসন কম তামিলনাড়ুতে। সেখানে এক দফাতেই ভোট ঘোষণা করেছে কমিশন। আবার ২৫টি আসনের অন্ধ্রপ্রদেশ, ২৬ আসনের গুজরাতেও ভোট হবে এক দফায়। ২৮টি আসনের কর্নাটক এবং ২৫টি লোকসভা আসনের রাজস্থানে দু’দফায় ভোট হবে বলে শনিবার জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আবার ৪৮ আসনের মহারাষ্ট্রেও ভোট হবে পাঁচ দফায়। অথচ ৪২ আসনের বাংলায় সাত দফায় ভোট। শনিবার তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে এ প্রসঙ্গেই কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের মন্ত্রী চন্দ্রিমা।

আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে লোকসভা ভোট শুরু হচ্ছে দেশে। চলবে ১ জুন পর্যন্ত। এই দীর্ঘ দেড় মাস বা আরও বিশদে বললে ৪৪ দিন ধরে সাত দফায় ভোট পর্ব চলবে বাংলায়। তৃণমূলের বক্তব্য এই নির্ঘণ্ট যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর বিরোধী। চন্দ্রিমা কথায়, ‘‘এত দফায় নির্বাচন হলে ভোট কম পড়ে। এর আগেও ২০১৯ সালে সাত দফায় ভোট হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। সে বারও দেখা গিয়েছিল ভোট কমেছে। তারও আগে ২০১৪ সালে ন’দফায় ভোট হয়েছিল বাংলায়।’ চন্দ্রিমা বলেছেন, ‘‘এতে ভোটারদের অসুবিধা হয় আর সুবিধা পায় অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষমতাবান রাজনৈতিক দলগুলি।’’

তাঁর কথায়, ‘অর্থবান দলগুলি তাদের টাকা কাজে লাগিয়ে ভোটের ফল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাদের পূর্ণ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। অন্য দিকে, অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল রাজনৈতিক দলগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পিছিয়ে পড়ে।’ শনিবার দেশের নির্বাচন কমিশনারের মনোনয়ন প্রসঙ্গেও কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।