০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বোর্ড পরীক্ষায় শীর্ষস্থান, মস্তিষ্ক রক্তক্ষরণে মৃত্যু ছাত্রীর, মেয়ের চোখ-দেহ দান বাবার  

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৭ মে ২০২৪, শুক্রবার
  • / 28

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মানুষের জীবনে সব থেকে বড় শোক হল প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা। কিন্তু সেই শোকের মধ্যে দিয়েও মেয়ের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলেন হীর ঘেটিয়ার বাবা-মা। একমাত্র কন্যাসন্তান হীরকে হারিয়ে মেয়ের চোখ ও তার শরীর ডোনেট করে দিলেন তারা। মেধাবী হীর চিকিৎসক হতে চেয়েছিল। সদ্য দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা ৯৯ শতাংশ নাম্বার নিয়ে পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছিল হীর। রেজাল্ট বের হওয়ার চারদিন পরে বুধবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে হীরের। গুজরাতের মোরবি জেলার বাসিন্দা ছিল হীর।

১৬ বছরের মেয়েকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ ঘেটিয়া পরিবার। গুজরাত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের (জিএসইবি) ফলাফল ১১ মে ঘোষণা করা হয়েছিল। বোর্ড পরীক্ষায় হীরের নাম্বার ছিল ৯৯.৭০ শতাংশ। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে একমাস আগে রাজকোটের বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় তার।

বাড়ি ফিরে আসে হীর। কিন্ত বাড়ি ফেরার পরে তার শ্বাসকষ্ট ও হার্টের সমস্যা শুরু হয়। ফের তাকে হাসপাতালে আইসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। এমআরআই রিপোর্টে চিকিৎসকেরা জানান, হীরের মস্তিষ্ক ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। বুধবার মৃত্যু হয় তার। হীরের বাবা জানিয়েছেন, মেয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতো। সেই কারণে আমরা মেয়ের মৃত্যুর পর তার চোখ ও দেহ দান করেছি। যাতে সে ডাক্তার না হতে পারলেও অন্য জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে। (২০১)

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বোর্ড পরীক্ষায় শীর্ষস্থান, মস্তিষ্ক রক্তক্ষরণে মৃত্যু ছাত্রীর, মেয়ের চোখ-দেহ দান বাবার  

আপডেট : ১৭ মে ২০২৪, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মানুষের জীবনে সব থেকে বড় শোক হল প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা। কিন্তু সেই শোকের মধ্যে দিয়েও মেয়ের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলেন হীর ঘেটিয়ার বাবা-মা। একমাত্র কন্যাসন্তান হীরকে হারিয়ে মেয়ের চোখ ও তার শরীর ডোনেট করে দিলেন তারা। মেধাবী হীর চিকিৎসক হতে চেয়েছিল। সদ্য দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা ৯৯ শতাংশ নাম্বার নিয়ে পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছিল হীর। রেজাল্ট বের হওয়ার চারদিন পরে বুধবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে হীরের। গুজরাতের মোরবি জেলার বাসিন্দা ছিল হীর।

১৬ বছরের মেয়েকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ ঘেটিয়া পরিবার। গুজরাত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের (জিএসইবি) ফলাফল ১১ মে ঘোষণা করা হয়েছিল। বোর্ড পরীক্ষায় হীরের নাম্বার ছিল ৯৯.৭০ শতাংশ। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে একমাস আগে রাজকোটের বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় তার।

বাড়ি ফিরে আসে হীর। কিন্ত বাড়ি ফেরার পরে তার শ্বাসকষ্ট ও হার্টের সমস্যা শুরু হয়। ফের তাকে হাসপাতালে আইসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। এমআরআই রিপোর্টে চিকিৎসকেরা জানান, হীরের মস্তিষ্ক ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। বুধবার মৃত্যু হয় তার। হীরের বাবা জানিয়েছেন, মেয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতো। সেই কারণে আমরা মেয়ের মৃত্যুর পর তার চোখ ও দেহ দান করেছি। যাতে সে ডাক্তার না হতে পারলেও অন্য জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে। (২০১)