২২ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুসলিম দেশগুলো আকাশপথে অবরোধ দিলেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইসরাইল: থিঙ্কট্যাংকের গবেষণা

মোক্তার হোসেন মন্ডল
  • আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার
  • / 494

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিত্তিক আল হাবতুর রিসার্চ সেন্টারের একটি সমীক্ষা বলছে—আরব ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে যদি ইসরাইলের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে তেল আবিবের অর্থনীতি বড় ধাক্কা খাবে। দোহায় ইসরাইলি হামলার পর প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, সমন্বিত আকাশপথ অবরোধ হলে ইসরাইলের জিডিপি ৫.৭ শতাংশ থেকে কমে ৪.৮ শতাংশে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে এবং দেশের অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে।

গবেষণায় জানানো হয়েছে, তুরস্ক, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো ওআইসি-ভুক্ত দেশগুলো যদি সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়, তাহলে এশিয়া-আফ্রিকার বাজারে সংযোগে বড় বাধা পড়বে। রুট বেঁকাদিয়ে বিমানগুলো যোগানদানে ৪–৬ ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় খরচ করবে, ফলে প্রতিটি ফ্লাইটে ৩০–৬০ হাজার ডলার পর্যন্ত অতিরিক্ত খরচ পড়বে এবং ন্যাশনাল ক্যারিয়ার মারাত্মক রাজস্বক্ষতির সম্মুখীন হবে। পর্যটন, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও মূল্যবান আমদানি-রফতানিতেও বিঘ্ন ঘটবে এবং গবেষণা ও বিনিয়োগ প্রোগ্রামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এমন পদক্ষেপ কেবল অর্থনৈতিক নয়—আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতেও যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থানকে জটিল করে তুলতে পারে। ইতিমধ্যে ইসরাইলের সীমিত কূটনৈতিক একাকীত্বও প্রকাশ পাচ্ছে। গবেষকরা মনে করেন, আকাশপথ অবরোধ হলে মধ্যপ্রাচ্যের নতুন কূটনীতিক কৌশল ও প্রতিক্রিয়ার পথ খুলে

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মুসলিম দেশগুলো আকাশপথে অবরোধ দিলেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইসরাইল: থিঙ্কট্যাংকের গবেষণা

আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিত্তিক আল হাবতুর রিসার্চ সেন্টারের একটি সমীক্ষা বলছে—আরব ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে যদি ইসরাইলের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে তেল আবিবের অর্থনীতি বড় ধাক্কা খাবে। দোহায় ইসরাইলি হামলার পর প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, সমন্বিত আকাশপথ অবরোধ হলে ইসরাইলের জিডিপি ৫.৭ শতাংশ থেকে কমে ৪.৮ শতাংশে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে এবং দেশের অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে।

গবেষণায় জানানো হয়েছে, তুরস্ক, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো ওআইসি-ভুক্ত দেশগুলো যদি সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়, তাহলে এশিয়া-আফ্রিকার বাজারে সংযোগে বড় বাধা পড়বে। রুট বেঁকাদিয়ে বিমানগুলো যোগানদানে ৪–৬ ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় খরচ করবে, ফলে প্রতিটি ফ্লাইটে ৩০–৬০ হাজার ডলার পর্যন্ত অতিরিক্ত খরচ পড়বে এবং ন্যাশনাল ক্যারিয়ার মারাত্মক রাজস্বক্ষতির সম্মুখীন হবে। পর্যটন, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও মূল্যবান আমদানি-রফতানিতেও বিঘ্ন ঘটবে এবং গবেষণা ও বিনিয়োগ প্রোগ্রামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এমন পদক্ষেপ কেবল অর্থনৈতিক নয়—আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতেও যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থানকে জটিল করে তুলতে পারে। ইতিমধ্যে ইসরাইলের সীমিত কূটনৈতিক একাকীত্বও প্রকাশ পাচ্ছে। গবেষকরা মনে করেন, আকাশপথ অবরোধ হলে মধ্যপ্রাচ্যের নতুন কূটনীতিক কৌশল ও প্রতিক্রিয়ার পথ খুলে